‘জিতব রে’ বলে তৈরি কলকাতা
চার বছরে এই প্রথম। আইপিএলের ফাইনালে কলকাতার ‘জয়’ দেখার আশায় তাই কোমর বাঁধছে শহর। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি, সকলেরই মন রবিবার সন্ধ্যার দিকে। চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে স্বশরীরে হাজির থাকতে না পারলেও টিভির সামনে বসে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য গলা ফাটাতে তৈরি সকলে। শুধু কলকাতার দল বলেই নয়, ‘কে কে আর’ এ বার আরও বেশি প্রিয় হয়েছে কে কে আর-এর মালিক শাহরুখ খান এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় এই রাজ্যের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হওয়ায়।
ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র ইতিমধ্যেই ১০০ জন ক্রীড়ামোদীকে নিজের উদ্যোগে ট্রেনে চেন্নাই রওনা করিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন কে কে আর-এর জার্সি, রবিবার পরে মাঠে যাবেন বলে। যদি মুখ্যমন্ত্রী ‘অনুমতি’ দেন, তা হলে চেন্নাইয়ে যেতে তৈরি মদনবাবুও।
যাওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেছেন যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। এমনকী, টলিউডের একগুচ্ছ তারকাকেও সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে তাঁর। শুক্রবার মন্ত্রী জানান, শাহরুখের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি, যাতে টালিগঞ্জের তারকারা গেলে মাঠে ঢোকার সমস্যা না হয়।
শাহরুখের সঙ্গে কথা না হলেও জুহি চাওলার সঙ্গে ইতিমধ্যেই এসএমএসে কথা হয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। তিনি বলেন, “মাঠে যাওয়া হবে না। তবে জুহিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। কে কে আর-এর জয়ের আশায় মনটা চনমনে হয়ে আছে। শু্যটিং সেরে বাড়ি ফিরেই সবাইকে নিয়ে টিভির সামনে বসে পড়ব।” টিভিতেই খেলা দেখবেন প্রসেনজিৎও। তবে সবটাই নির্ভর করছে তাঁর শু্যটিং থেকে ফেরার উপরে। সৌরভের শহরে কে কে আর-এর সঙ্গে ‘দাদা’র খেলার দিন প্রসেনজিৎ অবশ্য পুণে ওয়ারিয়র্সের জার্সি পরে মাঠে গিয়েছিলেন। তবে কে কে আর ফাইনালে যাওয়ায় তিনি কলকাতার ‘বিজয়’ প্রত্যাশী। বললেন, “কে কে আর প্রথম বার ফাইনালে ওঠায় আমি তো খুবই এক্সাইটেড।”
চেন্নাই যাওয়া না যাওয়ার মাঝখানে রয়েছেন জিৎ। তিনি বলেন, “ঠিক হয়নি এখনও। আমার একটা ফাঁকা ফ্ল্যাট আছে, না যাওয়া হলে সেখানেই বন্ধুদের নিয়ে আইপিএল ফাইনাল দেখব।” কলকাতায় বসে টিভিতে খেলা দেখবেন কোয়েল মল্লিকও। বলেছেন, “খুব ব্যস্ত, তবু খেলাটা কিছুতেই মিস্ করতে চাই না।”
দেব ও শুভশ্রী দু’জনেই বাড়ির সকলের সঙ্গে বসে টিভিতে খেলা দেখার প্ল্যান করে রেখেছেন। দেব বলেন, “রবিবার আমার শু্যটিং আছে। সে দিন একটু তাড়াতাড়ি প্যাক-আপ হয়ে গেলেই বাড়ি চলে আসব।” খেলা দেখার জন্য শুভশ্রীর উত্তেজনা আরও বেশি। বললেন, “উফ! রবিবারটা মনে হচ্ছে কত দূরে। বাড়ির সবার সঙ্গে বসে খেলা দেখার প্ল্যান পাকা।”
মাঠে বসে আইপিএল ফাইনাল দেখার ইচ্ছে থাকলেও ‘কাজের জন্য’ চেন্নাই যাওয়ার বাসনা ত্যাগ করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বলেন, “ইচ্ছে তো ছিল যাই, কিন্তু শু্যটিং। টিভিতেই দেখতে হবে।”
টিভিতে খেলা দেখবেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও। তবে, কে কে আর-এর জার্সি গায়ে। বললেন, “চার বছর আগে, প্রথম আইপিএলের সময়ে জার্সিটা কিনেছিলাম। এত দিনে ওটা পরে ফাইনাল দেখার সুযোগ এল! আমি তো খুব এক্সাইটেড।” কে কে আর অবশ্য ইতিমধ্যে তাদের জার্সি বদলে ফেলেছে। তাই চার বছর আগের জার্সি গায়ে দিয়ে সৃজিত এ বার কে কে আর-কে সমর্থন করতে বসলে গোটা ব্যাপারটার মধ্যে কোথাও একটা ‘ভূত ভূত গন্ধ’ থাকার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে ‘ভূতেরও ভবিষ্যৎ’ থাকে। সেই আশাতেই ‘‘রবিবারের খেলাটা দেখব’’ বলে জানিয়ে দিয়েছেন আর এক পরিচালক অনীক দত্ত।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.