একটা ম্যাচে ৪০ ওভারে ৪০০-এর উপর রান! পরে ব্যাট করা টিম পাঁচ উইকেটে দু’শোর বেশি রান তাড়া করে জিতে যাচ্ছে! আইপিএলের লড়াই পৌঁছে গেল সর্বোচ্চ শিখরে। এর জন্য চেন্নাইয়ের কিউরেটরের সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ প্রাপ্য। ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত পিচ একদম ঠিক ছিল। এই রকম রান-সুনামিই টি-টোয়েন্টিতে সবাই দেখতে চায়। এর জন্যই মাঠে দর্শক আসে।
এই জয় চেন্নাইকে অনেক স্বস্তি দেবে। কিন্তু তাদের মতো অভিজ্ঞ দল এটা জানে যে এই ফর্ম্যাটে ‘প্রতি দিন রবিবার’ নয়। চেন্নাই-আরসিবি ম্যাচে ফের প্রমাণ হল, টি-টোয়েন্টিতে সেই ম্যাচের দিনটাই সব। যেমন মোহালিতে বৃহস্পতিবার আমাদের দিন ছিল না।
আমাদের পরের ম্যাচ আবার চেন্নাইয়ের সঙ্গেই। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা আমরা কিছুটা পাবই। আমাদের এই ব্যাপারটার উপর জোর দিতেই হবে। ওদের বেশ কয়েক জন ম্যাচ-উইনার আছে। ওরা আবার দু’টো ম্যাচ হেরেছে। তবে এখন টুর্নামেন্ট সবে শুরু হয়েছে। আর সব টিম আস্তে আস্তে থিতু হচ্ছে। এখনও কোনও টিম অনেকটা এগিয়ে যায়নি। কেউ খুব ক্লোজ ম্যাচ জিতেছে। কেউ এমন ম্যাচ হেরেছে যা হওয়া উচিত ছিল না। আমাদের পুণেও নিজেদের টিমের ভারসাম্য খুঁজে চলেছে। আমার বিশ্বাস সেটা খুব তাড়াতাড়ি খুঁজে পাব। দলের সবাই তরুণ। এটা দেখতে খুব ভাল লাগছে সবাই খুব ফোকাসড, ওরা সব সময়েই নিজেদের পারফরম্যান্স আরও উঁচুতে তুলতে আগ্রহী। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই একটা দলের সত্যিকারের চরিত্র ফুটে ওঠে। আমার বিশ্বাস, টিম পুণেরও সেটা গড়ে উঠেছে।
এ বার আসি পঞ্জাব-ম্যাচের কথায়। ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে পিচ-কভার, সাইট স্ক্রিন সব উড়ে গিয়েছিল। পিচেও জল জমে গিয়েছিল। টসটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যারা আগে বল করবে ম্যাচের ভাগ্য তারাই গড়বে। সে দিন গিলির পালা ছিল। তবে আমাদের ১৪০ করা উচিত ছিল। সেটা করতে পারলে জিতে যেতাম। পিচের হাল মাথায় রেখে আমরা একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান টিমে রেখেছিলাম। তাতেও কুড়ি ওভার ব্যাট করতে পারিনি। দুর্ভাগ্য, পিচ বুঝে ব্যাট করতে পারিনি আমরা। বোলাররা কিন্তু কম রান হাতে নিয়েও ভাল বল করল। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মার্শের রান আউট মিস করল রাইডার। কম রানের পুঁজি নিয়ে এই রকম সুযোগ ফস্কানোর মাসুল দিতেই হয়। |