ইসকুলে মুশকিল
ক্লাসে কিছু দুষ্টু ছেলে আছে, যারা আমায় অকারণে মারে ও টিফিন কেড়ে খেয়ে নেয়। এবং আমার চুল খাড়া বলে ‘সাঁইবাবা’, ‘সজারু’, ‘কদমছাঁট’ বলে রাগায়। কোচিং-এও কয়েকটি ছেলে আমায় নানা ভাবে বিদ্রুপ করে।
ঋষিত চক্রবর্তী। সপ্তম শ্রেণি, সোদপুর হাইস্কুল

দেখো ঋষিত, প্রত্যেক স্কুলে কয়েকটি দুষ্টু ছেলে থাকে। তারা নিরীহ ভালমানুষ ছেলেদের নির্যাতন করে আনন্দ পায়। এদের নির্যাতন তুমি যত সহ্য করে যাবে, তত সেটা বাড়তে থাকবে। একটা সময় তোমায় প্রতিবাদ করতে হবে। টিফিন টাইমে নিজের টিফিন নিয়ে এমন জায়গায় বসো, যেখানে তারা তোমায় বিরক্ত করতে পারবে না। ওরা তোমায় অকারণে মারে, লিখেছ। তুমি নালিশ না করতে পারলে, তোমার বাবা-মাকে বলো, স্কুলে তোমার শ্রেণিশিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে যেন সব কথা জানান।
আর রইল তোমার চুল খাড়া বলে তোমায় খ্যাপানোর কথা। মানুষকে কষ্ট দেওয়া ঠিক নয়, তবু তোমার বন্ধুরা এটা করে। তুমি এগুলো হেসে সহজ ভাবে নিলে ওদের তোমাকে খ্যাপানোর উদ্দেশ্যটা নষ্ট হয়ে যাবে। তোমাকে ‘সাঁইবাবা’ বলে ডাকলে, তুমিও বলতে পারো, ‘হ্যাঁ, বৎস, বলো কী প্রার্থনা করছ?’ এই রকম আর কী? করাটা কঠিন, কিন্তু চেষ্টা করো।


আমি খুব কবিতা লিখতে আর কার্টুন আঁকতে ভালবাসি। কিন্তু যখনই কিছু লিখতে যাই, তখনই তার পাশে কার্টুন এঁকে ফেলি। এই বদভ্যেস ছাড়তে পারছি না। কী করব?
শিহাব-আল-হায়াত। অষ্টম শ্রেণি, নয়মৌজা হাইস্কুল, মালদা
শিহাব, তুমি তো খুব গুণী ছেলে কার্টুনও আঁকো আর কবিতাও লেখো। কিন্তু আমি বুঝলাম না, লেখার পাশে কার্টুন আঁকাকে তুমি বদভ্যাস কেন বলছ? হ্যাঁ, কবিতার বিষয় যদি হাল্কা মেজাজের না হয়, তা হলে কার্টুন তার সঙ্গে যায় না। আমার মনে হয়, তুমি দুটো কাজ করে দেখতে পারো: ১) প্রথমে কার্টুন-কবিতা দুই-ই লেখা হয়ে যাওয়ার পরে, কবিতাটিকে আলাদা কাগজে লিখে ফেলো। ২) একটু চেষ্টা করে কার্টুন না এঁকে, কবিতার বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে, এমন কিছু এঁকে ফেল। চেষ্টা করে দেখো, কী ফল পাও।

আমি আবৃত্তি করতে খুব ভালবাসি। কিন্তু আবৃত্তি শুরু করলেই আমার হাই ওঠে আর আবৃত্তি বাজে হয়ে যায়। কী করলে হাই ওঠা বন্ধ হবে?
তমলীন রায়। তৃতীয় শ্রেণি, র্যাডক্লিফ স্কুল
তমলীন, তুমি যখন আবৃত্তি করো, তখন কি ভাবতে থাকো আবৃত্তি কী রকম হবে, লোকে ভাল বলবে কি না? যখন আবৃত্তি করবে তখন একদম ভাববে না, কে কী ভাববে। শুধু কবিতার কথা ভাববে, তার অর্থ বুঝে, আবৃত্তির দিকে মন দেবে। এটা করতে পারলে আমার মনে হয়, তোমার হাই ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।

খামে ভরো মুশকিল

পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:


ইসকুলে মুশকিল, রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.