কংগ্রেস-জেভিএমের নতুন অঙ্ক রাজ্যসভা ভোটে
নির্বাচনের চার দিন আগে ঝাড়খণ্ডে রাজ্যসভার ভোট নিয়ে নতুন অঙ্ক কষা শুরু হয়েছে। ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম)-র সঙ্গে পুরনো সখ্য ফের ঝালিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছে কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় সমর্থনের বিনিময়ে আগামী ১২ জুনের উপনির্বাচনে হাটিয়া আসনটি জেভিএম-কে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে দুই দলে।
একেবারে ভোটের মুখে কংগ্রেসের নতুন প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে জেভিএম-ও। আজ থেকে রাঁচিতে শুরু হয়েছে জেভিএমের দু’দিনের কর্মসমিতির বৈঠক। সূত্রের খবর, ভোটে অংশ না-নেওয়ার পূর্ব সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চাইছে দলের একাংশ।
তাঁদের বক্তব্য, উপনির্বাচনে হাটিয়া আসনটি পাওয়াই মূল লক্ষ্য নয়, জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে সমর্থন করাও জেভিএমের ঘোষিত নীতি। সে ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়াটাও জরুরি। রাজ্যসভার ভোটের জন্য আসন্ন উপনির্বাচনে হাটিয়া আসনটি জেভিএমকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়টি এ দিন সরাসরি নাকচ করেনি রাজ্য কংগ্রেস। দলের প্রদেশ সভাপতি তথা রাজ্যসভায় প্রার্থী প্রদীপ বালমুচু বলেন, “জেভিএম-এর সঙ্গে কংগ্রেসের জোট অনেক দিনের। তবে রাজ্যসভার ভোট নিয়ে রাজ্য স্তরে কোনও কথা হয়নি। কেন্দ্রীয় স্তরে কথা হয়ে থাকতে পারে।”
কংগ্রেস-জেভিএম জোটবদ্ধ হলে রাজ্যসভার নির্বাচনে বিজেপি-জেএমএম জোটের দুই দলেরই জয়লাভ সম্ভব নয়। হয় বিজেপি, না হয় জেএমএম-কে হারের মুখে পড়তে হবে। অঙ্কের এই হিসেব নিয়েই বিড়ম্বনায় পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ জেএমএম দাবি জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের জোট সরকার বাঁচাতে হলে তাদের প্রার্থীকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে আনার দায়িত্ব বিজেপিকেই নিতে হবে।
ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে শরিক নেতাদের সঙ্গে সোমবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছে বিজেপি। ওই বৈঠক নিয়ে আজ অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী। রাজ্য বিজেপির তরফে বৈঠকে থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। জেএমএমের পক্ষে থাকছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বৈঠকে থাকার কথা অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আজসু)-এর নেতা তথা রাজ্যের আরও এক উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোরও।
ঝাড়খণ্ডের জোট-সরকারের শরিক আজসুকে নিয়ে সমস্যায় রয়েছে বিজেপি এবং জেএমএম। প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে তাদের মতামত নেওয়ার প্রয়োজন কেউই মনে করেনি, এমন ক্ষোভ রয়েছে আজসুর। বিধানসভায় যাদের সদস্য সংখ্যা পাঁচ।
কিন্তু বিজেপি এবং জেএমএম-এর ভোট-ভাগ্য গড়তে এই পাঁচ বিধায়কই এখন নির্ণায়কের ভূমিকায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.