ব্যঙ্গ-মেল পাঠিয়ে হাজতে অধ্যাপক
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেলমন্ত্রী মুকুল রায় এবং প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীকে নিয়ে একটি ব্যঙ্গচিত্রের ই-মেল ‘ফরোয়ার্ড’ করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে গ্রেফতার হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র এবং তাঁর এক সত্তরোর্ধ্ব প্রতিবেশী। মেলটি এসেছিল অম্বিকেশবাবু যে সমবায় আবাসনে থাকেন, তার আবাসিক সংগঠনের নিজস্ব ই-মেলে। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘নন-কগনিজেবল’ ও জামিনযোগ্য ধারায় মামলা হওয়া সত্ত্বেও দু’জনকেই বৃহস্পতিবার সারা রাত থানার লক-আপে আটকে রাখা হল। শুক্রবার তাঁদের আলিপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক অবশ্য ওই দু’জনকে পাঁচশো টাকার ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি দিয়েছেন।
অম্বিকেশ মহাপাত্র থাকেন নিউ গড়িয়ার একটি সমবায় আবাসনে। নিউ গড়িয়া ডেভেলপমেন্ট হাউসিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে ওই আবাসন কমিটির সহ-সম্পাদকও তিনি। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে এক দল যুবক তাঁকে আবাসনের অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তারা নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দেয়। মার খেয়ে তিনি কাঁদতে কাঁদতে তাঁদের কাছে প্রাণভিক্ষা করতে থাকেন। পরে ওই যুবকরা তাঁকে দিয়ে জোর করে একটি মুচলেকা লিখিয়ে নেয় বলে অম্বিকেশবাবুর অভিযোগ। ওই যুবকরাই আবার পূর্ব যাদবপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ জানিয়েছে, অম্বিকেশবাবুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করছেন অমিত সর্দার নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে তৃণমূলের চকবেড়িয়া ছিটনয়াবাদ আঞ্চলিক কমিটির সদস্য বলে অভিযোগপত্রে লিখেছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে অমিত জানিয়েছেন, ‘অম্বিকেশবাবুরা আবাসনের ই-মেলে মুখ্যমন্ত্রীর নামে অশ্লীল প্রিন্টআউট ও মেসেজ পাঠান। তাঁরা প্রত্যেক সদস্যের বাড়িতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নামে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ ও চরিত্র হনন করেছেন।’ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাত পৌনে একটা নাগাদ অম্বিকেশবাবু এবং ওই আবাসন সমবায়ের সম্পাদক সুব্রত সেনগুপ্তকে গ্রেফতার করে।
মা-মাটি-মানুষের সরকার। তার মাটি এত নরম হয়ে গিয়েছে
যে সহনশীলতা হারিয়ে গিয়েছে! একদম কাঁচা মাটিতে
দাঁড়িয়ে তারা হাস্যকর কাণ্ড করছে!
অন্যায় করবে, আবার অ্যারেস্ট হলে তাই নিয়ে প্রচার
করবে! অন্যায় করে, অশ্লীলতা করে উন্নয়ন থমকে দিতে
চাইছে। চক্রান্তকারীদের মানুষ ক্ষমা করবে না।
এই ঘটনার জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই সারা দিন প্রতিবাদ জানান সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। প্রতিবাদ হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সরব হন বিশিষ্টজনেরাও। যে ছবির কোলাজ বা ব্যঙ্গচিত্রটি নিয়ে এত হইচই, সেটি ফেসবুকে বহু মানুষ এ দিন ‘শেয়ার’ করেন। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে ভরে ওঠে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটি। রাতে পৌনে ১২টা নাগাদ সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে থানায় গিয়ে অরূপ মুখোপাধ্যায় ও অমৃত সর্দার-সহ চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন অম্বিকেশবাবু।
ঘটনাটিকে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপরে আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বিধানসভার গেটে দাঁড়িয়ে সূর্যবাবু বলেন “এ যেন হাসতে মানা, কাঁদতে মানা, বেশি কথা বলতে মানার রাজত্ব। কিছু করলেই পুলিশ গ্রেফতার করবে।” অভিযোগকারী পুলিশের কাছে বলেছেন, এই কোলাজের ফলে মুখ্যমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীর সম্মানহানি হয়েছে। সূর্যবাবু বলেন, “ওঁদের সম্মান কি এতই ঠুনকো যে একটি
কার্টুনেই তা নষ্ট হয়ে গেল! এ কি কাঁচা মাটি দিয়ে তৈরি নাকি? এ ভাবে গ্রেফতার করে কি সরকারের সম্মান বাড়ল? এখন তো কোটি কোটি মানুষ এই কার্টুনটি দেখবে।” মা-মাটি-মানুষ স্লোগানকে কটাক্ষ করে সূর্যবাবু বলেন, “মা-মাটি-মানুষের সরকার। তার মাটি এত নরম হয়ে গেছে যে সহনশীলতা হারিয়ে গেছে। একদম কাঁচা মাটিতে দাঁড়িয়ে তারা হাস্যকর কাণ্ড করছে।”
কোলাজ-কাণ্ডে গ্রেফতারের নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে বিজেপি-ও। তাদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা দেশেই ব্যঙ্গচিত্র আঁকার রেওয়াজ আছে। ইন্দিরা গাঁধী, অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, জ্যোতি বসু প্রমুখ রাজনৈতিক নেতার সম্পর্কেও বহু ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয়েছে। কিন্তু কখনওই কোনও দল বা সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ করেনি। মমতা-সরকারের এ হেন আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল
সিংহের প্রশ্ন, “তা হলে কি আমরা দল-নিয়ন্ত্রিত জরুরি অবস্থার দিকে এগোচ্ছি?”
এ দিন দুর্গাপুরের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “অন্যায় করবে, আবার অ্যারেস্ট হলে তাই নিয়ে প্রচার করবে। ওদের দু’টো টিভি চ্যানেল আছে। সকাল থেকে এই নিয়ে প্রচার করছে। অন্যায় করে, অশ্লীলতা করে উন্নয়ন থমকে দিতে চাইছে। বাংলার মানুষ চক্রান্তকারীদের ক্ষমা করবে না।”
এই ঘটনার দিন কয়েক আগেই অবশ্য সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ফেসবুক সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন, “মহিষবাথানের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, ফেসবুকে তাঁর দলনেত্রীর বিকৃত ছবি ‘পোস্ট’ করা হচ্ছে। সিআইডি এর তদন্তভার নিয়েছে।” সিআইডি জানিয়েছে, দু’দিন আগেই তদন্ত হাতে নেওয়া হয়েছে। এখনও তেমন কোনও অগ্রগতি নেই।
কী হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাতে?
অম্বিকেশবাবু বলেন, রাত ৯টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার সময় জনা পনেরো যুবক তাঁর পথ আটকায়। তারা প্রথমে জানতে চায়, তিনিই কি মহাপাত্রবাবু? অম্বিকেশবাবু উত্তর দেওয়ামাত্র তাঁকে টানতে টানতে আবাসনের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। অম্বিকেশবাবু বলেন, “অফিসে নিয়ে গিয়ে অন্য কয়েক জন সদস্যের সামনেই তারা আমাকে মারধর করতে থাকে। আমি কাঁদতে কাঁদতে প্রাণভিক্ষা করি। তখন ওরা আমাকে দিয়ে একটি মুচলেকা লেখায়। কিন্তু ওই মুচলেকাটি পছন্দ হয়নি ওদের।” ওই যুবকদের চাপে তিনি ফের একটি মুচলেকা লেখেন। তাতে লেখা হয়, ‘আমি আমাদের আবাসনের ই-মেল আইডি থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলাম। আমি এই ভুল স্বীকার করে সদস্যদের কাছে ক্ষমা চাইছি এবং বোর্ড থেকে পদত্যাগ করছি। আমি এক জন সক্রিয় সিপিএম কর্মী।’
কিন্তু এর পরেও নিস্তার মেলেনি অম্বিকেশবাবুর। তাঁর অভিযোগ, আবার মারধর করা হয় তাঁকে। পেটানো হয় সুব্রতবাবুকেও। রাত পৌনে দশটা নাগাদ অম্বিকেশবাবু পূর্ব যাদবপুর থানায় ফোন করেন। তিনি বলেন, “থানার ডিউটি অফিসার তখন জানান, আপনাদের নামে অভিযোগ রয়েছে। আমরা যাচ্ছি।” পুলিশ আসে রাত দশটা নাগাদ। অম্বিকেশবাবু বলেন, “তখন ওই যুবকরাও ঘটনাস্থলে ছিল। পুলিশ আমাদের দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়। ওই যুবকরাও থানায় যায়। সেখানে তখন আরও জনা পঞ্চাশেক যুবক দাঁড়িয়েছিল।”
আবাসিক বোর্ডের সদস্যদের একাংশের বক্তব্য, থানায় গিয়ে অম্বিকেশবাবু, সুব্রতবাবু-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অমিত সর্দার। ওই আবাসনের সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও অমিত কী অধিকারে ওই অভিযোগ দায়ের করছেন, তা নিয়ে থানাতেই প্রশ্ন তোলেন আবাসনের কয়েক জন সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, ওই প্রশ্ন তোলামাত্র পুলিশের সামনেই তাঁদের মারধর করা হয়, যাতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরূপ মুখোপাধ্যায়। শুধু অরূপই নন, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী কাজল চক্রবর্তী, নিমাই হালদার, কেলো মুখোপাধ্যায় মারধরের ঘটনায় জড়িত বলে আবাসিকদের অভিযোগ।
এই অভিযোগের বিষয়ে অরূপ বলেন, “ওই দু’জনকে কোনও ভাবেই মারধর করা হয়নি। উনি নিজে থেকেই পদত্যাগপত্র লিখেছেন।” থানা ঘেরাওয়ের বিষয়ে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল ব্লক সভাপতি পিনাকী দেব বলেন, “থানায় আমাদের কোনও কর্মী উপস্থিত ছিল না। বোর্ডের সদস্যরাই স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ করেছেন।” ওই আবাসনের বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও অমিত সর্দার কী ভাবে এফআইআর দায়ের করল? তার জবাবে পিনাকীবাবু বলেন, “ওই ই-মেলটি অমিতও কোনও ভাবে পেয়েছিল। দলীয় নেত্রীর অপমান ও সহ্য করতে না পেরে পুলিশে অভিযোগ করে।”এ দিন সকালে বেলা এগারোটা নাগাদ পূর্ব যাদবপুর থানা থেকে অম্বিকেশবাবু এবং সুব্রতবাবুকে আলিপুর পুলিশ আদালতে নিয়ে যায়। সেখানে কোর্ট লক-আপে রাখা হয় তাঁদের। সুব্রতবাবুর ছেলে বলেন, “আমার বাবার হৃদ্রোগ রয়েছে। দিনে বেশ কয়েক বার সরবিট্রেট নিতে হয় তাঁকে। পুলিশকে বহু বার বলা সত্ত্বেও বাবাকে ওই ওষুধ দেওয়া হয়নি।”
এ দিন বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই দু’জনকে আলিপুরের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক সুপর্ণা রায়ের এজলাসে হাজির করানো হয়। ধৃতদের জামিনে মুক্তি দেন বিচারক। ধৃতদের আইনজীবী সঞ্জীব গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ অযথা হয়রান করেছে। যে ধারায় ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে থানা থেকেই জামিন দেওয়া যেত।”
কেন থানা থেকে জামিন দেওয়া হল না অম্বিকেশবাবুদের?
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ডিসি (এসএসডি) সুজয় চন্দ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গিয়েছেন অন্য পুলিশকর্তারাও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশকর্তা জানান, তৃণমূল নেতারাই জামিন না দেওয়ার জন্য পুলিশের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন। তৃণমূল কর্মীরা গভীর রাত পর্যন্ত থানার সামনে দাঁড়িয়েছিল। সঞ্জীববাবু বলেন, “রাতে আমার এক জুনিয়রকে থানায় পাঠাই। কিন্তু তাঁকে থানায় ঢুকতে দেয়নি ওই তৃণমূল কর্মীরা।”
আদালতে কোর্ট লক-আপের পাশেই সকাল থেকে বসেছিলেন অম্বিকেশবাবুর স্ত্রী জলিদেবী। তিনি বলেন, “উনি যে কোনও দিন পুলিশের লক-আপে থাকবেন, তা ভাবতে পারিনি।” তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ অম্বিকেশবাবু তাঁকে ফোন করে খেয়ে নিতে বলেন। তিনি থানায় রয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন। তার পর রাত একটা নাগাদ কয়েক জন আবাসিক ফোন করে জলিদেবীকে গ্রেফতারের খবর জানান। জলিদেবী এ দিন বলেন, “সারা রাত শুধু এটাই ভেবেছি, পুলিশ লক-আপে খালি মেঝেতে উনি শুয়ে রয়েছেন। কী ভাবে রাত কেটেছে, তা বলে বোঝাতে পারব না।” বিকেলে আদালত চত্বরে স্বামীর জামিন মঞ্জুর হওয়ার খবর শোনার পরে জলিদেবী বলেন, “আজ রাতে ঘুমোতে হবে।”
এ দিন সন্ধ্যায় অম্বিকেশবাবু জানান, ওই ব্যঙ্গচিত্র পাঠানো যে ভুল হয়েছিল, তা তিনি মনে করেন না। তবে, তা হাউজিং বোর্ডের ‘অফিসিয়াল’ মেল থেকে পাঠানো ঠিক হয়নি বলে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “৬ এপ্রিল আমি প্রত্যেক সদস্যকে মেল করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম।” অম্বিকেশবাবু জানান, ওই ‘অফিসিয়াল’ আইডি বোর্ডের সচিব সুব্রতবাবুর নামে ছিল। কিন্তু তিনি ওই মেলটি ব্যবহার করতে পারেন না। তাই তাঁর হয়ে অম্বিকেশবাবুই আবাসনের অন্য সদস্যদের ই-মেল করতেন।
দিন কয়েক আগে ওই মেলেই ব্যঙ্গচিত্রটি এসেছিল বলে অম্বিকেশবাবু জানিয়েছেন।
আবাসিকদের একাংশের অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হাউজিং বোর্ডের নির্বাচন। তৃণমূল ওই আবাসনের বোর্ড দখল করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে বর্তমান বোর্ডের সদস্যদের উপরে নানা ভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে।

আইনের চোখে
অম্বিকেশ মহাপাত্র এবং সুব্রত সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে?
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০৯, ১১৪ এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ (বি) ধারায়। (মানহানি, মহিলার সম্মান ও শালীনতায় আঘাত, প্ররোচনা ও দুষ্কর্ম করার সময়ে উপস্থিত থাকা, বৈদ্যুতিন মাধ্যম দিয়ে অশ্লীল ছবি পাঠানো)

বিস্তারিত দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন
এতগুলি ধারা পুলিশ দিল কেন?
শুধু মানহানির মামলা ধোপে টিকত না, তাই।

মানহানির মামলা টিকত না কেন?
যাঁর মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ, তিনি বা তাঁর আত্মীয়কে আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে হয়। না হলে পুলিশকে বিচারকের কাছে তদন্তের অনুমতি নিতে হয়।

পুলিশ যে সব অভিযোগ এনেছে, তা কতটা যুক্তিযুক্ত?
আইনগত দিকটা খুবই দুর্বল।

যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে কি থানা থেকে জামিন হত?
অবশ্যই থানা থেকে জামিন দেওয়া যেত।

প্রাপ্ত মেল অন্যকে ফরোয়ার্ড করাটা কি অপরাধ?
যিনি এই মেল তৈরি করেছেন, তিনি অভিযুক্ত হলেও হতে পারেন। কিন্তু যিনি ফরোয়ার্ড করেছেন, তিনি অভিযুক্ত নন।
আলিপুর আদালতে আনা হল অম্বিকেশ মহাপাত্রকে। - নিজস্ব চিত্র
যে ছবিটা অম্বিকেশবাবু ফরোয়ার্ড করেছিলেন সেটি কি অশ্লীল?
ওই ছবিতে কোনও অশ্লীলতাই নেই।

ওই ছবিটি কি কোনও মহিলার সম্ভ্রমে আঘাত করতে পারে?
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কার্টুন অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়। এটা সে তুলনায় কিছুই নয়।

অম্বিকেশবাবুকে যারা মারল, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিল না কেন?
পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে না। কাউকে অভিযোগ দায়ের করতে হয়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.