লাভপুরের ‘বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী’র বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে স্থানীয় অতুলশিব মঞ্চে গত ২৪-২৫ মে দু’দিন ধরে হয়ে গেল নাট্যোৎসব। দু’ দিনে মোট ৩টি নৃত্য নাট্য ও নাটক মঞ্চস্থ হয়। প্রথমদিন অশোক দাসের পরিচালনায় সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘রাখাল ছেলে’ নৃত্যনাট্য ও অন্বেষা ঘোষের পরিচালনায় ‘নরেন্দ্র’ (বিবেকানন্দের বাল্যকাল অবলম্বনে) নাটক মঞ্চস্থ হয়। পরের দিন মঞ্চস্থ হয় স্বামী বিবেকানন্দের কাহিনি নির্ভর ‘উত্তিষ্টত জাগ্রত’ নাটক। শেষের দু’টি নাটক উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ের লেখা। শেষের নাটকটি দর্শকদের নাড়া দিয়েছে। কারণ মঞ্চে বিবেকানন্দেরা যে কথা বলেন, বাস্তব জীবনে তাঁদের জীবনযাপন অন্যরকম। ধান্দাবাজ, আজীবন ক্ষমতায় থাকার লিপ্সা তাঁদের মধ্যে কাজ করে, এই সবই ওই নাটকের বিষয়বস্তু। নাটকে আলোক সম্পাতে বিশ্বনাথ চৌধুরী ও আবহ সঙ্গীতে সৈয়দ আবসার হোসেন নাটকটিকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন।
|
বিদ্রোহী কবি ও মরমী সঙ্গীত সম্রাট নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী নিয়ে তেমন কোনও উন্মাদনা দেখা যায় না। গত শুক্রবার নজরুলের জন্মদিনে সিউড়ির ‘অলঙ্কার’ সঙ্গীত সংস্থা স্থানীয় রামকৃষ্ণ সভাগৃহে নজরুল সঙ্গীতের সম্ভার নিয়ে নজরুল সন্ধ্যা পালন করল। সেখানে শিশুরা ৬টি অনবদ্য কোরাস গান পরিবেশন করেছে। বাকি ১৯টি নজরুলগীতি পরিবেশন করেছেন ২০ থেকে ৫০ ঊর্ধ্ব শিল্পীরা।
|
সিউড়ির রামকৃষ্ণ আশ্রমের দুই প্রয়াত সন্ন্যাসী সুরেশ্বরানন্দ ও বিমলানন্দ মহারাজের স্মরণে ‘স্বপ্ন পূরণ’ শীর্ষক এক সঙ্গীত সন্ধ্যা হয়েছে গত ২৬ মে। ওই দিন স্থানীয় ডিআরডিসি হলে ঠাকুরের গান পরিবেশন করেন লোকগীতির গায়িকা স্বপ্না চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ ছিল বালু দত্ত-র ‘গজল’।
|