আকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বই প্রকাশ |
নিজস্ব চিত্র |
চলতি বছর দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বর্ষণের পূর্বাভাস সংক্রান্ত একটি বই প্রকাশ করল মেদিনীপুর কলেজের এন সি রাণা আকাশ পর্যবেক্ষণ-কেন্দ্র। শুক্রবার এই উপলক্ষে মেদিনীপুর কলেজে এক অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী, পর্যবেক্ষণ-কেন্দ্রের অধিকর্তা সত্যব্রত রায় প্রমুখ। পাশপাশি, শুক্র-গ্রহের সূর্য অতিক্রমণের ঘটনা ঘটতে চলেছে আগামী ৬ জুন। এ দিন সে সম্পর্কেও আলোচনার আয়োজন করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছরই এন সি রাণা আকাশ পর্যবেক্ষণ-কেন্দ্রের উদ্যোগে দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বর্ষণের পূর্বাভাস সংক্রান্ত বই প্রকাশ হয়ে আসছে। পর্যবেক্ষণ-কেন্দ্রের অধিকর্তা জানান, এই বই থেকে বৃষ্টি কেমন হবে, কত দিন চলবে, সেই সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে সুবিধা হয় সাধারণ মানুষের। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছর জুন ও জুলাই মাসে আশানুরূপ বৃষ্টি হলেও অগস্ট থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকবে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বর্ষণ আরও কম হবে।
|
শুক্রের সরণ দেখাতে উদ্যোগ |
আগামী ৬ জুন সূর্যের উপর শুক্রগ্রহের সরণ দেখাতে নানা কর্মসূচি নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের দার্জিলিং জেলা শাখা। ওই দিন শিলিগুড়ি ও তার লাগোয়া এলাকা জুড়ে বিজ্ঞান মঞ্চের উদ্যোগে একতিয়াশাল স্কুল লাগোয়া ময়দান, ফুলবাড়ি ব্যারাজ, পোড়াঝাড়, ভুটকি, সুকনা, বাগডোগরা, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, তিনধারিয়া, কার্শিয়াং, গরুবাথান, মানেভঞ্জন, দার্জিলিং-সহ ২০টি জায়গায় শিবির করা হবে। যেখানে ওই ঘটনা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ যেমন মিলবে তেমনই জানা যাবে এমন ঘটনার রহস্য। মঞ্চের সম্পাদক প্রবীর পাণ্ডা বলেন, “শেষ বার এমন ঘটনা দেখা গিয়েছিল ২০০৪ সালে। আবার দেখা যাবে ২১১৭ সালে। প্রাকৃতিক এমন ঘটনা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করে তুলতেই এই শিবিরের পরিকল্পনা হয়েছে। পাশাপাশি, খালি চোখে যে এই ঘটনা দেখা উচিত নয় সেই সম্পর্কেও সবাইকে শিবিরের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে।” |