রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী প্রণব |
ইউপিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রণবের নাম ঘোষণা করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউপিএ-র অন্যান্য শরিকেরাও। এই বৈঠক বয়কট করে তৃণমূল। সম্ভবত ২৪ জুন অর্থমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন প্রণববাবু বলে জানা গিয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দাখিল করতে পারেন ২৫ জুন। সপা প্রণববাবুকে সমর্থন করবে বলে জানালেন সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র রামগোপাল যাদব। তাঁর প্রতি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন বৃন্দা কারাট। সাংবাদিক বৈঠক করে প্রণবকে সমর্থন জানাতে চলেছেন মায়াবতীও।
|
সংঘাতের পথে রাজ্য-প্রদেশ কংগ্রেস |
বিধানসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে সরাসরি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাতের পথে নামল প্রদেশ কংগ্রেস।
কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে চারটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে—
• রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে প্রণববাবুর নাম ঘোষণা করুক কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
• প্রণববাবুর নাম সামনে আসার পরেও মমতার ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
• বর্তমান পরিস্থিতে মন্ত্রীসভায় থাকা অত্যন্ত অস্বস্তিকর বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়কেরা। এই পরিস্থিতে কি করা উচিত তারও নির্দেশ দিক কংগ্রেস হাইকম্যান্ড বলে দাবি জানিয়েছেন তারা।
• সরকারের কাজ পছন্দ না হলে এ বার থেকে বিধানসভায় প্রতিবাদ জানাবেন বলে মন্তব্য বিধায়কদের।
বৈঠক শেষে কংগ্রেস সাংসদ
অধীর চৌধুরী জানান, এই সরকারে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। তারা উদারতার নিদর্শন রাখলেও সৌজন্য দেখাননি মমতা। বরং লক্ষণরেখা অতিক্রম করে গেছেন বারবার।
অন্যদিকে এই মন্তব্য প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে কংগ্রেস কি করবে না করবে তা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
কমগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে সিপিএমকে খুশি করতে নোংরা খেলায় নেমেছে কংগ্রেস।
|
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখল এনডিএ |
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আজ কোনও সিদ্ধান্তই নিল না এনডিএ। সাংবাদিক বৈঠকে লালকৃষ্ণ আডবাণী জানালেন, ১৯৬৯-র পরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ফের এ ধরণের আলোড়ন দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রার্থী হিসাবে এনডিএ এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি আরও জানান, নির্বাচনের এখনও অনেক দেরি আছে, তাই ফের আলোচনায় বসবে এনডিএ। তাঁর মতে ইউপিএ-র মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। তাই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে অ-কংগ্রেসি দলগুলির সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কালামের নাম দু’জন মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব করলেই জয় সুনিশ্চিত হয় না। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সরকারের সব দলের সঙ্গেই আলোচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে কংগ্রেস সূত্রে পাওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে এসপি ও বিএসপি সমর্থন
করবে ইউপিএ মনোনীত প্রার্থীকেই।
|
যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মমতা-কিরণময় |
দিল্লিতে মমতার বাসভবনে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ কিরণময় নন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা জানালেন কালামই রাষ্ট্রপতি পদের জন্য যোগ্যতম। দিল্লি ছাড়ার আগে কালামের জন্য সব দলের কাছে আবেদন জানিয়ে বললেন কোনও দলের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া নেই। তাই এই বিষয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ নেই। তিনি ও মুলায়ম সিংহ একসঙ্গে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ মুলায়ম সিংহই প্রার্থীদের নাম ঠিক করেন। অন্যদিকে কিরণময় নন্দ জানিয়েছেন যে তারা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন।
|
উপনির্বাচনের গণনায় দুই আসনেই জয়ী তৃণমূল |
বাঁকুড়া ও দাসপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নিবার্চনের ফল প্রকাশ হতে চলেছে আজ। বাঁকুড়ার বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্র ও দাসপুরের বিধায়ক অজিত ভুঁইয়ার মৃত্যুতে প্রয়াত দুই বিধায়কের স্ত্রী মিনতি মিশ্র ও মমতা ভুঁইয়াকে প্রার্থী করে তৃণমূল। পক্ষান্তরে, সিপিএমের প্রার্থী হন নীলাঞ্জনা দাশগুপ্ত ও সমর মুখোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত গণনার ফল অনুযায়ী— বাঁকুড়ায় ১৫ হাজারেরও বেশী ভোটে জয়ী মিনতি মিশ্র। দাসপুর কেন্দ্রে ১৮ হাজারেরও বেশী ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা ভুঁইয়া।
অন্যদিকে ত্রিপুরা নলছড় কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দ্বিজেন্দ্রলাল মজুমদারকে ৪৯১৬ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী তপনচন্দ্র দাস।
|
গরমে রক্তের আকাল ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে |
এ বার ঘোরতর রক্তাল্পতায় ভুগছে ব্লাডব্যাঙ্কগুলি। রক্ত সঙ্কটে ঘোরতর দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা। কলকাতা-সহ জেলার ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের আকাল দেখা দিয়েছে। এমনকি রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না বেসরকারি ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতেও। ফলে কার্যতই বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। নেগেটিভ গ্রুপের পাশাপাশি অভাব দেখা দিয়েছে পজিটিভ গ্রুপের রক্তেরও। ফলে সকাল থেকেই ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে ভিড় জমালেও নিরাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককেই।
|
টিকিট পরীক্ষকের ধাক্কায় মৃত্যু যাত্রীর |
চলন্ত এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। আজ সকাল ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে তারাপীঠের কাছে ডাউন শিয়ালদহ-বারাণসী এক্সেপ্রেস ট্রেনে। অন্যান্য যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় ওই যাত্রীর কাছে টাকা চান টিকিট পরীক্ষক। টাকা না দিলে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। হঠাত্ই ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দেন তিনি। ট্রেনটি তখন মল্লারপুর স্টেশনে ঢুকছিল। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান ওই ব্যক্তি এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে এখনও কিছু জানা না গেলও অসমর্থিত সূত্রে সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে ওই যাত্রীর। অন্যদিকে ট্রেনের যাত্রীরা টিকিট পরীক্ষককে গণপ্রহার করতে শুরু করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। |