টুকরো খবর
হামলার ছক ছিল ভারতীয় দূতাবাসে
ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানোর ছক কষেছিল ফ্রান্সে নিহত জঙ্গি মহম্মদ মেরাহ। পাকিস্তানে প্রশিক্ষণের সময়ে তাকে এ কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তালিবান নেতৃত্ব। এ কথা জানিয়েছে ফ্রান্সের একটি প্রথম সারির দৈনিক। মার্চ মাসে তিন জন সেনা সহ বেশ কয়েক জনকে খুন করে মহম্মদ। ২২ মার্চ টুলুস শহরে তার বাড়ি ঘিরে ফেলে ফরাসি বিশেষ বাহিনী। ৩২ ঘন্টা পরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় সে। এই ঘটনার কিছু ক্ষণ আগে ফ্রান্সের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে ফোন করে মহম্মদ। তখন ওই জঙ্গি স্পষ্টই জানায়, আল কায়দার সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। বাড়ি ঘিরে ফেলার পরে পুলিশ অফিসারদের সঙ্গেও কথা বলেছিল মহম্মদ। সেই কথোপকথন রেকর্ড করা হয়। ফরাসি দৈনিকটির দাবি, তখনই ভারতীয় দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনার কথা জানায় সে। কিন্তু, দূতাবাসে হামলা চালানো শক্ত বলে শেষ পর্যন্ত মহম্মদ ওই পরিকল্পনা ত্যাগ করে বলে জানিয়েছে দৈনিকটি। দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ফরাসি সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রাকেশ সুদ। তাঁর মতে, মহম্মদ ঠিক কী ভেবে হামলা চালায়নি তা এখন বোঝা সম্ভব নয়। তবে দৈনিকটিই জানিয়েছে, দূতাবাসে হানা দেওয়া কঠিন হবে বলে সে স্বীকার করে নিয়েছিল। ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে ফ্রান্সেই মুসলিমদের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। এই দেশে মহম্মদের মতো জঙ্গির কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন ফরাসি সরকার। আরও তথ্য জানার জন্য তার ভাইকে জেরা করছেন গোয়েন্দারা।

ভারত-পাক সীমান্তে বাড়ল নিরাপত্তা
জঙ্গি হামলার হুমকির পরে ওয়াঘা সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াল ভারত ও পাকিস্তান। সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে এই সীমান্তে একটি বিশেষ চেকপোস্ট তৈরি করা হয়। ওই চেকপোস্টেই হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। একটি পাক সংবাদপত্রের দাবি, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের আগেই পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে। তাই ওয়াঘা সীমান্তে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লস্কর। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, পাক সরকারের সহযোগিতায় সীমান্তে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করেছে ভারত। তবে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনার কথা তাঁর জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পাক সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সের মুখপাত্র মেহবুব হুসেন। মেহবুব জানিয়েছেন, ওয়াঘা সীমান্তে বাণিজ্যকেন্দ্রগুলির নিরাপত্তার ভার রয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে। সেগুলিতে কখনই সতর্কতা শিথিল করা হয় না।

ইউরোপীয় ব্যাঙ্কের প্রধান হলেন বাঙালি
ইউরোপীয় পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাঙ্কের প্রধান হলেন ব্রিটেনের আমলা সুমা চক্রবর্তী। প্রথম এই দায়িত্ব পেলেন কোনও বাঙালি। আগে কোনও ব্রিটিশ নাগরিকও এই ব্যাঙ্কের প্রধান হননি। এখন ব্রিটেনের আইন মন্ত্রকে স্থায়ী সচিবের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সুমা। ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্নের মতে, ইউরোপীয় পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাঙ্কের প্রধানের পদে সুমাই সব চেয়ে যোগ্য। সব চেয়ে কম বয়সে ব্রিটেনে যাঁরা স্থায়ী সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে সুমা অন্যতম। ২০০৬-এ নাইটহুড পান। সুমার জন্ম জলপাইগুড়িতে। ১৯৬৪-তে ব্রিটেনে পড়তে যান তাঁর বাবা হীরেন্দ্রনাথ। সঙ্গে যায় পাঁচ বছরের সুমা। ১৯৬৮-তে কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন হীরেন্দ্রনাথ। রাজনৈতিক গোলমালের জেরে ফিরে যান সুমা ও তাঁর মা গায়ত্রী। অক্সফোর্ড ও সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন তিনি।

রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরাল ইতালি
ভারতে তাদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরাল ইতালি। ৩ মাস আগে কেরল উপকূলে ইতালীয় জাহাজ থেকে জলদস্যু সন্দেহে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের গুলি করলে মারা যান দুই মৎস্যজীবী। এই ঘটনায় ওই দুই ইতালীয়র বিরুদ্ধে আজ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে কেরল পুলিশ। সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্যই রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে ইতালির বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.