অটোচালকদের পথ অবরোধ, নাকাল যাত্রীরা |
জ্বালানী গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে গত কালের মতো আজও শহরকে অবরোধের জালে মুড়ে দিলেন অটোচালকেরা। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাই সকাল থেকে অবরুদ্ধ ছিল। উল্টোডাঙা, কসবা, তিলজলা, রাসবিহারী মোড়, বালিগঞ্জ, বেহালা, মানিকতলা মোড়, কাঁকুড়গাছি— সর্বত্রই বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী-সহ অফিসযাত্রী ও ছাত্রছাত্রীরা। উল্টোডাঙা মোড়ের অবস্থা অন্যান্য অঞ্চল থেকে একটু আলাদা ছিল। সেখানে অবরোধকারীরা অটো না-চালানোর পাশাপাশি ট্যাক্সি-বাস ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ অবরোধ তুলতে এলে এলাকায় তাণ্ডব চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় নামেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক পরেশ পাল। সদলবলে বিধায়ক এসে অটোচালকদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেন। অটোচালকদের চড় মারার পাশাপাশি কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগও উঠেছে বিধায়ক পরেশ পালের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে এই অবরোধের জেরে চূড়ান্ত নাকাল যাত্রীদের ভরসা যে ট্যাক্সি, মওকা বুঝে তারাও হাঁকিয়েছে ভাড়ার বহর। মিটার নয়, থোক টাকাতেই রফা করতে গিয়ে বিরক্ত নিত্যযাত্রীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও যান চলাচল বেলা বারোটাতেও স্বাভাবিক হয়নি। এগারোটা নাগাদ উল্টোডাঙা মোড় ও রাসবিহারীতে অবরোধ উঠে গেলেও নতুন করে অবরোধ শুরু হয় দেশপ্রিয় পার্কে। পাশাপাশি রাসবিহারী-বালিগঞ্জ, তারাতলা-যাদবপুর, ঠাকুরপুকুর-বেহালা রুটে অটো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবরোধ হয় বাইপাসেও। গরম ও অবরোধে সকাল সাড়ে ন’টা থেকে নাকাল হওয়া শহরবাসী দুপুর বারোটাতেও স্বস্তির শ্বাস ফেলেনি। আর তার মধ্যেই রাজনৈতিক নেতৃত্ব অবরোধ নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে তরজায় নেমেছেন।
|