নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য সরকারের সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদোন্নতি ও বদলির নিয়ম পরিবর্তন করল রাজ্য সরকার। কিন্তু এই নিয়মের আওতা থেকে বাদ রাখা হল মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের অফিসের কর্মীদের। বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে নতুন নিয়মের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
আগের নিয়মে তিন মাস অন্তর পদোন্নতির নির্দেশ জারি হত। সংশ্লিষ্ট দফতরে সমমানের পদ খালি থাকলে পদোন্নতির পরে কর্মীকে সেখানেই রেখে দেওয়া হত। নতুন নিয়মে প্রতি মাসেই পদোন্নতির নির্দেশ জারি হবে। এবং যে-দফতরে পদ শূন্য থাকবে, প্রোমোশন পাওয়া কর্মীকে বদলি করা হবে সেখানেই। তবে অবসরের এক বছর আগে কারও পদোন্নতি হলে তাঁকে বদলি করা হবে না।
নির্দেশে বলা হয়েছে: সল্টলেক থেকে বি বা দী বাগ অথবা উল্টো ক্ষেত্রে কেউ বদলি চাইলে ‘পার্র (কর্মিবর্গ) দফতরের ‘কমন ক্যাডার উইং’-এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং গুরুতর অসুস্থ কর্মীরা বিশেষ সুবিধা পাবেন। নতুন নিয়মে সচিবালয়ে কর্মরত এলডি থেকে সেকশন অফিসার পর্যন্ত সব কর্মীর ক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ হবে। সচিবালয়ের মধ্যে রয়েছে মহাকরণ, বিভিন্ন ডিরেক্টরেট, নব মহাকরণ এবং সল্টলেকের বিভিন্ন সরকারি অফিস। সব মিলিয়ে কর্মী-সংখ্যা প্রায় ছ’হাজার। জেলার অফিসগুলো এর আওতায় আসবে না।
নির্দেশিকায় বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের অফিসের কর্মীদের। বলা হয়েছে: এই ২ দফতরের কর্মীদের ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম কার্যকর হবে না। বিশেষ প্রয়োজনে কোনও দফতরের প্রোমোশন পাওয়া কর্মীকে রেখে দেওয়া যেতে পারে অনুমতিসাপেক্ষে। কোনও কর্মীই একটি দফতরে সর্বাধিক ১২ বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। নতুন নিয়ম বলবৎ হবে ১ এপ্রিল থেকে।
প্রত্যাশিত ভাবেই এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূলের কর্মী সংগঠন বলেছে, এর ফলে বিভিন্ন দফতরের এক শ্রেণির কর্মী-অফিসারের মৌরসি পাট্টা বন্ধ হবে। অন্য দিকে সেক্রেটারিয়েট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাণী মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সরকার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।” আইএনটিইউসি অনুমোদিত কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায়ের মতে, “বদলি ও পদোন্নতির নিয়ম বদল করার কোনও প্রয়োজন ছিল না।” মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের অফিসের কর্মীদের কেন ছাড় দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মলয়বাবু। |