ফের মেট্রোর কর্মী সংগঠনের সভাপতি মদন |
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র আবার এনএফআইআর অনুমোদিত ‘মেট্রোরেল ওয়ার্কার্স কংগ্রেসে’র সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। গত আট বছর ধরে তিনি সংগঠনের সভাপতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার কলকাতার মেট্রো ভবনে আগামী দু’বছরের জন্য ওয়ার্কার্স কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির নির্বাচন হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মদনবাবুর সভাপতিত্বে ৩১ জন সদস্যের কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে মদনবাবু বলেন, “এর আগে আমাদের সংগঠনের ১১০০ ঠিকা কর্মীকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তায় আমরা স্থায়ী করতে পেরেছিলাম। কিন্তু এখনও বহু কর্মী আছেন যাঁদের স্থায়ীকরণ করা আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি মেট্রো পরিষেবা আরও উন্নত করে তোলার চেষ্টা করব।”
|
জেল থেকে আদালতের পথে প্রিজন ভ্যানেই ব্লেড দিয়ে হাত কাটল তিন বিচারাধীন বন্দি। বুধবার, বারাসত জেলা আদালতের সামনে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০৯-এ মাদক পাচারের অভিযোগে বিধান সেন, সমীর মিস্ত্রি ও দেবাশিস চক্রবর্তী নামে ওই তিন জন গ্রেফতার হয়। তখন থেকেই তারা বিচারাধীন অবস্থায় দমদম সেন্ট্রাল জেলে। এ দিন ওই বন্দিদের ভ্যান থেকে নামালে দেখা যায়, তাদের হাত রক্তাক্ত। বিচারে দেরি হওয়ায় আত্মহত্যা করতে চেয়ে আদালত চত্বরেই চিৎকার করতে থাকে তারা। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভ্যানে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ব্লেড জোগাড় করে ওই বন্দিরা হাত কাটল, তা দেখছে পুলিশ। আদালত সূত্রে খবর, সাক্ষীর অভাবেই ওই তিন বন্দির বিচারে দেরি হচ্ছে।
|
অবশেষে বিধাননগর পুরভবনে বসছে অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র। সেই সঙ্গে সল্টলেকের বিভিন্ন বাজার ও শপিং মলগুলিকেও অগ্নি-নিরাপত্তা দিতে উদ্যোগী হয়েছে বিধাননগর পুরসভা। বুধবার পুর-চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পুরসভার এগ্জিকিউটিভ অফিসার তথা মহকুমা শাসক মলয় মুখোপাধ্যায়কে দমকলের কাছে চিঠি লিখে পরামর্শ চাইতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিধাননগর পুরভবনে প্রতিদিন প্রচুর লোক যান। কিন্তু সেখানে যথাযথ অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত জানান, পুর-বাজেটে জেনারেল ফান্ডের টাকায় অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র বসানো হবে। অন্য দিকে, বিধাননগরে কুড়িটিরও বেশি বাজার রয়েছে। অধিকাংশেরই অবস্থা বিপজ্জনক। ওই বাজারগুলির ক্ষেত্রে দমকল যা পরামর্শ দেবে, বিক্রেতাদের তা মেনে চলার জন্য নির্দেশ জারি হবে বলে জানান চেয়ারম্যান পারিষদ (পূর্ত) অনুপম দত্ত।
|
টেস্টে পাশ করানোর দাবিতে গড়িয়াহাট মোড়ের কাছে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসন্তীদেবী কলেজের একদল ছাত্রী। পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে এর জেরে কিছুক্ষণ প্রবল যানজট হয় রাসবিহারী, গড়িয়াহাট মোড় এবং আশপাশে। ওই কলেজের অধ্যক্ষা মৈত্রেয়ী বর্ধন রায় বলেন, “মঙ্গলবার থেকেই ছাত্রীরা কোনও কথা না শুনে নানা ঝামেলা করছে। টেস্টে যাদের আটকেছি, হয় তারা সারা বছর ক্লাস করেনি, নয়তো দুটো বিষয়ে পাশ করতে পারেনি।”
|
কন্ডাক্টরের মৃত্যুতে অভিযুক্ত বাস-মালিক |
বি বা দী বাগ-বিরাটি রুটের একটি মিনিবাসের কন্ডাক্টরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাস-মালিকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুমন্ত চৌধুরী (৩৪)। গত সোমবার নিজের বাড়িতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। সুমন্তবাবুর স্ত্রী ডলি চৌধুরী বুধবার নিমতা থানায় বিপ্লব মুখোপাধ্যায় ওরফে মহারাজ নামে ওই বাস-মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ডলিদেবীর অভিযোগ, “আমার স্বামীকে নিয়মিত কাজ দেওয়া হত না। তাই খুবই অভাবে পড়ে গিয়েছিলাম। সোমবার কাজে নেওয়ার আর্জি জানালে বাস-মালিক ওঁকে আত্মহত্যা করতে বলেন।” বিপ্লববাবু বলেন, “এটা চক্রান্ত। আমি তেমন কিছুই বলিনি।” মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সোমবার সুমন্তবাবুর মৃত্যুর পরেই তাঁরা থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ করলে পুলিশ তা নিতে বাধ্য। কী ঘটেছে, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
মেয়েকে সোনাগাছিতে বিক্রির অভিযোগে বুধবার গ্রেফতার হল বাবা ও মা। ধৃতদের নাম নবাব সিংহ ও বীণা সিংহ। গ্রেফতার হয়েছে সোনাগাছির আরও দুই মহিলা। পুলিশ জানায়, ১৭ বছরের ওই কিশোরী ভোপালে দাদু-ঠাকুমার কাছে থাকত। কিছু দিন আগে বাবা-মা তাকে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। ২১শে মার্চ সোনাগাছি থেকে পালিয়ে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটি। তারাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। |