ঝড়ে শিশু-সহ দম্পতির দিকে মমতার হাত |
হঠাৎ কালবৈশাখী ধেয়ে আসায় সন্তান কোলে নিয়ে মহানগরের গাছতলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন এক দম্পতি। দেখতে পেয়ে মা ও সন্তানকে নিজের গাড়িতে তুলে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ওই মহিলার স্বামীকে তুলে দিলেন তাঁর কনভয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে নিজের বাড়িতে নেমে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর গাড়ি ওই দম্পতি এবং তাঁদের সন্তানকে পৌঁছে দেয় বেহালার শীলপাড়ার বাড়িতে। বুধবার রাতে ঝড়ের মধ্যে মমতার এই মমত্বের সাক্ষী থাকল কলকাতা। পুলিশ জানায়, রাত সওয়া ৮টা নাগাদ বেলুড় থেকে ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ডি এল খান রোড এবং আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডের মোড়ে তিনি দেখেন, ঝড়বৃষ্টিতে কোথাও আশ্রয় নিতে না-পেরে সন্তান কোলে নিয়ে একটি গাছের তলায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক মহিলা। স্বামী পাশেই একটি ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ঝড়ের মধ্যে পড়া ওই দম্পতিকে দেখেই চালককে গাড়ি থামাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মহিলা এবং তাঁর সন্তানকে নিজের গাড়িতে নিয়ে আসার জন্য কনভয়ের পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি। আর মহিলার স্বামীকে তুলে দেন কনভয়ের একটি গাড়িতে। পুলিশি সূত্রের খবর, ওই মহিলার স্বামী অমিত মুখোপাধ্যায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে তিনি সাঁতরাগাছি থেকে বাসে চেপে ওই মোড়ে আসেন। ঝড়ের সময় তাঁরা ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
|
আগাম জামিন পুর-চেয়ারম্যানের |
প্রথম মামলায় জামিন মিলেছিল আগেই। এ বার দ্বিতীয়টিতেও জামিন পেলেন রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায়। বুধবার বারাসত আদালতে জেলা বিচারক অসীম মণ্ডল তাপসবাবুর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে, সরকার পক্ষের আইনজীবী শান্তময় বসু বলেন, “জামিনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে ফের আবেদন করব।” দলীয় সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই তাপসবাবু ফের পুরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বামেদের ডাকা ধর্মঘটের দিন রাজারহাটের একটি স্কুল খোলাকে কেন্দ্র করে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়। রাজারহাট-নিউ টাউনের বিধায়ক সব্যসাচী চক্রবর্তীর দেহরক্ষী স্বপন মৃধার রিভলভার ছিনতাই এবং এলাকায় গোলমাল করার অভিযোগে দু’টি মামলা হয় তাপসবাবুর বিরুদ্ধে। একটি মামলায় তাপসবাবু আগাম জামিন পেলেও রিভলভার ছিনতাইয়ের মামলায় প্রথমে জামিন পাননি তিনি। তাপসবাবুর আইনজীবী কোর্টে জানান, তাপসবাবু জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও এই মামলার জন্যই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। পুরসভার কাজের ক্ষতি হচ্ছে। মামলার কেস ডায়েরি জমা না-পড়ায় জামিনের আবেদনের শুনানি পিছোয়। এর পরে বুধবার জামিন মেলে।
|
লেকটাউনের এক আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দমদমের তৃণমূলের যুব নেতা তারক জয়সোয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা ও খুনের চক্রান্তের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারকবাবু দক্ষিণ দমদম পুরসভার শহর তৃণমূল যুব সভাপতি। গত পুর-নির্বাচনে তিনি ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, ২০ মার্চ রাতে লেকটাউনের একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী বুদ্ধদেব দে ও শ্যামল খানের উপরে হামলা চালায় কয়েক জন দুষ্কৃতী। শ্যামলের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন বুদ্ধদেব। ওই ঘটনার পরদিন গ্রেফতার হয় সেলিম মোল্লা, করিম মোল্লা ও সুরজিৎ দাস নামে তিন দুষ্কৃতী। পুলিশ তাদের জেরা করে জানতে পারে, ওই আবাসনের প্রোমোটারের থেকে তোলা আদায় করতে তাদের পাঠায় দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দি দাগী দুষ্কৃতী দুখুয়া। পুলিশের দাবি, দুখুয়াকে জেরা করে ও কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণের মাধ্যমে জানা যায়, তারকবাবুই ওই খুনের অন্যতম প্রধান চক্রান্তকারী। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “ওই আবাসনের প্রোমোটারের থেকে তোলা আদায় করতে আসে তিন দুষ্কৃতী। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে দুষ্কৃতীরা বুদ্ধদেব ও শ্যামলের উপরে হামলা করে। পুরো ঘটনাটি তারকবাবু ও দুখুয়ার চক্রান্তের মাধ্যমেই ঘটেছিল।” বুধবার তারকবাবুকে বিধাননগর মহকুমা আদালত পুলিশি হেফাজত দেয়।
|
ফের সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে আটকে গেল মেট্রো। অফিস থেকে ফেরার পথে দুর্ভোগে পড়লেন নিত্যযাত্রীরা। মেট্রো সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ একটি নন-এসি ট্রেন দমদম থেকে ছাড়ার পরেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। গিরিশ পার্ক স্টেশনে সেটিকে খালি করে টালিগঞ্জ কারশেডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই ট্রেনের এক যাত্রী মধুপর্ণা মিত্র জানান, ট্রেনটি ছাড়ার সময়েই বিকট শব্দ-সহ ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে। তার পর থেকে খুবই আস্তে চলছিল। শ্যামবাজারেও বহুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল ট্রেনটি। মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সাধারণ) প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “ওই রেকটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ না মেলায় শব্দ হচ্ছিল। গতিও ছিল কম।” তিনি জানান, ওই ট্রেনটিকে খালি করার পরে পরের ট্রেনটি ঠিক সময়েই এসেছে। তবে যাত্রীরা জানান, ব্যস্ত সময়ে ওই ট্রেনটি আচমকা খালি করে দেওয়ায় পরের ট্রেনটিতে অস্বাভাবিক ভিড় হয়। ফলে অনেকেই উঠতে পারেননি। |