|
|
|
|
পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামোন্নয়নে জোর |
খামতি পূরণে উদ্যোগী তৃণমূলের জেলা পরিষদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজেদের খামতি পূরণ করতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ‘পিছিয়ে পড়া’ পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির তালিকা বানিয়েছে তারা। এ বার ওই সব পঞ্চায়েতে কাজের তদারকি করতে গঠন হল পাঁচ সদস্যের নজরদারি কমিটি। মঙ্গলবার জেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত বৈঠকে ৫ সদস্যের ওই ‘মনিটরিং কমিটি’ গড়া হয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি ছাড়াও অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন), জেলা গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক ও জেলা পরিষদের উপসচিব থাকছেন কমিটিতে। কমিটির সদস্যরা ‘পিছিয়ে পড়া’ এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের হাল খতিয়ে দেখবেন ও পরামর্শ দেবেন। তার পরেও কাজে গতি না-এলে ওই সব পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা পরিষদ-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের অধিকাংশই তৃণমূলের দখলে। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজেদের খামতি পূরণ করতে সতর্ক তৃণমূল নেতৃত্ব গ্রামোন্নয়নের কাজে গতি আনতে উদ্যোগী হয়েছেন। যে সব পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি ২০১১-১২ আর্থিক বছরে বিভিন্ন গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থের ৫০ শতাংশও খরচ করতে পারেনি, তাদের ‘পিছিয়ে পড়া’র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলার মোট ৩১টি পঞ্চায়েত ও ৪টি পঞ্চায়েত সমিতিকে ‘পিছিয়ে পড়া’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘পিছিয়ে পড়া’র তালিকায় খেজুরি ২-এর মতো ‘প্রশাসক’ নির্ভর পঞ্চায়েত সমিতির পাশাপাশিই রয়েছে রামনগর-২, নন্দকুমারের মতো তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি। সিপিএম পরিচালিত পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতিও রয়েছে ‘পিছিয়ে পড়া’র তালিকায়। যদিও এই তালিকা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন শুধু বলেন, “পিছিয়ে পড়া পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকে চিহ্নিত করে বিশেষ নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” সহ-সভাধিপতি জানান, জেলায় ১০০ দিনের কাজে চলতি আর্থিক বছরে (২০১২-১৩) ৪০০ কোটি টাকা খরচের (বিগত ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ আর্থিক বছরে খরচ হয়েছিল যথাক্রমে ১১৯ ও ১৮৫ কোটি টাকা) লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
আলোচনাসভা। সচেতনতা শিবির, বিজ্ঞাপন, প্রচার সত্ত্বেও শিশুশ্রম, নারী-পাচার, বাল্য বিবাহের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলায় উদ্বেগ প্রকাশ করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিশুসুরক্ষা কমিটি। কাঁথির কাজলা জনকল্যাণ সমিতির সভাকক্ষে মঙ্গলবার জেলাস্তরের এক আলোচনায় আরও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচারের উপর জোর দেন শিশুসুরক্ষা কমিটির সদস্যরা। নজরদারি চালানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলার ৪৭টি শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্য ছিলেন।
|
|
|
|
|
|