|
|
|
|
ব্যানারে বিতর্ক |
নেতাজিনগর কলেজে ‘সমান্তরাল’ সংসদ, অভিযুক্ত টিএমসিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সংঘর্ষের জেরে দক্ষিণ শহরতলির নেতাজিনগর কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নতুন করে ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এরই মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) সেখানে ভোটাভুটি এড়িয়ে ‘কৌশলে’ ছাত্র সংসদ তৈরি করে ফেলেছে, এমনকী, কলেজের দেওয়ালে ‘ফ্লেক্স ব্যানার’ লাগিয়ে তার ‘পদাধিকারী’দের নামও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কলেজের ছাত্র সংসদের অফিসটিও দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। |
 |
সেই বিতর্কিত ব্যানার। নিজস্ব চিত্র |
গত জানুয়ারিতে টিএমসিপি-এসএফআই সংঘষের্র্ নেতাজিনগর কলেজে সংসদ নির্বাচন পণ্ড হওয়ার পরে হাইকোর্টের ওই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এই অবস্থায় টিএমসিপি এ হেন ‘সমান্তরাল ছাত্র সংসদ’ গড়ে ফেলায় এসএফআই আপত্তি তুলেছে। তাদের আপত্তি সংশ্লিষ্ট ফেক্স ব্যানার নিয়েও। কী লেখা আছে তাতে?
কলেজ-সূত্রের খবর: ব্যানারে সরাসরি ছাত্র সংসদের নাম লেখা হয়নি। তবে ‘নেতাজিনগর দিবা কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট (২০১২-২০১৩)’ হিসেবে তার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের নাম-সহ মোট ১০টি পদের উল্লেখ করা হয়েছে। এবং ওই ‘কমিটি’ই সংসদের অফিসঘর দখল করে নির্বাচিত ছাত্র সংসদের মতো কাজ করছে বলে এসএফআইয়ের অভিযোগ।
এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি কৌস্তুভ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে ওখানে সমান্তরাল ছাত্র সংসদ চালানো হচ্ছে।” কলেজ কর্তৃপক্ষ কী বলছেন?
নেতাজিনগর কলেজের অধ্যক্ষ পিনাকীরঞ্জন রায় বলেন, “আমি ব্যানারের ব্যাপারটা শুনেছি। খোঁজ নিচ্ছি।”
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কী বক্তব্য?
দক্ষিণ কলকাতা টিএমসিপি’র সভাপতি সঞ্জয় দাসের মন্তব্য, “ছাত্র সংসদের ইউনিট হিসেবে ব্যানারটি ঝোলানো হয়নি বলেই শুনেছি। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে যখন নির্বাচন বন্ধ রয়েছে, তখন এ ধরনের ব্যানার না-ঝোলানোই ভাল।”
|
|
|
 |
|
|