রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে করুণার কাছে সনিয়ার দূত
রিকদের সঙ্গে তৈরি হওয়া দূরত্ব যাতে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সে জন্য সক্রিয় হয়েছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার সনিয়া গাঁধী নিজে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পর আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিকে দূত হিসাবে চেন্নাই পাঠালেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী। সরকারের অন্যতম প্রধান শরিক ডিএমকে-র নেতা করুণানিধির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির নাম নিয়ে একপ্রস্ত আলোচনা করে নয়াদিল্লি ফিরেছেন অ্যান্টনি। জানিয়েছেন, “আলোচনা খুবই কার্যকরী হয়েছে। আমি কংগ্রেস সভানেত্রীর কাছে ডিএমকে-র মতামত জানাব।”
পরবর্তী রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর নাম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। কিন্তু সনিয়া গাঁধী চাইছেন বিষয়টি নিয়ে ইউপিএ-র শরিকদের মধ্যে দ্রুত ঐকমত্য তৈরি হোক। আগামী ৫ মে নয়াদিল্লিতে জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র গঠন নিয়ে বৈঠকে যোগ দিতে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা আসছেন। কংগ্রেস আঁচ করছে, সেখানে অ-কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীদের তরফ থেকে একটি বিকল্প নাম স্থির করার চেষ্টা হবে। কিছু দিন আগেই চেন্নাই গিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি। গত ১৬ তারিখ বিজ্ঞান ভবনের সন্ত্রাস দমন সংক্রান্ত আলোচনার মাঝেই জয়ললিতা এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অ-কংগ্রেসি দলগুলির এই সমান্তরাল বৈঠক করে কংগ্রেসকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল বিজেপি। পাশাপাশি বিজেপি-র পক্ষ থেকে একটা চেষ্টা হচ্ছে, কংগ্রেসের সঙ্গে তার শরিকদের (মমতা বা পওয়ার) দূরত্ব বাড়লে তার ফায়দা নেওয়ার। নবীন পট্টনায়ক বা মমতার মতো পুরনো শরিকদের ফিরে পাওয়ার চেষ্টাও শুরু হয়েছে বিজেপি-র তরফে।
ডিএমকে প্রধান করুণানিধির সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। রবিবার চেন্নাইয়ে। ছবি: পি টি আই
আসন্ন ভোটযুদ্ধে ডিএমকে-কে পাশে রাখতে চেয়ে অ্যান্টনি এ দিন বলেছেন, “দেশের অন্যতম প্রবীণ নেতা করুণানিধি। তাঁর মতামতকে আমরা সব সময়েই গুরুত্ব দিই।” অ্যান্টনি-করুণানিধির আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমকে-র সংসদীয় দলনেতা টি আর বালু এবং করুণানিধি-কন্যা কানিমোঝিও।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিরোধী শক্তি যাতে শক্তিশালী হতে না-পারে, সে জন্য আগে থাকতেই ইউপিএ-র ঘর গুছিয়ে নিতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। খুব শীঘ্রই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সনিয়া। ৫ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে নয়াদিল্লি আসার কথা মমতার। সে সময়েই বৈঠকে বসতে পারেন দুই নেত্রী। এর আগে সনিয়ার রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলের মাধ্যমে তৃণমূল নেত্রীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তিনি যেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলাদা করে কোনও কংগ্রেস নেতার সঙ্গে আলোচনা না করেন। সনিয়া নিজেই তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। সনিয়া চাইছেন, ইউপিএ-র পক্ষ থেকে সর্বসম্মত ভাবে এক জন প্রার্থী মনোনীত করা হোক। তার আগে শরিকরা বিভিন্ন নাম নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিলে জটিলতা তৈরি হবে।
মমতা অবশ্য রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বা কারও সঙ্গে বৈঠক করেননি। কিন্তু শরদ পওয়ার বা ফারুক আবদুল্লার মতো শরিক নেতারা এ ব্যাপারে নানা মন্তব্য করতে শুরু করে দিয়েছেন। তাই দেরি না করে প্রত্যেককে ডেকে তাঁদের মতামত শুনছেন সনিয়া। দলীয় সূত্রের খবর, এর পরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ কথা বলবেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান মুলায়ম সিংহ যাদব এবং বসপা নেত্রী মায়াবতীর সঙ্গেও। ইউপিএ প্রার্থী যাতে তাঁদের সমর্থন পান, চেষ্টা হবে তারও।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.