অভাব মেটাতে জলাধার
বৃষ্টি-ধরা জল পাবে বনবস্তি
ভুটান সীমান্তে জঙ্গল ঘেরা কালাপানি গ্রাম। রুক্ষ মাটিতে নলকূপ বসানো কার্যত অসম্ভব। কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেলেও পানীয় জল পৌঁছয়নি। বনবস্তির বাসিন্দাদের পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে নলকূপ বসানোর চেষ্টায় ছশো থেকে সাতশো ফুট গর্ত করেও জল মেলেনি। কয়েক কিলোমিটার দূরে ভূটান থেকে পানীয় জল বয়ে নিয়ে আসতে হয় বাসিন্দাদের। যে জল পাওয়া যায় তাও পরিশ্রুত নয়। এই গ্রামের বাসিন্দাদের জলের সঙ্কট দূর করতে বৃষ্টিকেই জলের উৎস বেছে নিয়েছে বন দফতর। শনিবার কালাপানি গ্রামে দুটি এলাকায় বৃষ্টির জল ধরে পরিশ্রুত করার দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হীতেন বর্মন। বনমন্ত্রী বলেন, “শুধু বন জঙ্গলের দেখাশোনাই নয়, বন বস্তির বাসিন্দাদের ভাল থাকার ব্যবস্থা করাও বন দফতরের কাজ। তেমনই কিছু কাজ করা হয়েছে। বনবস্তির বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।” জলপাইগুড়ি বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের জল ধরো, জল ভরো কর্মসূচি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই ওই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। গ্রামের দুটি বড় জলাধার তৈরি হয়েছে। বাড়ির মাথায় ত্রিশঙ্কু টিনের চাল থেকে গড়িয়ে পড়া বৃষ্টির জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে জলাধারে নিয়ে ফেলা হবে। জলাধারে ফেলার আগে ছাকনি দিয়ে জলকে পরিশ্রুত করে নেওয়া হবে। জলাধার থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল নিযে যাওয়া হবে উঁচু ট্যাঙ্কে। সেখান থেকেই কলের মাধ্যমে বাসিন্দাদের জল সরবারহ করা হবে। বন দফতর সুত্রে জানানো হয়েছে, দুটি প্রকল্প করতে প্রায় দু’লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ওই প্রকল্প দুটির মাধ্যমে গোটা এলাকার পানীয় জলের সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছে বন দফতর। এই প্রকল্প সাফল্য পেলে ডুয়ার্সের বিভিন্ন বনবস্তি যেখানে পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে সেখানেও জল ধরো, জল ভরো প্রকল্প তৈরি করবে বন দফতর। একই দিনে বনবস্তির বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক নির্ভরতার জন্য একটি পর্যটন বিশ্রাম কেন্দ্র এবং একটি রঙিন মাছের চাষ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন বনমন্ত্রী। বনপাল মনীন্দ্রচন্দ্র বিশ্বাসও অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থিত ছিলেন। কালাপানি গ্রামের পাশেই গাড়ুচিরা এলাকায় বনবস্তির আয়ের উৎস খুঁজে দিতে রঙিন মাছ চাষের ব্যবস্থা করেছে বন দফতর। ওই দিন আরেকটি অনুষ্ঠানে বনবস্তির বাসিন্দাদের রিকশা, পাম্পসেট, হাতি তাড়ানোর সরঞ্জাম ও খেলার সামগ্রী বিতরণ করে বন দফতর। ওই দিন সকালে প্রথমে বীরপাড়ার গাড়ুচিরায় রঙিন মাছ চাষের প্রকল্প উদ্বোধন করার পরে দফায় দফায় বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও পর্যবেক্ষন করেন বনমন্ত্রী। পানীয় জল প্রকল্প, গ্রামে হাতি ঢুকেছে বোঝার জন্য আগাম সতর্ক করার ব্যবস্থা সব অনুষ্ঠানই জলপাইগুড়ি বন দফতরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। জলপাইগুড়ির ডিএফও কল্যাণ দাস বলেন, “সবকটি অনুষ্ঠানে বনবস্তির বাসিন্দাদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে। রঙিন মাছ চাযে যেমন বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা হবে, বৃষ্টি ধরে পানীয় জল সরবারহের প্রকল্প বনবস্তির প্রয়োজন মেটাবে।”
দলবদল। স্থানীয় আইএনটিইউসি ও সিটু নেতাদের কাজকর্মে তিতিবিরক্ত হয়ে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনে যোগ দিলেন ওই দুটি সংগঠনের ৫৫ জন শ্রমিক। শনিবার ফুলবাড়ি-১ অঞ্চলের কামরাঙাগুড়ি এলাকার সংগঠন বদলের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ফুলবাড়ি-১ অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি তপন সিংহ দাবি করেছেন। আইএনটিইউ ও সিটুর তরফে অবশ্য ওই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.