বড়জোড়ায় যে খোলামুখ কয়লাখনির উদ্বোধন শুক্রবার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে চাকরি পাওয়া থেকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত একগুচ্ছ দাবি তুলেছে স্থানীয় জমিহারা পরিবারগুলি। ‘ওয়েস্টবেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড’-এর ওই কয়লাখনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষোভ রয়েছে এলাকায়। এ দিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী যখন সড়কপথে দুর্গাপুর থেকে বড়জোড়া যাচ্ছিলেন, তখন চুনপোড়া গ্রামের কাছে ‘ধর্মরাজ ভূমিহারা বাস্তুহারা কল্যাণ সমিতি’-র কিছু লোকজন একাধিক দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে যাত্রাপথের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। একই সঙ্গে ‘মুখ্যমন্ত্রী স্বাগতম’ বলে স্লোগান দিতেও দেখা যায় ওই গ্রামবাসীদের।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, মুখ্যমন্ত্রী রাস্তার পাশে তাঁদের দেখতে পেয়ে গাড়ি থামিয়ে কিছু ক্ষণ কথা বলেন। পরে কমিটির ওই লোকজন মূল অনুষ্ঠান মঞ্চের দিকেও এগোতে থাকলে রাজ্যের শিশুকল্যাণমন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় ও বড়জোড়ার বিধায়ক আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মঞ্চ থেকে নেমে
তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।
শ্যামবাবু পরে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ওঁদের দাবি সম্পর্কে জেলাশাসককে আলোচনা করতে বলেছেন। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি দেখা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান।” জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আনসারি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ওঁদের দাবি নিয়ে কথা বলব।”
জমিহারা কমিটির অভিযোগ, ‘ট্রান্স দামোদর কয়লা প্রকল্প’-এর জন্য এলাকায় জলস্তর নামছে, ঘরবাড়ি, রাস্তায় ফাটলও ধরছে। পাশাপাশি খননের জন্য বাস্তুহারাদের পুনর্বাসন এবং পরিবার পিছু এক জনকে চাকরি দেওয়ার দাবিও দীর্ঘদিনের।
এই সব অভিযোগে সম্প্রতি বড়জোড়া ব্লক তৃণমূলও খনি কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিয়েছে। কোলিয়ারির জেনারেল ম্যানেজার অশোক বিশ্বাস বলেন, “প্রস্তাবিত ৬৯৪ একর জমির মধ্যে ২৭২ একর অধিগ্রহণ করে খননের কাজ শুরু হয়েছে। ১৭০ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বাকি জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। আরও অনেকে চাকরি পাবেন।” |