সম্পাদক সমীপেষু...
সব স্কুলে চাই যথেষ্ট শিক্ষক
আমাদের রাজ্যে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ছিল ১:৪০। ৫-৩-১৯৯৮ তারিখে বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকার একটি নির্দেশ বলে নং ১৬৭-এস ই (এস), এক ধাক্কায় শিক্ষক-ছাত্র সমপাত ১:৮০ করে দেয়। কারণ হিসাবে অবশ্যই বলা হয় ‘সরকারের বর্তমান আর্থিক সংকট’-এর কথা। ফলে, বিগত ১৫ বছর ধরে বহু বিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী নিয়ে শিক্ষকের অভাবে, উপযুক্ত শ্রেণিকক্ষের অভাবে বহু বিদ্যালয় সমস্যাজর্জরিত হয়ে চলছে।
সম্প্রতি রাজ্য শিক্ষা দফতর অধিকতর আর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও শিশুদের বিনা ব্যয়ে আবশ্যিক শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯-এর চাপে আপাতত বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ১:৪০ ধরে অতিরিক্ত শিক্ষক পদ মঞ্জুর করেছে। এটি অবশ্যই শিক্ষার স্বার্থে একটি বলিষ্ঠ ও ইতিবাচক পদক্ষেপ। সরকারি ওয়েবসাইটে সামগ্রিক তথ্য দেখে বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রায় ৬০ শতাংশ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিদ্যালয়ে এই অনুপাতের নিরিখে বহু শিক্ষকপদ উদ্বৃত্ত আছে। এমন বহু বিদ্যালয় আছে যেখানে ১০ জনেরও অধিক শিক্ষকপদ আছে। পূর্বে সরকার যেখানে একটু তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করে খুব সহজেই বিদ্যালয়গুলিতে সমতা রক্ষা করতে পারত ১:৪০ অনুপাত বজায় রেখেই। কিন্তু বিন্দুমাত্র সৃজনশীল চিন্তাভাবনা না-করার ফলে আর্থিক সংকটের অজুহাতে বেশির ভাগ বিদ্যালয়কে গোয়ালঘরে পরিণত করে শিক্ষার মানের অবনতি ঘটিয়েছে। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী মহাশয়ের নিকট আবেদন, মহাজনের দেখানো পথে না-হেঁটে প্রয়োজনীয় আইনের সংশোধনী পাশ করে যে সব বিদ্যালয়ে ১:৪০ অনুপাত ধরে শিক্ষক সংখ্যা অনেক বেশি আছে, সেখান থেকে শিক্ষকপদের অবলুপ্তি ঘটিয়ে যেখানে প্রয়োজন সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। এ ছাড়া এমন বহু বিদ্যালয় আছে, যেখানে ছাত্রছাত্রীর তুলনায় শিক্ষক বেশি, সেই সমস্ত অপ্রয়োজনীয় বিদ্যালয়গুলিকে নিকটবর্তী কোনও বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত করার নীতি গ্রহণ করুন। বহু দিন ধরে চোখের সামনে জীবন্ত তথ্য দেখেও কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ বা অপদার্থতার জন্য এই ধরনের ছাত্রবিহীন বিদ্যালয়গুলিকে বাঁচিয়ে কিছু শিক্ষককে ‘আসি যাই মাইনা পাই’-এর দলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়গুলির মধ্যে শিক্ষক-ছাত্র অনুপাতের ক্ষেত্রে ব্যাপক অসাম্য শিক্ষক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যে সব বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বেশি পরিশ্রম করতে হয়, তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁরা অন্য বিদ্যালয়ের তুলনায় বেশি ক্লাস নেবেন। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মত সিদ্ধান্ত নিলে সরকারি আর্থিক সংকটের কিছুটা ভার লাঘব হবে, অন্য দিকে, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য কমবে।
চড়ুই পাখির ক্রমবিলুপ্তি
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘যা দেখি, যা শুনি, একা একা কথা বলি’ (৪-৪) নিবন্ধটিতে চড়াই বা চড়ুই পাখির ক্রমবিলুপ্তির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। পরিবেশবিদরা এ ব্যাপারে জনচেতনা গড়ে তোলার জন্য ২০ মার্চ ‘বিশ্ব চড়ুই দিবস’ হিসেবে পালন করেছেন। চড়ুই পাখির অবলুপ্তির জন্য কোনও একটি বিশেষ কারণকে দায়ী করা ঠিক হবে না। মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য কারণ ছাড়াও এটা জানা গেছে যে, এক শ্রেণির চোরাশিকারি যৌন ক্ষমতাবর্ধক ওষুধ তৈরির জন্য চড়ুই পাখির বিপণন শুরু করেছে।
অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে হওয়া এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, অন্ধ্রপ্রদেশের গ্রামাঞ্চলেও চড়ুই পাখির সংখ্যা ক’বছরের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে। অন্যান্য দেশেও এই পাখির সংখ্যা ক্রমহ্রাসমান। ব্রিটিশ পক্ষিবিজ্ঞান সংস্থা এই বিষয়ে সমীক্ষা চালিয়ে জানতে পেরেছে যে, সত্তরের দশকের তুলনায় বর্তমানে চড়ুইয়ের সংখ্যা সমগ্র ব্রিটেনে প্রায় ৫৮ শতাংশ কমে গিয়েছে। এটা খুবই উদ্বেগের।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.