১০ কাহন

এফআইআর কী?
• কোনও ঘটনা বা অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে যে লিখিত রিপোর্ট তৈরি করে, তার নাম ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট, সংক্ষেপে এফআইআর।

এফআইআর কে বা কারা করতে পারেন?
• যিনি ঘটনা বা অপরাধের শিকার হয়েছেন, সেই ব্যক্তি নিজে বা তাঁর হয়ে কেউ। ঘটনা বা অপরাধের অন্য কোনও প্রত্যক্ষদর্শীও এফআইআর দায়ের করতে পারেন। এফআইআর করতে পারেন প্রত্যক্ষদর্শী কোনও পুলিশ কর্মীও।

কিন্তু পুলিশ কি সব সময়ে এফআইআর লেখে?
• পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করে। যাতে আইনের কোনও ধারার উল্লেখ করা হয় না। বস্তুত, অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে জিডি হবে না এফআইআর, তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারই ঠিক করেন।

এফআইআর গুরুত্বপূর্ণ কেন?
• কোনও অপরাধের বিচারের প্রথম পদক্ষেপই হল এফআইআর। এফআইআর পুলিশ কী ভাবে লিখছে, তার উপরে নির্ভর করে তদন্ত এবং বিচারের প্রক্রিয়া।
মোমের আলোয় প্রতিবাদ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে
গ্রেফতারের প্রতিবাদে সাঁইথিয়ায় ছাত্র পরিষদের মিছিল। ছবি: অনির্বাণ সেন
যে কোনও এফআইআরেই কি পুলিশ গ্রেফতার বা তদন্ত শুরু করতে পারে?
• আইনের কিছু ধারায় পুলিশকে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করার এবং আদালতের নির্দেশ ছাড়াই তদন্ত শুরু করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। যেমন খুন-ডাকাতি-ধর্ষণের মতো অপরাধ, যাকে আইনি পরিভাষায় বলা হয় ‘কগনিজেবল অফেন্স’। কিন্তু বাস্তবে কোন ধারা প্রয়োগ করা হবে, তা অনেকাংশে নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের উপর। এবং ‘কগনিজেবল অফেন্স’-এর ক্ষেত্রে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা আছে মনে করলে তদন্তের আগেই গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ।

মানহানির অভিযোগে এফআইআর করা যায়?
• সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার যদি মনে করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কোনও লেখা বা ছবি বা বক্তব্যের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির মানহানি করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে তিনি এফআইআর নিতে পারেন।

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যদি কেউ মানহানির অভিযোগ আনেন, তবে পুলিশ কি এফআইআর নেবে?
• এফআইআর নিতেই পারে। তবে বাস্তবে সেটা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

এফআইআর দায়ের হলে মুখ্যমন্ত্রীকে কি গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ?
• অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর হলে গ্রেফতার করতেই পারে। তবে রাজ্যপালের অনুমতি নিতে হবে।

এফআইআরে অভিযুক্তের রক্ষাকবচ কী?
• কিছু নেই। যে পুলিশ অফিসার এফআইআর নিচ্ছেন তিনি কী মনে করছেন, তার উপরেই সবটা নির্ভর করছে। এ জন্যই বিভিন্ন গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি আগাম জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে আগাম জামিন নেওয়ার পরিস্থিতি থাকে না।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে। এ সব ক্ষেত্রে ওসি-এর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়?
• মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আইন ভঙ্গ করার জন্য ওসি এবং তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াই যায়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.