ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে: প্রত্যাশা প্রাপ্তি

পুরভোটে ধূপগুড়ি

নির্বাচনী ইস্তেহার
মোবাইল টাওয়ার নির্বাচনে ইস্যু ধূপগুড়িতে। তৃণমুলের নির্বাচনী ইস্তেহারে আছে মোবাইল টাওয়ারের কথা। কংগ্রেসও মুখে মুখে টাওয়ার নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। যে সে টাওয়ার তো নয়। ধূপগুড়ি পুরসভার ১০ বছরের টানা চেয়ারম্যান সিপিএম নেতা সত্যরঞ্জন ঘোষের বাড়ির ছাদের টাওয়ার বলে কথা। সত্যবাবু প্রার্থী হননি। তাতে কি! পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রভাব কাটিয়ে বাড়িতে টাওয়ার বসিয়ে উপার্জনের রাস্তা বের করেছেন বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল এবং কংগ্রেস। বিদায়ী চেয়ারম্যান সত্যবাবু বলেন, “আমি তো শুনেই অবাক হয়ে যাচ্ছি। এটা প্রচারের বিষয় নাকি। প্রচারের কিছু নেই বলে অবান্তর প্রসঙ্গের উত্থাপন। তবে বাড়িতে টাওয়ার বসালে মাসে কেমন আয় হতে পারে। তা নিয়ে অনেকেই হিসেবনিকেশ করছেন।

দুই গৌতম দেব
গৌতমের পাল্টা গৌতম। ভোট পরিচালনায় দলের তরফে দায়িত্বে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। রোড শো থেকে পথসভা, সামলাতে হচ্ছে মন্ত্রীকে। তৃণমূল কর্মীরাও মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে উৎসাহিত। এই প্রচারের পাল্টা হিসেবে সিপিএম নেতৃত্ব দলের রাজ্য কমিটির কাছে প্রচারে পাঠাতে অনুরোধ করেছিলেন গৌতম দেবকে। লড়াকু নেতা বলে কর্মীদের কাছে পরিচিত প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতমও পথসভা করেছেন শুক্রবার।

প্রার্থী যখন ডাক্তার
ভোটের বাকি ক’টা দিন। দম ফেলারও ফুরসত নেই প্রার্থীদের। শত ব্যস্ততায় একটি নিয়মের বদল করেননি পুরভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী বিকাশ মুস্তাফি। রোজ সকাল-বিকেল ডাউকিমারি মোড়ের বাজারে হোমিও ক্লিনিক খুলতে ভুলছেন না বিকাশবাবু। তিনি জানান, রোগী দেখা তাঁর প্রতিদিনের জীবনের অঙ্গ। তা বদলাতে পারবেন না। তা ছাড়া রোগী দেখার মাধ্যমেও তো জনসংযোগের কাজটা হয়।

মামা-ভাগ্নের লড়াই
ধূপগুড়ির পুরসভায় মামা-ভাগ্নে দুজনেই প্রার্থী। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব দে’র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের নরেন্দ্রনাথ দত্ত। যিনি অপূর্ববাবুর মামা হন। তবে মামা-ভাগ্নেকে নিয়ে এলাকায় একটি রসিকতাও চালু হয়েছে। এক প্রবীণ ব্যবসায়ী বলেন, “কথায় আছে, মামা-ভাগ্নে যেখানে, বিপদ নেই সেখানে। তবে ভোট বলে কথা, কারও না কারও বিপদ তো রয়েইছে। সেটা গণনার দিন বোঝা যাবে।”

ওয়ার্ড ৭
(সিপিএম জয়ী ৩৪৪ ভোটে)
বহু জায়গায় পাকা নিকাশি নালা তৈরি হয়নি। কয়েকটি গলি পথ চওড়া ও পাকা করা প্রয়োজন। বর্ষকালে বড় বড় কয়েকটি গর্তে জল জমে থাকায় মশার উপদ্রব বাড়ে।
মীনাক্ষী মিত্র
বেশ কিছু অংশে নিকাশি না থাকা বড় সমস্যা হয়ে। কোথাও নালা থাকলেও দীর্ঘ সময় জল জমে থাকে। স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি এখানে প্রাথমিক স্কুল তৈরি করাটাও খুব প্রয়োজন।
দেবতোষ চট্টোপাধ্যায়

ওয়ার্ডে ১৫০০ মিটার পাকা নিকাশি নালা তৈরি হয়েছে। পাকা রাস্তা হয়েছে। বামনি নদীতে
৩০০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সর্বত্র বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
মমতা রায়,

ওয়ার্ড ৮
(বিজেপি জয়ী ৯৩ ভোটে)
পর্যাপ্ত পথ বাতির ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যা থেকে অন্ধকারে পথে চলাফেরা করতে হয়। সর্বত্র নিকাশি তৈরি করা হয়নি। শিশুদের খেলাধুলার জন্য উদ্যান তৈরি করাটা খুব প্রয়োজন।
বীণা মল্লিক
নিকাশি দুর্বল। সামান্য বৃষ্টিতে জল জমে। নালা অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি করা। এলাকার সব রাস্তা পাকা হয়নি। এখনও বহু মানুষ বার্ধক্য ও বিধবা
ভাতা থেকে বঞ্চিত।
তিলু নন্দী

দল না দেখে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয়েছে। রাস্তা সংস্কার ও বহু রাস্তা পাকা হয়েছে।
৯০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছনো গিয়েছে। প্রতি গলিতে জলের কল বসানো হয়েছে।
কৃষ্ণ দেবরায়,

বন্ধনীতে আগের ভোটের ফল
সূত্র: নিলয় দাস। ছবি: রাজকুমার মোদক



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.