|
|
|
|
কিশোর খুনের তদন্তে থানায় ডেকে ‘নিগ্রহ’ অন্য কিশোরকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সপ্তাহ খানেক আগে মেদিনীপুর শহরের বরিশাল কলোনিতে দিনে-দুপুরে বাড়ির মধ্যেই খুন হয়েছিল অভিষেক নাগ নামে বছর তেরোর এক কিশোর। তার দু’টো হাতের শিরাই ধারালো অস্ত্রে কাটা হয়েছিল। কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে খুন করেছে, তার কিনারা এখনও করতে পারেনি পুলিশ। কিন্তু ঘটনার সূত্রে জিজ্ঞাসাবাদের নামে শহরেরই বড়-আস্তানা এলাকার বছর ষোলোর এক কিশোরকে থানায় এনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। শেখ রাজেশ নামে ওই কিশোরকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরির কাছে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ছেলের উপর নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেছেন মা রহিমা বিবি।
রহিমার অভিযোগ, “পুলিশ বাড়ি এসে বলেছিল, ছেলেকে পাঠাতে। সেই মতো বুধবার সন্ধ্যায় ও থানায় যায়। ছেলেকে দু’দিন থানায় আটকে রেখে টানা মারধর করা হয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে ছাড়া হয়।” হাসপাতালে ভর্তি রাজেশও বলে, “আমি মার্বেলের কাজ করি। খুনের ব্যাপারে কিছুই জানি না। কিন্তু পুলিশ আমাকে দিয়ে খুনের কথা বলাতে চেয়েছিল।” পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ অবশ্য নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, অভিষেকের দাদা অভিরুকের বন্ধু বলেই রাজেশকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। অভিষেকের বাবা প্রবীরবাবুর বক্তব্য, “আমরা চাই, ছেলের খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হোক। কিন্তু থানায় ডেকে কাউকে মারধর করা অনুচিত।”
|
দিঘায় ডুবে মৃত ২ ভাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
দিঘার সমুদ্রে শনিবার সকালে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। মৃত সঞ্জিত লোহার (৩৭) ও সুরজিৎ লোহারের (৩২) বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার ইছাপুরের নবাবগঞ্জ এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জিত তাঁর স্ত্রী সুষমা, পাঁচ বছরের মেয়ে পিঙ্কি ও ভাই সুরজিৎ-কে নিয়ে শুক্রবার দিঘায় বেড়াতে আসেন। তাঁরা পুরনো দিঘার একটি হোটেলে উঠেছিলেন। শনিবার সকালে সমুদ্রস্নানের সময়ে পিঙ্কি তার মায়ের হাত-ছাড়া হয়ে ঢেউয়ে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হলে তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেন সঞ্জিতবাবু। মেয়েকে ধরে পারে নিয়ে আসার সময়ে আর একটি বড় ঢেউ সঞ্জিতবাবুকে ধাক্কা মারে। তিনি তলিয়ে যাচ্ছেন দেখে ভাই সুরজিৎ ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু তিনিও ঢেউয়ের তোড়ে তলিয়ে যান। পরে দেহ দু’টি উদ্ধার হয়। পিঙ্কি অবশ্য মায়ের কোলে ফিরে আসে। |
|
|
|
|
|