|
|
|
|
অস্ত্র আইনে ধৃত ছাত্র-নেতা, ‘ধন্দ’ অভিযোগ নিয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
এ যেন তেরো হাত কাঁকুড়ের বারো হাত বিচি। অভিযুক্তের উচ্চতা বড়জোর ৫ ফুট। তিনিই নাকি ৪ ফুটের একনলা একটা বন্দুক নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন ‘নাশকতার মতলবে’। যদিও একটাও গুলি ছিল না সে আগ্নেয়াস্ত্রে। ব্যাপারটা কারও চোখেও পড়েনি, পুলিশ ছাড়া! পুরোটাই পুলিশের দাবি।
বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র মজুতের মামলায় অভিযুক্তকে আদালতে চালান করে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশের দাবির নানা ‘অসঙ্গতি’ নিয়ে অভিযুক্তের আইনজীবী একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলতেই খারিজ হয়ে গেল পুলিশি হেফাজতের আবেদন। ৬ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে বিচারক কেস ডায়েরি তলব করেছেন আদালতে। এ ঘটনা সেই জঙ্গলমহলে, যেখানে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের অভিযোগ বাম-আমল পেরিয়ে পরিবর্তনের রাজ্যপাটেও সমানে চলছে। এ বারও একই অভিযোগ উঠেছে। |
|
ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
ধৃত বছর বাইশের কমলেশ মাহাতো ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস্ ফেডারেশনের (জেএসএফ) রাজ্য সম্পাদক। বাড়ি লালগড়ের বেলাটিকরির গোপীনাথপুর গ্রামে। পুলিশের দাবি, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে জামদা এলাকায় তিন যুবককে ‘সন্দেহজনক ভাবে’ ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাড়া করে টহলদার পুলিশ। দু’জন চম্পট দিলেও কমলেশ ধরা পড়েন। শনিবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তাঁকে হাজির করানোর সময়ে কমলেশ অবশ্য বলেন, “শুক্রবার ট্রেকারে ঝাড়গ্রামে আসার পথে পুলিশ আমাকে দহিজুড়ির কাছে ধরে। সঙ্গের ব্যাগে এমএ ক্লাসের কিছু বইপত্র ছাড়া কিছুই ছিল না।” কমলেশের বাবা বুদ্ধেশ্বর মাহাতোরও বক্তব্য, “ছেলেটা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় এমএ পড়ছে। শুক্রবার পড়াশোনার দরকারেই ঝাড়গ্রামে গিয়েছিল।” ওই যুবকের আইনজীবী কৌশিক সিংহ আদালতে অভিযোগ করেন, “বিরোধী ছাত্র-রাজনীতির কণ্ঠরোধ ও ভয়ের বাতাবরণ তৈরির জন্যই কমলেশকে সাজানো মামলায় ধরা হয়েছে।”
আর আদালতের বাইরে ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-র নেত্রী, প্রাক্তন বিধায়ক চুনিবালা হাঁসদার অভিযোগ, “বিরোধী স্বরকে দমন করতে আগের সরকারের মতোই বর্তমান তৃণমূল সরকারের পুলিশও জঙ্গলমহলে মিথ্যা মামলায় ধরপাকড় শুরু করেছে। কমলেশও সেই ষড়যন্ত্রের শিকার।”
|
‘অপহরণে’ ধৃত ২ |
এক নাবালিকাকে ‘ফুঁসলিয়ে’ পালানোর অভিযোগে গড়বেতার গিলাবনি গ্রামের স্বরূপ পাঁজা ও সিদ্ধার্থ সিংহ নামে দুই যুবককে ধরল পুলিশ। শনিবার মেদিনীপুর আদালত তাদের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেয়। দশম শ্রেণির ছাত্রী, গিলাবনি গ্রামেরই ওই নাবালিকাকে আগেই উদ্ধার করেছিল পুলিশ। প্রধান অভিযুক্ত কুলতলির ভাষা গুড়গুড়িয়া গ্রামের বাপন মুদি অবশ্য এখনও অধরা। |
|
|
|
|
|