|
|
|
|
ডাকঘর |
|
রেল মুখ ফিরিয়েই |
স্বাধীনতার ৬৫ বছর পরও জঙ্গিপুর-রঘুনাথগঞ্জ শহরের নাগরিকেরা কলকাতার সঙ্গে রেলপথে উন্নত যোগাযোগের বিষয়ে উপেক্ষিত ও বঞ্চিত রয়ে গেল। দিনে কলকাতা যাওয়ার দ্রুতগামী ট্রেন মাত্র একটি। মালদহ-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন চলে। নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে পূর্বরেলের জেনারেল ম্যানেজারকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। ট্রেনটির কামরায় সংখ্যা ১০-এর থেকে ১৫টি করার সপ্তাহে সাত দিনই ট্রেনটি চালুর আবেদন করেন তাঁরা। কিন্তু সেই আবেদন আজও উপেক্ষিত। দ্বিতীয় আবেদন ছিল, শিয়ালদহ-জঙ্গিপুর ডিইএমইউ যে ট্রেনের সময় বদল করার জন্য। ট্রেনটি জঙ্গিপুর রোড স্টেশন থেকে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ছাড়ে। মঞ্চের দাবি, সময় পরিবর্তন করে ট্রেনটি জঙ্গিপুর রোড থেকে ভোর সাড়ে ৫টায় ছাড়ুক। যাতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কলকাতায় পৌঁছয়। তৃতীয় দাবি ছিল, মালদহ টাউন-হাওড়া স্লিপার কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রথম শ্রেণির একটা কোচ যুক্ত করা। দাবি ছিল গরিব রথ এক্সপ্রেস ও দিঘা-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস জঙ্গিপুর রোড স্টেশন স্টপেজ দেওয়ার। কিন্তু সেই সব দাবিও উপেক্ষিতই রয়ে গেল। এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
|
কাশীনাথ ভকত, জঙ্গিপুর
|
মহাপ্রভূ এক্সপ্রেস |
বৈষ্ণব ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা মহাপ্রভূ চৈতন্যদেব। চৈতন্যদেবের জন্মস্থান নবদ্বীপ। নবদ্বীপে ভারতে বিভিন্ন রাজ্য থেকে, এমনকী বিদেশ থেকেও বহু মানুষ আসেন। ধর্মীয় স্থানের পাশাপাশি নবদ্বীপ একটি দশর্নীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসাবেও গড়ে উঠেছে। ভারতীয় রেল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, মাতঙ্গিনী হাজরা প্রমূখ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মরণে ট্রেন চালু করেছে। আমাদের দাবি হল, বৈষ্ণব ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা চৈতন্যদেবের স্মরণে ‘মহাপ্রভূ এক্সপ্রেস’ নামাঙ্কিত একটি ট্রেন চালু করা হোক। ওই ট্রেন নবদ্বীপ থেকে যাত্রা শুরু করবে। মহাপ্রভূ চৈতন্যদেবকে স্মরণে রেখে ‘মহাপ্রভূ এক্সপ্রেস’ চালু করলে এক দিকে চৈতন্যদবকে স্মরণ করে সম্মান জানানো হবে। অপর দিকে ভারতীয় রেলের গৌরবও বৃদ্ধি পাবে। রেলমন্ত্রী কী বলেন? |
জীবন বসাক, নবদ্বীপ
|
ভাড়া মকুব |
আমরা জাতিতে সচ্চাষি। ওবিসি সম্প্রদায় ভুক্ত। সেনাবিহনীতে বা অন্য কোনও পরীক্ষা দিতে আমাদের কখনও শিলিগুড়ি, কখনও মেদিনীপুর, কখনও কলকাতা যেতে হয়। আমার বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। ওই সব দূরবর্তী স্থানে যেতে প্রচুর টাকা ভাড়া দিতে হয়। তার উপর রয়েছে থাকা খাওয়ার খরচ। যা আমাদের মতো পরিবারের পক্ষে বহণ করা প্রায় অসাধ্য। তাই রেলমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ দূরবর্তী স্থানে পরীক্ষা দিতে যেতে হলে ওবিসি সম্প্রদায় ভুক্ত পরীক্ষার্থীদের রেল ভাড়ার অন্তত অর্ধেক যেন মকুব করা হয়। |
স্বরূপ মণ্ডল, রেজিনগর
|
পুরসভা দেখুন |
গঙ্গাপাড়ের জোড়া শহর আজিমগঞ্জ-জিয়াগঞ্জ। মুর্শিদাবাদ জেলার রাঢ় এলাকার ও বীরভূম জেলার নলহাটি এবং রামপুরহাট এলাকা থেকে কাতারে কাতারে পূন্যার্থী গঙ্গাস্নানের জন্য আজিমগঞ্জে আসেন। কিন্তু তাঁদের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। নেই শৌচালয়ের কোনও ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করেন। ফলে গঙ্গাপাড়ে আজিমগঞ্জ শহরের পরিবেশও দূষিত হয়। ওই অব্যবস্থা দূর করতে স্থানীয় পুরসভার উদ্যোগ প্রয়োজন। |
ছোটন গোস্বামী, জিয়াগঞ্জ |
|
|
|
|
|