প্রায় বছরখানেক আগে খড়গ্রাম এলাকার রাস্তার মেড়ে মোড়ে সৌরবাতিগুলি দেওয়া হয়েছিল। বছর যেতে না যেতেই ওই সৌরবাতিগুলির অধিকাংশই জ্বলছে না, বা অল্পসল্প আলো দিচ্ছে। ওই সৌরবাতিগুলি যে প্রকল্পের অধীনেই হোক না কেন, রাস্তায় লাগিয়ে দিয়েই তার দায় সারা হয়েছে। বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কোনও চেষ্টাই চোখে পড়ে না। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, বিকল সৌরবাতিগুলি অবিলম্বে মেরামত করে, অথবা তা সরিয়ে দিয়ে সেখানে নতুন সৌরবাতি লাগিয়ে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হোক। |
এখন চৈত্র মাস। কৃষ্ণনগরের পোস্ট অফিস মোড়ে শুরু হয়েছে ‘সেলে’র দাপটে যানজট। অস্থায়ী ওই সেলের দোকানের দুঃসহ দাপটের পরিস্থিতি তৈরি হয় দুপুর থেকেই। তার মধ্যে দু’চাকার ও চার চাকার গাড়ি ঢুকে অবস্থা আরও বেসামাল হয়ে পড়ছে। তার উপরে রয়েছে পোস্ট অফিস মোড়ে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে গজিয়ে ওঠা সাইকেল ও মোটরবাইকের স্ট্যান্ড। সব মিলিয়ে জগাখিচুড়ি দশা। কৃষ্ণনগর পুরসভার কর্তাদের কাছে অনুরোধ, হয় সেলের বাজারটিকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করুন, নয়তো সেল মার্কেটের জন্য সময় নির্দিষ্ট করুন। |
নদিয়া জেলার দেবগ্রামে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় এমন হাসপাতাল নেই। তার ফলে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে এখানকার মানুষদের হয় কৃষ্ণনগর যেত হয়, নয়তো বহরমপুর ছুটতে হয়। তার ফলে রোগীদের অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়ে। এ কারণে সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ, উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে এমন ব্যবস্থা সম্পন্ন একটি হাসপাতাল দেবগ্রামে প্রতিষ্ঠা করুন। এবং সেই হাসপাতাল থেকে ওষুধ কেনা যায় তার ব্যবস্থাও যেন সেখানে থাকে। |
আমি নদিয়া জেলার নাকাশিপাড়া চক্রের বাগুণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক। গ্রীষ্মকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচি কচি শিশুরা প্রচণ্ড গরমে কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে ও কী ধরনের কষ্ট তাদের সইতে হয় তা অন্য শিক্ষকদের মতো আমিও প্রত্যক্ষ করি। কিন্তু বিদ্যুৎ ও পাখার ব্যবস্থা না থাকায় ওই খুদে পড়ুয়াদের কষ্ট মুখ বুজে দেখা ছাড়া আমাদের কিছুই করার থাকে না। তাই নদিয়া জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতির কাছে অনুরোধ, ওই সব কচি কচি শিশুদের কষ্ট লাঘব করার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে বিদ্যুৎ ও পাখার ব্যবস্থা করা হোক। |
বহরমপুর শহরে রান্নার গ্যাসের অনিয়মিত সরবরাহের জন্য গৃহস্থের রান্নাঘরে সঙ্কটময় পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল রান্নার গ্যাসের সরবরাহের ফলে ওই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বুকিং করার পর গ্যাস পেতে কম করে এক মাস সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। ওই সংকটমোচনে মাননীয় সাংসদ ও জেলাশাসকের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছি। |
গত ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের ‘আরবান স্যানিটেশান পলিসি প্রকল্প’-এর সমীক্ষায় পরিচ্ছন্নতা, সাফাই, পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ ও নিকাশি ব্যবস্থার নিরিখে কৃষ্ণনগর পুরসভা ‘লাল’ তালিকায় স্থান পেয়েছিল। তার পর দু’বছর পেরিয়েছে। শহরের কিছু শ্রীবৃদ্ধি হলেও নিকাশি ব্যবস্থা আজও সঙ্গীন। অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান জল। কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হাইড্রান্ট তৈরি হলেও নোংরা জল অপসারণের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যার সুরাহা মেলেনি। উপরন্তু নোংরা জল দীর্ঘ দিন জমে থাকায় মশার উৎপাত বেড়েছে। পুরকর্তাদের কাছে অনুরোধ, নাগরিকদের ওই অব্যবস্থা থেকে দ্রুত রেহাই দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হন। |