|
|
|
|
প্রদীপ তা হত্যায় চার্জশিট দিল সিআইডি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সিপিএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন হত্যা মামলায় বর্ধমান আদালতে চার্জশিট পেশ করল সিআইডি। বৃহস্পতিবার দুপুর মুখবন্ধ খামে সিজেএমের কাছে সেটি পেশ করা হয়। যদিও এ দিন সরকার পক্ষের আইনজীবী তা হাতে পাননি।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে দেওয়ানদিঘিতে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা এবং সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য, সত্তরোর্ধ্ব কমল গায়েনকে পিটিয়ে খুন করা হয়। সিপিএমের তরফে তৃণমূলের ২২ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিরা এখনও পলাতক। |
 |
জোড়া সিপিএম নেতা খুনের মামালায় চার্জশিট দিতে বর্ধমান আদালতে সিআইডি-র দল |
এ দিন দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ সিআইডি-র একটি দল সিজেএম ইয়াসমিন আহমেদের এজলাসে গিয়ে চার্জশিট পেশ করেন। নিয়মমাফিক, পরে ওই চার্জশিটের প্রতিলিপি সরকার পক্ষের আইনজীবী-সহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মহলে যাওয়ার কথা। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ চার্জশিটটি নথিভুক্ত করা হয়। এর পরে এ দিন আর কাউকে প্রতিলিপি পাঠানো হয়নি। ফলে মুখবন্ধ খামে সিআইডি কী জানিয়েছে, সরকার বা অভিযুক্ত পক্ষের কেউ তা সরকারি ভাবে জানতে পারেননি।
সিআইডি সূত্রের খবর, ১৩ পাতার চার্জশিটে তিন জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে দু’জন সত্তর দশকে নিহত এক কংগ্রেস নেতার আত্মীয়, এক জন শহরেরই এক তৃণমূল নেতা। বাকি ১৯ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলা ও খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে যে চার জনকে ধরা হয়েছিল তাঁদের অন্যতম, তৃণমূল নেতা পতিতপাবন তা-ই ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে চার্জশিটে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, সে দিন সিপিএমের একটি মিছিল বের হওয়া নিয়ে বচসা বেধেছিল। তার জেরে পতিতবাবুর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে জানা গিয়েছে। যদিও খাম খোলা না হওয়ায় সরকারি ভাবে এই তথ্যের সমর্থন মেলেনি।
ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কিছু তৃণমূল নেতা দাবি করেছিলেন, সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন। যদিও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তৃণমূলের লোকজনকে ধরার পরেই তা কার্যত নস্যাৎ হয়ে যায়। কিন্তু জনস্বার্থ মামলায় বর্ধমান থানার পুলিশ সময় মতো ময়না-তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে না পারায় তাদের তীব্র ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট। এর পরেই সিআইডি-র হাতে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল। |
|
|
 |
|
|