শপিং মলে তখন ভিড় সবে জমতে শুরু করেছে। হঠাৎ চাউর হয়ে গেল, সেখানে বোমা রাখা আছে। আতঙ্কে সবাই ছোটাছুটি করে বাইরে বেরোতে লাগলেন। তড়িঘড়ি মলের সমস্ত দোকানের কর্মীদের বার করে দিতে শুরু করলেন সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা।
পুলিশ জানায়, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারের ওই শপিং মলে বুধবারের এই ঘটনার মূলে রয়েছে একটি উড়ো ফোন। তবে ঘণ্টা তিনেক ধরে তল্লাশি চালিয়ে কোনও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। |
পুলিশ জানায়, এ দিন ওই মলের প্রশাসনিক দফতরে একটি ফোন আসে। তাতে এক পুরুষকণ্ঠ জানায়, শপিং মলে বোমা রাখা আছে। সেই খবর পাওয়ার পরেই মলটি খালি করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে হাজির হয় স্নিফার ডগ-সহ পুলিশ এবং দমকল। এই তল্লাশি চলার সময়েই হঠাৎ ওই শপিং মলের চারতলা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে বোমার সঙ্গে আগুনের আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে। পরে দমকল জানায়, মলের একটি রেস্তোরাঁ থেকে রান্নার ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। কিছু ক্ষণের মধ্যেই অবশ্য সেই ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বোমাতঙ্কে শপিং মলের আশপাশের কিছু দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সেই সময়ে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ফোনটি করা হয়েছিল বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন একটি টেলিফোন বুথ থেকে। কিন্তু কে সেই ফোনটি করেছিল, তা এখনও জানা যায়নি। ডিসি (ইএসডি) সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।”
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হাজারখানেক লোক বাইরে দাঁড়িয়ে। হাজির হয়েছেন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারাও। গোটা শপিং মলটি পুলিশ এবং নিরাপত্তাকর্মীরা ঘিরে রেখেছেন। মলের এক কর্মী, প্রিয়জিৎ বসু বলেন, “কাজ করছিলাম। হঠাৎ নিরাপত্তারক্ষীরা এসে বেরিয়ে যেতে বললেন।” দুপুর আড়াইটে নাগাদ প্রতিটি দোকানের এক জন করে কর্মীকে ভিতরে পাঠানো হয়। পরে বিকেল সওয়া তিনটের পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ফের খুলে দেওয়া হয় শপিং মলটি।
ওই শপিং মলের ম্যানেজার (অপারেশনস) পৃথ্বীরাজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ দিন বোমাতঙ্কের সময়ে ওই মলে কর্মী এবং সাধারণ মানুষ মিলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জন ছিলেন। খবর পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁদের বাইরের রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, “ফোনটি একটি ল্যান্ডলাইন থেকে এসেছিল। কে করেছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।”
বোমা ফেটে জখম। বোমা ফেটে জখম হল তিন শিশু। বুধবার, এই ঘটনা ঘটেছে ব্যারাকপুর পুরসভা এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের এ কে রোডে। জখম ওই তিন জনের নাম রোহিত সাউ, গৌতম বর্মণ ও শেখ ভোলা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এদের মধ্যে শেখ ভোলাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের অনুমান, স্থানীয় দুষ্কৃতীরা একটি জলের ট্যাঙ্কের নীচে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল। |