মেধা-তালিকা ফিরছে, ঠাঁই প্রথম একশো স্থানাধিকারীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সময় এ বার মেধা-তালিকায় থাকা ‘প্রথম ১০০ জনের নাম’ ঘোষণা করা হবে। বুধবার এ কথা জানিয়েছেন স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব বিক্রম সেন। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়ে দিয়েছে, প্রথম ১০০ স্থানের মধ্যে যত পরীক্ষার্থীর নাম আসবে, তাঁদের সকলকেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সচিবের নির্দেশিকার পরে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছিল, ওই ১০০ জনকে কী ভাবে চিহ্নিত করা হবে? কারণ মাধ্যমিকে বা উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায়ই দেখা যায় মেধা-তালিকায় কোনও কোনও স্থান অধিকার করেছেন একাধিক পরীক্ষার্থী। সে-ক্ষেত্রে প্রথম ১০০ স্থানে থাকা সকলকে জায়গা দিতে হলে মোট স্থানাধিকারীর সংখ্যা ১০০-র অনেক বেশি হয়ে যেতে পরে। আবার স্কুলশিক্ষা সচিবের নির্দেশিকা অনুযায়ী যদি মাত্র ‘১০০ জন’কেই সরকারি তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়, তা হলে একই নম্বর পেয়েও অনেকে বঞ্চিত হতে পারেন। পর্ষদ ও সংসদের বক্তব্য জানার পরে অবশ্য সংশয় অনেকটাই কেটেছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি শান্তিপ্রসাদ সিংহ বলেন, “আমরা প্রথম ১০০ পর্যন্ত স্থানাধিকারীকে মর্যাদা দিতে চলেছি। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যা-ই হোক না কেন। একই নম্বর পেয়ে যদি স্থানাধিকারীদের মোট সংখ্যা ১০০ থেকে ছাড়িয়ে ২০০-ও হয়ে যায়, অসুবিধা নেই।” উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “প্রথম ১০০ জনের কথাই ভাবা হয়েছে। তবে আরও কিছু নাম যদি ওই ১০০ স্থানের মধ্যে এসে যায়, তাঁদেরও তালিকাভুক্ত করা হবে।”
|
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গোয়েন্দা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল সিআইডি। রাজ্যে উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে কার্যত নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দু’দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিআইডি অফিসারেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতি, নিয়ম ভেঙে নিয়োগ ইত্যাদি অভিযোগে গত বছরই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে সরকারি তদন্ত শুরু হয়। উপাচার্য অবশ্য জানিয়ে দেন, তাঁর কার্যকালে কোনও দুর্নীতি হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের বিভিন্ন সময়ে বিকাশ ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন উচ্চশিক্ষা দফতরের কর্তারা। যদিও তখন কিছু ধরা পড়েনি বলে দফতর সূত্রের খবর। তা হলে এখন সিআইডি-কে তদন্তভার দেওয়া হল কেন? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “বলতে পারব না। এটা স্বরাষ্ট্র দফতরের ব্যাপার।” সিআইডি অবশ্য একে ‘তদন্ত’ বলতে রাজি নয়।
|
মামলা সামাল দিতে ট্রাইব্যুনাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মামলার পাহাড় সামলাতে ট্রাইব্যুনাল গড়তে চলেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বুধবার মহাকরণে বলেন, “পঞ্চায়েত সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার রায় দফতরের আধিকারিকেরা সময়মতো জানতে পারছেন না। কোথায় কত মামলা চলছে, পঞ্চায়েত দফতরের কাছে তার হিসেব নেই। সেই কারণেই ট্রাইব্যুনাল গড়তে চাইছি।” মন্ত্রী জানান, ট্রাইব্যুনাল তৈরির সবিস্তার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য রাজ্যের আইন দফতরের কাছে পাঠানো হয়। ১৯৭৩ সালের পঞ্চায়েত আইনে সংশোধন করেই ট্রাইব্যুনাল গড়া হবে। মন্ত্রী জানান, প্রাথমিক ভাবে রাজ্য স্তরে এই ট্রাইব্যুনাল চালুর কথা ভাবা হয়েছে। পরে জেলা স্তরেও তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। |