বিধায়কদের চিকিৎসার বিলে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে বিধানসভা। এ বার বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলির ‘বর্ধিত বিল’ দেওয়া আটকাতে তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আইন আরও ‘কড়া’ করার
জন্য সংশোধনী আনার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিচ্ছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধায়কদের দেওয়া চিকিৎসার যে বিল নিয়ে প্রায়শই বিধানসভাকে ‘অস্বস্তি’তে পড়তে হয়, তাতে অনেক সময়েই বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলির ভূমিকা থাকে বলে শুক্রবার বিধানসভার এনটাইটেলমেন্ট
কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানেই ঠিক হয়, এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশ আইনে আরও ‘কঠোর’ সংস্থান আনার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন স্পিকার। বিধায়কদের চিকিৎসার বিলের বিষয়টি দেখার জন্য এনটাইটেলমেন্ট কমিটির অধীনেই একটি সাব-কমিটি করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র।
|
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরে এ বার এমডি, এমএস পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য কাউন্সেলিংয়ের তারিখ ধার্য করতে বৈঠকে বসছে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মৃণালকান্তি চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার জানান, ৩১ মে-র মধ্যে ক্লাস শুরু করতে হবে। কাউন্সেলিং পর্ব মিটিয়ে ফেলা হবে তার বেশ কয়েক দিন আগেই। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকেই কাউন্সেলিংয়ের দিন ফেলবে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়।
অবিলম্বে কাউন্সেলিং শুরু করতে হবে বলে বৃহস্পতিবারই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তারা বলেছিল, এক ঘণ্টাও সময় নষ্ট করা যাবে না। বিচারপতি প্রতাপ রায় ও বিচারপতি সুবল বৈদ্যের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায়ে জানায়, উচ্চশিক্ষায় মেধা বা মানের সঙ্গে সমঝোতার কোনও সুযোগ নেই। দুর্গম ও উপদ্রুত এলাকার হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে বাড়তি ৩০ নম্বর দেওয়ার সরকারি বিজ্ঞপ্তি অসাংবিধানিক, অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। তাই সেটি স্থগিত করে মেধা-তালিকা অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরই কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভর্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দুর্গম এলাকার ডাক্তারদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য বাড়তি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু বাড়তি নম্বর দিয়ে মানের সঙ্গে আপস চলবে না।
|
‘হাসপাতাল ও জনস্বার্থ রক্ষা’ সংগঠন ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপারকে স্মারকলিপি দিল। সংগঠনের সিউড়ি শাখার নেত্রী সাথী পাল বলেন, “চিকিৎসক, কর্মীর ঘাটতি আছে। বিভিন্ন যন্ত্রও খারাপ।” হাসপাতাল সুপার মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “যে দাবি আমাদের পক্ষে মেটানো সম্ভব তা পূরণ করা হবে। বাকি বিষয় কর্তৃপক্ষকে জানাব।” |