জেলায় সংগঠনকে উজ্জীবিত করতে দলীয় নেতাদের নতুন মুখ তুলে আনতে হবে। রবিবার কালনা মহকুমায় পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলনে এসে এমনটাই জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক তথা দলের বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষক ওমপ্রকাশ মিশ্র।
এ দিন ওমপ্রকাশবাবু দলের মহকুমার অঞ্চল কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলেন। এলাকায় থাকা মোট বুথের মধ্যে নির্বাচনে ক’টিতে দল প্রার্থী দেওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছে, তা তাঁদের কাছে জানতে চান তিনি। সভাপতিরা অবশ্য তার সদুত্তর দিতে পারেননি। এর পরে এলাকার নাম ধরে সংশ্লিষ্ট কর্মী-সমর্থকদের হাত তুলতে বললেও আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শ, “নেতারা চেষ্টা করুন কর্মী-সমর্থক বাড়ানোর।” তিনি আরও বলেন, “জেলায় কিছু ভাল নেতা থাকলেও অধিকাংশ জায়গাতেই তাঁরা সে ভাবে নতুন মুখ তুলে আনতে পারেননি। কিন্তু দলকে শক্তিশালী করে তুলতে নতুন মুখের প্রয়োজন।” |
আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের জোট হবে কি না, সে প্রসঙ্গে ওমপ্রকাশবাবু সাফ জানান, যে সব জায়গায় সাংগঠনিক ভাবে দল শক্তিশালী, সেখানে তাঁরা একক ভাবে প্রার্থী দেবেন। যেখানে দল দুর্বল, সেই সব জায়গায় সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে, যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রার্থী পেতে অসুবিধা না হয়। তাঁর কথায়, “জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধির জন্য একক লড়াই জরুরি।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রচারের অঙ্গ হিসেবে নানা কর্মসূচি নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল পরিচালিত যে সব পঞ্চায়েতে বেনিয়ম হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে, তা নির্বাচনী প্রচারে সামনে আনা হবে। পাশাপাশি, সিপিএমের নানা ত্রুটিও প্রচারে তোলা হবে।” তাঁর মন্তব্য, “এ বারের লড়াই দ্বিমুখী নয়, ত্রিমুখী।” তিনি ছাড়াও এ দিনের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক কবিতা রহমান, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপুরের বিধায়ক অজয় দে, কালনা মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি লক্ষ্মণ রায় প্রমুখ। |