বিমান কেনার খোঁজখবর নিতেই বিমানে উঠেছিলেন তাঁরা। সেই বিমানের সঙ্গেই নিখোঁজ হয়ে গেলেন বেশ কিছু শিল্পপতি, সাংবাদিক-সহ ৫০ আরোহী। আজ জাকার্তা থেকে উড়ান শুরুর ২০ মিনিট পরেই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যাত্রিবাহী রুশ বিমান সুখোইয়ের। ১০০ যাত্রী বহনে সক্ষম বিমানটিতে ৪৪ জন যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়াও বিমানে চালক-সহ ৬ জন কর্মী ছিলেন। যাত্রীদের অধিকাংশই ইন্দোনেশিয়ার সাংবাদিক ও সরকারি আধিকারিক। রাত পর্যন্ত বিমানটির খোঁজ মেলেনি। সরকারি সূত্রের খবর, ওই এলাকায় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। দেশের জাতীয় উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র গাগা প্রাকোসো জানান, সালাক পার্বত্য অঞ্চলে ওড়ার সময়ে বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায়। তখন ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল সেটি। তাঁর আশঙ্কা, খারাপ আবহাওয়ায় ভেঙে পড়েছে বিমানটি। তবে ছিনতাইয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। |
নিখোঁজ হওয়ার আগে শেষ উড়ান বিমানটির। জাকার্তায়। ছবি: এপি |
এত দিন পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে সুখোই বিমান ব্যবহার করা হত। এই প্রথম সাধারণ যাত্রী পরিবহণে এই বিমান ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিকল্পনা ছিল ইন্দোনেশিয়ার এয়ারলাইন্স যাত্রী পরিবহণে ব্যবহার করবে এই বিমান। তাই রাশিয়া থেকে যাত্রী পরিবহণে সক্ষম দু’টি সুখোইকে ইন্দোনেশিয়ায় আনা হয়েছিল। তার মধ্যে একটিকে আজ প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হয়। দুর্ঘটনায় পড়ার সময় এটি তার দ্বিতীয় উড়ান ছিল। বাজারে আসা বিমানটি কে কিনবে তা ঠিক করতেই আগ্রহী বেশ কিছু শিল্পপতিও ছিলেন।
স্থানীয় সময় দুপুর দু’টো বেজে ২০ মিনিটে জাকার্তার হালিম পারদানাকুসুমা বিমানবন্দর থেকে বিমানটি উড়েছিল। |