১৪৭৩টি নতুন শিক্ষক পদের প্রস্তাব পশ্চিমে
০ জন ছাত্রছাত্রী পিছু একজন করে শিক্ষক নিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। সেই মতো মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলোর জন্য নতুন করে ১৪৭৩টি শিক্ষক পদ তৈরি হতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। কোন স্কুলের জন্য কত জন শিক্ষক, তার তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরে ওই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। চূড়ান্ত তালিকা তৈরির জন্য মেদিনীপুরে ক্যাম্প করা হয়। সেখানে স্কুলপিছু ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকার অনুপাত খতিয়ে দেখা হয়। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সংঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “তালিকা তৈরির জন্য ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখা হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই ওই তালিকা বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” আগামী ২৯ জুলাই স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা রয়েছে। জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ওই পরীক্ষার মাধ্যমেই এই অতিরিক্ত পদে নিয়োগ হতে পারে।
শিক্ষার অধিকার আইন মেনেই এই উদ্যোগ। কেন্দ্র চাইছে, স্কুলগুলোতে সুষ্ঠু পঠনপাঠন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী পিছু একজন করে শিক্ষক থাকুক। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭৫০ টিরও বেশি হাইস্কুল স্কুল রয়েছে। ১ হাজার ২০০টিরও বেশি জুনিয়র হাইস্কুল। অধিকাংশ স্কুলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নেই বলে অভিযোগ। এর ফলে পঠনপাঠন বিঘ্নিত হয়। শহরের দিকে প্রায় প্রতিটি স্কুলেই পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে। ক্লাসঘরের সংখ্যাও বেশি। কিন্তু শহরতলি ছাড়িয়ে গ্রামের দিকে গেলেই নানা অব্যবস্থা। কোথাও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লাসঘর নেই। এক- একটি ঘরে ৮০-৯০ জন পড়ুয়া গাদাগাদি করে বসে। কোথাও শিক্ষক সংখ্যা কম। তা-ও ব্লক সদর এলাকার স্কুলগুলোর পরিস্থিতি তুলনায় কিছুটা ভাল। জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতি পাল্টাতেই অতিরিক্ত পদ তৈরির পরিকল্পনা। এ জন্য রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর থেকে জেলায় জেলায় নির্দেশিকা পাঠানো হয়। যেখানে স্কুলগুলোর ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংখ্যা খতিয়ে দেখে অতিরিক্ত পদের জন্য তালিকা তৈরি করার কথা জানানো হয়। ৪০ জন ছাত্রছাত্রী পিছু একজন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হবে ধরেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে আগে স্কুলগুলোর কাছে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছিল। স্কুলগুলোর পাঠানো তালিকা দু’দফায় খতিয়ে দেখা হয়। তার পরই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য এই তালিকা পাঠানো নিয়েও অভিযোগ ওঠে। বেশ কিছু স্কুল নিজেদের যা ছাত্রছাত্রী রয়েছে, জেলা শিক্ষা দফতরে পাঠানো তালিকায় তার থেকে বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রী রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত শিক্ষক পদ পেতেই এমনটা করা হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) বক্তব্য, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপও করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ঠিক কত, বিভিন্ন ভাবে তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।” এর ফলে বেশ কয়েকটি স্কুলে অতিরিক্ত শিক্ষক পদের সংখ্যা কমেছে। এই প্রক্রিয়ার ফলে আবার কয়েকটি স্কুল ‘বাড়তি’ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যেমন, খড়্গপুর মহকুমার একটি স্কুলে এখন ২৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে। অথচ, এই স্কুলে ছাত্র সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ১০০। এখানে ২৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকার কথা। জেলা শিক্ষা দফতরের আশ্বাস, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.