টুকরো খবর
গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার
গলার নলিকাটা অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়েছে। রবিবার সকালে ডায়মন্ড হারবারের গোটুরা ও দক্ষিণ দেওরাবক গ্রামের মাঝে একটি কালভার্টের নীচে সমীর মালিক (৪৮) নামে ওই ব্যক্তির দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বাড়ি হুগলির চণ্ডীতলায়। তিনি সোনার ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। এ দিন সকালে স্থানীয় মানুষ রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। সমীরবাবুর বাড়িতে খবর দিলে ছেলে এসে দেহ শনাক্ত করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই বলেন, “কী কারণে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। খুনের মামলা রুজু করে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুকুরে বধূর দেহ, গ্রেফতার শাশুড়ি
বধূ খুনের অভিযোগে শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে হাড়োয়ার গোপালপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে সুমিত্রা কাহার (৩২) নামে ওই বধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। বধূর ভাই, নিউটাউনের বাসিন্দা নরেশ সর্দারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সুমিত্রার শাশুড়ি মীরাদেবীকে। মীরাদেবী অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানায়, বধূর স্বামী অভিযুক্ত শঙ্কর কাহার পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বছর তেরো আগে সুমিত্রাদেবীর বিয়ে হয়। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে তাঁর বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই সুমিত্রাদেবীর উপরে অত্যাচার চালাতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একাধিকবার আলোচনাতেও সুরাহা হয়নি। শঙ্কর ও তাঁর মা-ই সুমিত্রাকে খুন করে দেহটি পুকুরে ফেলে দেয়। শুক্রবার রাতেই পুলিশ মীরাদেবীকে গ্রেফতার করে। মীরাদেবীর দাবি, “কয়েক দিন ধরে বউমা অসুস্থ ছিল। শুক্রবার দুপুরে পুকুরে স্নান করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তলিয়ে যায়। আমরা খুন করিনি।”

বেঁধে রেখে মারধর, ডাকাতি হাসনাবাদে
মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে বাড়ির লোকেদের মারধর করে বেঁধে রেখে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানার তকিপুর চারা বটতলার ঘটনা। গৃহকর্তা মনোরঞ্জন দাস পুলিশে অভিযোগ করেন নগদ ৩৫ হাজার টাকা এবং অলঙ্কার-সহ লক্ষাধিক টাকার ডাকাতি হয়েছে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করলেও এখনও কোনও দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী মাসের ৩ তারিখ মনোরঞ্জনবাবুর ছেলে পিনাকীর বিয়ে। কেনাকাটা প্রায় সবই হয়ে গিয়েছে। এ দিন মনোরঞ্জনবাবুর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে ছিলেন মনোরঞ্জনবাবু ও পিনাকীবাবু। রাত ১১টা নাগাদ দরজা খুলে বাথরুমে যান পিনাকীবাবু। সেই সময় বাড়ির পিছনের পাঁচিল টপকে তিন দুষ্কৃতী ঢুকে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে। তারপর তাঁকে ঘরের ভিতরে তাঁর বাবার কাছে নিয়ে যায়। পিনাকীবাবুর মাথায় রিভলভার ধরে দু’জনকেই বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তিনটি আলমারি ভেঙে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে নগদ টাকা, অলঙ্কার, শাড়ি-সহ বিয়ের যাবতীয় জিনিস লুঠ করে তারা পালিয়ে যায়। মনোরঞ্জনবাবু বলেন, “দুষ্কৃতীদের বয়স তিরিশের মধ্যে। একজনের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল। খাকি প্যান্ট পরা ছিল।” গত দু’সপ্তাহে টাকি স্টেশন এলাকা-সহ তিনটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার কিনারা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা, খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের ধরা যাবে।

বিদ্যুৎ নেই, অভিযোগ
সন্দেশখালির হাটগাছি পঞ্চায়েতের রাজবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্রান্সফর্মার খারাপ থাকার জন্য গত কয়েকদিন ধরেই অন্ধকারে রয়েছে এলাকা। অভিযোগ, এর ফলে পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বাসিন্দাদের দাবি, মিনাখাঁয় বিদ্যুৎ দফতরকে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। ব্লক এবং স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকায় প্রায় চারটি গ্রামে তিন-চারশো গ্রাহক অসুবিধায় পড়ছেন। অভিযোগ, রাতে দুষ্কৃতী উপদ্রব বাড়ছে। সন্দেশখালি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি রঞ্জিত দাস বলেন, “গত দু’সপ্তাহ ধরে স্থানীয় প্রাথমিক কেন্দ্রের পাশে ট্রান্সফর্মারটি খারাপ হয়ে পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট দফতরকে একাধিকবার জানানো হলেও মেরামতি হচ্ছে না। এ দিকে গরমে বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় সকলে কষ্ট পাচ্ছে। রাতের বেলা বেরোনো উদ্বেগের হয়ে দাঁড়িয়েছে।” মিনাখাঁ বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে পদস্থ কর্তাদের বলা হয়েছে।

তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাত নয়, বললেন প্রদীপ
জোট শরিক তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত নয়, বদলে দলীয় বুথ স্তরের কর্মীদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তোলার পরামর্শ দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীফ ভট্টাচার্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মাস এডুকেশন মাঠে রবিবার দলের রাজনৈতিক সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। রাজ্যে নতুন সরকার সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই সরকারের গতিবিধি ঠিক নয়। তবে সিপিএমের মতো না হয়। আমরা নিরপেক্ষ প্রশাসন চাই।” এ দিন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, জেলা সভাপতি মানব মিত্র, মৎস্যমন্ত্রী আবু হেনা প্রমুখ। এ দিন সম্মেলনে মানববাবু বলেন, “তৃণমূলের কর্মীদের হাতে আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন অভিযোগ আসছে। কিন্তু তৃণমূল কোনও সহযোগিতা করছে না।” দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “জোট হোক বা না হোক, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে আমাদের এগোতে হবে।”

লরির ধাক্কায় মৃত্যু
লরিতে পিষ্ট হয়ে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা-বকখালি রোডে হসপিটাল মোড়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম ঝণ্টু পণ্ডা (৫০)। বাড়ি স্থানীয় শিবনগরে।

স্মরণসভা
তৃণমূলের পক্ষ থেকে শনিবার ক্যানিংয়ের জীবনতলায় নিহত দলীয় নেতা মানিক পাইকের স্মরণসভা হয়ে গেল। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের প্রতিমন্ত্রী চৌধুরীমোহন জাটুয়া, তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল প্রমুখ।

কীটনাশকে মৃত্যু
বাড়িতে রাখা জমিতে দেওয়ার কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল একটি শিশুর। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির কালিনগরে গোজালিয়া ঘোষপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মৌসুমী দাস (৮)। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

‘প্রহারে’ মৃত যুবক
বচসার জেরে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। রবিবার ভোরে, বারুইপুর থানার বলরামপুরে। আহত আরও চার। মৃত বাবলু গায়েন (৩২) স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, শনিবার স্থানীয় একটি ক্লাবে জলসা হচ্ছিল। বাবলু কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে গেলে কিছু যুবকের সঙ্গে তাঁদের গোলমাল বাধে। বাবলুর বন্ধু বিশ্বজিৎ মণ্ডল মার খান। রবিবার ভোরে বাবলু ও বিশ্বজিৎ পুলিশে অভিযোগ করেন, জলসায় ওই যুবকেরা একটি ছেলের হার ছিনতাই করতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, থানায় অভিযোগ জানিয়ে বিশ্বজিৎকে নিয়ে হাসপাতালে যান বাবলুরা। ফেরার সময়ে ওই যুবকেরা ফের লাঠি নিয়ে তাঁদের উপরে চড়াও হয়। মার খেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবলুর। বিশ্বজিৎ-সহ বাকি তিন যুবক হাসপাতালে ভর্তি। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।

দুর্ঘটনায় মৃত তিন
পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন জনের। আহত আরও তিন। শনিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ, বারুইপুরের যোগী বটতলায়। মৃতদের নাম রেজাউদ্দিন মোল্লা (২৮), সুজাউদ্দিন মোল্লা (৩০) ও মহব্বত মোল্লা (২৮)। পুলিশ জানায়, জলসা দেখে বাড়ি ফেরার সময়ে একটি বালিবোঝাই লরি তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান রেজাউদ্দিন ও সুজাউদ্দিন। মহব্বত-সহ চার জনকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় মহব্বতের। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন চালক। লরিটিও আটক করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.