আজকের শিরোনাম |
গ্বালিয়র থেকে বেঙ্গালুরু, কন্যা সন্তানের প্রতি ‘ব্যবহার’ একই রকম |
ফের কন্যাসন্তান হত্যার ঘটনা ঘটল। এ বারের ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়র। দু’দিনের কন্যাসন্তানকে তামাক খাইয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুটির বাবাকে। ধৃত ব্যক্তির নাম নরেন্দ্র রানা। হত্যার প্রায় ৬
|
ধৃত নরেন্দ্র রানা। |
মাস পর আজ বছর চল্লিশের নরেন্দ্রকে ভোপাল থেকে চারশো কিলোমিটার দূরে গ্বালিয়রের মুরার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নরেন্দ্রর স্ত্রী অনীতা গত বছরের ১৭ অক্টোবর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেও দু’দিন পর সেই শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত মাসে পুলিশের হাতে শিশুটির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসে পৌঁছয়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ‘‘এর পরই আমরা জানতে পারি, শিশুটির অতিরিক্ত তামাক সেবনেই মৃত্যু হয়েছে।’’ মুরার থানার আধিকারিক সূর্যকান্ত অবস্থি অনীতার বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, রানা মেয়ে হওয়ায় যথেষ্ট ভেঙে পড়েছিল। যে দিন বাচ্চাটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সে দিন রানা ওই ওয়ার্ডে ঢুকেওছিল। তবে তার পরে কী হয়েছে তা অনীতা জানেন না। ধরা পড়ার পরে নরেন্দ্র রানা পুলিশের জেরার মুখে নিজের মেয়েকে তামাক খাইয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। অনীতা আরও জানিয়েছেন প্রসূতি অবস্থায় তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি নিয়মিত অত্যাচার করতেন তাঁর উপর এবং বাচ্চাটিকে হত্যা করে ফেলার হুমকিও দিতেন। তাঁর উপর মূলত পণ দিতে না-পারার কারণেই স্বামী ও শাশুড়ি রেগে ছিলেন সে কথাও জানিয়েছেন অনীতা। এই ঘটনার উপর আলোকপাত পুলিশ এমন দিনেই করল যার ঠিক আগের দিন অর্থাত্ গত কাল ছেলে না-হওয়ার রাগে তিন মাসের এক শিশুকন্যাকে গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা-সহ নানা অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছিল। বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় আহত শিশু আফরিন এখন কোমায় আচ্ছন্ন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ২০১২ সালে এসেও এই কন্যাসন্তান নির্মূল করার কাহিনিতে উদ্বিগ্ন সমাজকর্মী-সহ গোটা দেশের সচেতন মানুষ।
|
লক্ষণের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল |
জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল লক্ষ্মণ শেঠ, অশোক গুড়িয়া ও অমিয় সাউয়ের। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে অভিযুক্ত এই তিন সিপিএম নেতাকে আগামী ২৩ এপ্রিল ফের হলদিয়া আদালতে হাজির করানো হবে। মঙ্গলবার সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণবাবু ও দলের অন্য দুই নেতাকে ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম পবিত্র সেনের এজলাসে হাজির করানো হয়। অভিযুক্ত তিন নেতার জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁদের আইনজীবীরা। বিচারক তা খারিজ করে দিয়ে তিন জনকেই ফের জেল হেফাজতে পাঠান। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন আত্মগোপন করে থাকার পর সম্প্রতি মুম্বইয়ের চেম্বুর থেকে সিআইডি-র হাতে ধরা পড়েন লক্ষ্মণ শেঠ, অশোক গুড়িয়া ও অমিয় সাউ। এ দিনও হলদিয়া আদালতে এসেছিলেন লক্ষ্মণ-জায়া তমালিকা পন্ডা শেঠ। কোর্ট-লকআপে গিয়ে তিনি স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন।
|
বাঁকুড়ার বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্র প্রয়াত |
প্রয়াত হলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্র। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি দূরারোগ্য ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। আজ বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন বিভাগে তিনি মারা যান। কাশীনাথবাবু ১৯৭১ সাল থেকে বিধায়ক ছিলেন। এসএসকেএমের অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র জানিয়েছেন, গত কাল সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বাঁকুড়ার বিধায়ক ভর্তি হয়েছিলেন। বিধায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে।
|
কসবায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা |
কসবার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। ভাঙচুর করা হল ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বাড়িও। ঘটনার সূত্রপাত আজ সকালে। পুরসভার কর্মীরা কসবার বেআইনি ওই নির্মাণ ভাঙতে গেলে স্থানীয় মানুষের কিছু অংশ প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তার পর এক প্রোমোটারের মদতে এলাকার কাউন্সিলর সিপিআইএমের দীপু দাসের বাড়িতে চড়াও হন তাঁরা। অভিযোগ কাউন্সিলরের বাড়িতে বেপরোয়া ভাবে ভাঙচুরও করা হয়। এ বিষয়ে কসবা থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
|
দত্তপুকুরে বচসা থেকে মারধর, মৃত ১ |
উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের নিবাধুইয়ের রেললাইন পার্শ্বস্থ ঝুপড়িতে বিদ্যুত্ সংযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা ও মারধরের ঘটনায় মৃত্যু হল ১ ব্যাক্তির। মৃতের নাম রহমত আলি, বয়স ৩০। ওই ঝুপড়ি এলাকার ‘স্বীকৃত’ নিয়ম কোনও এক পরিবারে যদি বিদ্যুত্ সংযোগ নেওয়া হয়, তবে সেই বাড়ি থেকে অন্যান্য কয়েকটি প্রতিবেশী-পরিবারকে সেখানকার সংযোগ থেকে ‘অবৈধ ভাবে’ বিদ্যুত্ সরবরাহ করতে হয়। এই জন্য মূল সংযোগ নেওয়া পরিবারটি টাকা পেয়ে থাকেন নিয়মিত। সেই রেওয়াজ মেনেই কয়েক দিন আগে রহমত আলির কাছে তিন ব্যক্তি বিদ্যুত্ সংযোগ চেয়েছিলেন। তাঁদের নাম নেপাল সরকার, ছোটন মজুমদার ও অরুণ দাস। কিন্তু ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পরিবারকে সংযোগ দেওয়ায়, তিনি আর কাউকে বিদ্যুত্ দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন রহমত। কিন্তু প্রায় নাছোড় এই তিন ব্যক্তি নানা ভাবে রহমতকে বোঝাতে থাকেন। শেষমেশ গত কাল গভীর রাতে রহমতকে ডেকে রেললাইনের পাশে নিয়ে আসেন এই তিন জন। সেখানে প্রথমে বচসা ও পরে তাঁকে ভীষণ মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী রহমতের গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতও করা হয়। গুরুতর আহত রহমতকে এর পর নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে আজ ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরই এলাকায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দত্তপুকুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশও পৌঁছেছে নিবাধুইতে। যে হেতু গণ্ডগোলের পুরোটাই হয়েছে রেলের আওতাধীন জায়গায়, তাই রেলপুলিশই তদন্ত করতে পারবে এই ঘটনার। বঁনগা জিআরপি থেকে পুলিশ আসার খবর পাওয়া গিয়েছে।
|
ভারী ব্যাগ নয়, স্কুলে এ বার ট্যাবলেট কম্পিউটার |
সিলেবাসের চাপে এমনিতেই ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত শিশুদের বাড়তি বোঝা হচ্ছে তাদের স্কুলের ভারী ব্যাগ। এ বার গোদের উপর বিষফোঁড়া সেই ব্যাগের ভার কমানোর আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বল। আজ কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে এসে শিশুদের ভারী ব্যাগের পরিবর্তে ‘ট্যাবলেট কম্পিউটার’ ব্যবহারের কথা বলেন তিনি। বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার ব্যাগ দিন দিন আরও ভারী হয়ে উঠছে, সেটা যেমন তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, তেমনই মনের উপরও বেশ প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন সিব্বল। তাই কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগী হচ্ছে, যাতে স্কুলব্যাগের পরিবর্তে ওই ছোট ও অপেক্ষাকৃত হালকা ‘বৈদ্যুতিন ব্যাগ’ নিয়ে তারা স্কুলে যেতে পারে। ওই একটি জিনিসেই সব কিছু থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবাকারী সংস্থার ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন সিব্বল।
|
বনধে বেশ ভালই সাড়া মিলছে |
বনধ ডেকেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা শিবিরের বিরোধী শিবির আদিবাসী বিকাশ পরিষদ-সহ ১১টি সংগঠনের ‘তরাই-ডুয়ার্স জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’। ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এ (জিটিএ) তরাই-ডুয়ার্সের এলাকা অন্তর্ভুক্তির দাবির বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে আজ ফের বনধ ডাকা হয়েছে তরাই ও ডুয়ার্সে। তবে ‘আশার কথা’ রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘কথা রাখতে’ই বনধের সময়সীমা মাত্র ২৪ ঘন্টা। ইতিমধ্যেই বনধের বেশ প্রভাব পড়েছে এলাকায়। শিলিগুড়ি শহরে বাজার ও যান চলাচল স্তব্ধ। অন্যান্য জায়গাতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বনধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ সমেত বিভিন্ন সরকারি দফতরের অফিস। বেসরকারি যান চলাচল-সহ বন্ধ এলাকার সমস্ত চা-বাগান। ডুয়ার্সের মধ্যে দিয়ে যে রেল পথ গিয়েছে সেখানে রেল পরিষেবাও প্রায় থমকে রয়েছে। তবে কোনও গোলমালের খবর পাওয়া যায়নি। এখনও শান্তিপূর্ণ এই বনধ। তবে এই বন্ধের ফলাফল দেখার অপেক্ষায় আপাতত রাজনৈতিকশিবির।
|
ব্যারাকের আমগাছেই পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ |
সাতসকালেই এক পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল ব্যারাকপুরে। মৃত ব্যক্তি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এমার্জেন্সি ফোর্স লাইনের কনস্টেবল প্রদীপ মিত্র। ৫৪ বছর বয়সী ওই পুলিশকর্মীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হালিশহরে। আজ সকালে ব্যারাকের একটি আমগাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে সহকর্মীরা খবর দেন টিটাগড় থানায়। থানা থেকে পুলিশ আসার আগেই দেহটি আমগাছ থেকে পড়ে যায়। পুলিশ এসে প্রদীপবাবুর দেহ ব্যারাকপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আপাতত সেখানেই তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের অপেক্ষায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা প্রদীপ মিত্র মারাত্মক অবসাদজনিত কারণেই আত্মহত্যা করেছেন।
|
দিল্লিতে গাড়ির ধাক্কায় মৃত পুলিশকর্মী |
আজ ভোররাতে দিল্লির পশ্চিম বিহারে বেপরোয়া ভাবে গাডি় চালানোর কারণে প্রাণ গেল এক পুলিশকর্মীর। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক জন। ভোর প্রায় সাড়ে চারটে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুতগতিতে ছুটে আসা বিলাসবহুল গাড়িটি প্রথমে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে, পরে সেই উল্টে যাওয়া গাড়িটি এসে ধাক্কা মারে রাস্তার কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে। সহকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মনে করা হচ্ছে প্রবল ধাক্কার কারণে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর পরই পালিয়ে যান গাড়ির চালক। পরে পুলিশ সেই চালককে গ্রেফতার করে জানতে পারে, তিনিই ওই গাড়ির মালিক। ধৃতের নাম গুরুদীপ। তিনি দিল্লি শহরের এক জন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী।
|
নোনাডাঙায় জমি জরিপ শুরু |
নোনাডাঙায় বস্তি উচ্ছেদ কাণ্ডে নতুন মোড়। আজ সেখানে শুরু হয়েছে জমি জরিপের কাজ। আগামীকাল শুরু হবে পাঁচিল তোলার কাজ। এই ঘটনায় ক্ষোভ রয়েছে এলাকার মানুষের মধ্যে। আজ এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় সিপিআইএমের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়েছিল বিভিন্ন দাবি নিয়ে। দুপুরবেলায় সেই মিছিল বেরোনো মাত্রই পুলিশ মিছিলকারীদের আটকে দেয়। তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারের কেন্দ্রীয় লকআপে। প্রসঙ্গত নোনাডাঙা উচ্ছেদ কাণ্ডে পুলিশ প্রতিরোধ কমিটির যে ৭ জনকে গ্রেফতার করে গত কাল আদালতে তুলেছিল, তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। |
|