পথ-বিধি ভেঙে পালাতে গিয়ে পুলিশকে ধাক্কা
ট্রাফিক আইন অমান্য করা একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন বালি ট্রাফিক গার্ডের এক পুলিশকর্মী। শুক্রবার সকালে, বালিঘাট স্টেশনের সামনে। গাড়ির ধাক্কায় ওই পুলিশকর্মীর বাঁ হাত ভেঙে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, হাওড়া কমিশনারেট হওয়ার পরে ট্রাফিক পুলিশকে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগে বহু মামলা দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি, ‘ওয়ান ওয়ে’ রাস্তায় ঢুকতে দেওয়া, ‘নো-এন্ট্রি’ দিয়ে গাড়ি যেতে দেওয়া, ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী গাড়িকে কেস দেওয়া যাবে না ইত্যাদি দাবিতে গাড়িচালকদের হাতে হেনস্থা হচ্ছেন বড়বাবু থেকে কনস্টেবল এমনকী গ্রিন পুলিশও।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বালিঘাট স্টেশনের সামনে গাড়ির কাগজ পরীক্ষা করছিলেন বালি ট্রাফিক গার্ডের ৩ পুলিশকর্মী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন চেঙ্গিস খান নামে ওই কনস্টেবল। পুলিশ জানায়, যাত্রীবোঝাই একটি গাড়ি বালির দিকে যাচ্ছিল। বালিঘাট স্টেশনের সামনে সেটিকে দাঁড় করান চেঙ্গিস। অভিযোগ, চালকের সিট বেল্ট বাঁধা ছিল না। তাই তাঁর লাইসেন্স দেখতে চান তিনি। কিন্তু চালক লাইসেন্স না দেখিয়ে পালানোর সময়ে চেঙ্গিসকে ধাক্কা মারেন। অন্য পুলিশকর্মীরা মোটরবাইক নিয়ে গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। তখন সেখান দিয়েই যাচ্ছিলেন সল্টলেক পুলিশের এসিপি (ট্রাফিক) তথা বালির বাসিন্দা সমরেন্দ্র দাস। তিনি গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। বালিঘাটের কিছু দূরে গাড়িটি ধরা পড়ে। চালক গ্রেফতার হয়েছেন।
গত সেপ্টেম্বরে হাওড়া কমিশনারেট হওয়ার পর থেকেই ট্রাফিকের উন্নতিতে জোর দিয়েছে পুলিশ। একমুখী ও ‘নো-এন্ট্রি’ ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে নিয়মিত গাড়ির কাগজ পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশের অভিযোগ, ট্রাফিক আইন বলবৎ করতে গিয়ে তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশ জানায়, মাস তিনেক আগে বজরংবলীতে একমুখী রাস্তায় একটি লরিকে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় প্রহৃত হন বালি ট্রাফিকের আইসি রিয়াজ আহমেদ খান। গত সোমবার লিলুয়া বড় গেটের কাছে কিছু যুবকের হাতে মার খান এক গ্রিন পুলিশকর্মী। মাস দুয়েক আগে ‘নো-এন্ট্রি’ না মানায় কেস দেওয়ার ‘অপরাধে’ লিলুয়ার এক সার্জেন্ট ও কনস্টেবলকে বেধড়ক মারধর করে কয়েক জন ব্যক্তি। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) অখিলেশ চর্তুবেদী বলেন, “ট্রাফিক আইন বলবৎ করতে গিয়েই সমস্যা হচ্ছে। পুলিশকে মারধর ও অসহযোগিতার অভিযোগে গত ন’মাসে ৬০টি মামলা দায়ের হয়েছে।” অন্য দিকে, কর্তব্যরত এক হোমগার্ডকে নিগ্রহের অভিযোগে শুক্রবার রামমোহন রায় রোড থেকে এক ট্যাক্সিচালক গ্রেফতার হলেন। ধৃতের নাম নীরজ সাউ। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক যাত্রীর জন্য রামপ্রসাদ বিশ্বাস নামে উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের ওই হোমগার্ড একটি ট্যাক্সিকে থামতে বলেন। অভিযোগ, নীরজ ট্যাক্সি থামালেও যাত্রীকে তুলতে চাননি। পরে কথা কাটাকাটির সময়ে নীরজ রামপ্রসাদের হাত মুচড়ে দেন। নীরজ পালালেও ট্যাক্সিটিকে আটক করা হয়। অন্য দিকে, এ দিন মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পিজি-র সামনে আলপনা ওঝা (৫০) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.