নামেই প্রদর্শনী ম্যাচ, ভেতরে ভেতরে একটা চোরাস্রোত তো থাকবেই। সেই চোরাস্রোত আবেগের, যদিও সেখানে থাকবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ। বিশ্বজয়ী ছাত্রদের সঙ্গে যে ফের দেখা হচ্ছে বিশ্বজয়ী কোচ গ্যারি কার্স্টেনের! শুধু কার্স্টেন এ বার বিপক্ষ দলের কোচ। যিনি বলছেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করতে পারে।” এবং যা মেজাজ তাতে পুরনো ছাত্রদের ছেড়ে কথা বলার কোনও গল্প নেই কার্স্টেনের।
শুকনো প্রদর্শনী ম্যাচ হলে কী হবে, এ আসলে আইপিএলের প্রস্তুতি। লম্বা টুর্নামেন্টের আগে ছোটখাটো এক মহড়া। তার মধ্যে রয়েছে বিতর্কও। যেখানে প্রশ্ন উঠছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের যৌক্তিকতা কোথায়? বলা হচ্ছে, আইপিএলের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে ক্রিকেটারদের যেখানে প্রস্তুতি শিবিরে থাকা উচিত, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের বসতি স্থাপনের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পাঠানো মানে ক্রিকেটারদের অহেতুক ক্লান্তির দিকে ঠেলে দেওয়া। ম্যাচের আগের দিন এই নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখিও হতে হল মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। ধোনি অবশ্য ক্লান্তি ফ্যাক্টরকে উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, “সবাই খুশি। ক্লান্তি নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। মনে হয় না ক্লান্তি কোনও ফ্যাক্টর। আমরা সকলেই আইপিএলে খেলাটা উপভোগ করি, কারণ এখানে দেশের হয়ে খেলার চাপটা থাকে না। তা ছাড়া টুর্নামেন্টটা লম্বা, বেশ কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া যায়।” |
অস্ট্রেলিয়া সফরে চূড়ান্ত বিপর্যয়। তার পরে এশিয়া কাপের ফাইনালেও উঠতে না পারা। বেশ বিপর্যস্ত অবস্থাতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে যেতে হয়েছে ধোনির দলকে। পনেরো জনের দলে বাংলার দুই প্রতিনিধি মনোজ তিওয়ারি ও অশোক দিন্দা। ঢাকায় এশিয়া কাপে অশোক দিন্দা সুযোগ পেলেও মনোজের ভাগ্যে একটি ম্যাচেও শিকে ছেঁড়েনি। ওয়ান্ডারার্সে মনোজ সুযোগ পাবেন, সেই নিশ্চয়তাও নেই। টিমে আছেন রায়না, রোহিত, জাডেজারা। এমনিতে প্রদর্শনী ম্যাচ হিসেবেই ম্যাচটাকে দেখা হচ্ছে। ওয়ান্ডারার্সে রীতিমতো উৎসবের হাওয়া। ‘জাক কালিস ডে’ হিসেবে ৩০ মার্চ দিনটিকে মনে রাখতে চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা টিমটাও বেশ ভাল জায়গায়। সদ্য নিউজিল্যান্ড থেকে টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয়ী দল থেকে মাত্র আট জনকে রাখা হয়েছে কালকের ম্যাচের দলে। সিনিয়রদের মধ্যে আছেন শুধু জাক কালিস। অন্য দিকে ভারত কিন্তু পুরো শক্তির। শুধু বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বীরেন্দ্র সহবাগ ও জাহির খানকে।
|
যাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে বিতর্ক। তিনি স্বয়ং চরম বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন। তা-ও অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে টিম-ধোনির ব্যর্থতা প্রসঙ্গে। বক্তা সুরেশ রায়না। এক টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, “অজুহাত দেওয়া অর্থহীন। শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ভাল খেলতে হবে। মনে হয় অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমরা ঠিক মতো পরিকল্পনা করতে পারিনি। তাই টানা আটটা টেস্টে হেরেছি। তবে ভুল থেকে শিখেছি। ওয়ান ডে-তে অবশ্য আমরা খারাপ খেলিনি। কিন্তু টেস্টে আমাদের ভাল খেলতে হবে। বিশেষ করে বিদেশে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমার নেতৃত্বে কিন্তু ওয়ান ডে সিরিজ ভারতই জিতেছিল। আমি ওখানে টেস্টেও ভাল খেলেছিলাম।” |