ব্রহ্মান্ডে আলোর থেকে জোরে ছোটে না কোনও কিছুএই তত্ত্ব স্বীকার করে নিলেন সার্নের বিজ্ঞানীরা। আর এই স্বীকৃতির সঙ্গেই আবার প্রমাণিত হল আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ। কিন্তু কী ভাবে প্রমাণিত হল তার অভ্রান্তি? গত সেপ্টেম্বরে সার্নের ‘অপেরা’ বিভাগের বিজ্ঞানীরা এক অদ্ভূত দাবি করেন। তাঁরা জানান, ‘নিউট্রিনো’ নামে এমন এক ‘ভুতুড়ে কণার’ সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যার গতিবেগ নাকি আলোর থেকেও বেশি। তাঁদের হিসেব মত, জেনেভা থেকে ৭৩২ কিলোমিটার দূরের গ্র্যান স্যাসোতে পৌছতে ‘নিউট্রিনো’ র লাগার কথা ছিল ০.০০২৪ সেকেন্ড। কিন্তু বাস্তবে তার থেকে কিঞ্চিত কম সময়েই ‘নিউট্রিনো’ পৌছে গিয়েছে তার গন্তব্যে। এতেই হইচই পড়ে যায় বিজ্ঞানীমহলে। কারণ এ যদি সত্যি হয়, তাহলে প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ। এও কি সম্ভব? বিতর্ক থামাতে আবার ওই পরীক্ষা করেন সার্নের বিজ্ঞানীরা। আর তাতেই দেখা গিয়েছে, হিসেবের গোলমালের কারণেই ‘নিউট্রিনো’র গতিবেগ ভুল মেপেছিলেন বিজ্ঞানীরা। আলোর থেকে জোরে ছোটে না সে। এর পরেই ‘অপেরা’র প্রধান অ্যান্টনিও এরাদিতাতোকে অপসারণের দাবি ওঠে। আজ পদত্যাগ করেছেন তিনি।
|
চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখার জন্য নীল আর্মস্ট্রংয়ের নাম কবেই ইতিহাসের পাতায় উঠে গিয়েছে। অথচ আমস্ট্রং ও তাঁর সঙ্গী এডুইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিনসকে চাঁদে নিয়ে যেতে অ্যাপোলো-১১র যে ইঞ্জিনগুলো সাহায্য করেছিল এত দিন তার কোনও খবরই পাওয়া যায়নি। অবশেষে ৪৩ বছর পরে অতলান্তিক মহাসাগরের গভীরে তাদের খোঁজ পেয়েছেন এক দল অভিযাত্রী। ১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে রওনা হয় অ্যাপোলো-১১। মহাকাশযানটি কিছু দূর ওঠার পরেই হিসেব মতো ৫টি এফ-১ ইঞ্জিন যানটি থেকে আলাদা হয়ে অতলান্তিক মহাসাগরে পড়ে যায়। সেই থেকে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। যিনি এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং অর্থসাহায্য করেছেন সেই বেজোস জানিয়েছেন, বিশেষ সোনার স্ক্যানারের সাহায্যে অতলান্তিকের ১৪ হাজার ফুট গভীরে ইঞ্জিনগুলোর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এগুলো উপরে তোলার পরিকল্পনা আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে নোনা জলে ওই ইঞ্জিনগুলো কী অবস্থায় রয়েছে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। |