টুকরো খবর
নির্দল হামিদুল তৃণমূলে
শুক্রবার ‘আনুষ্ঠানিক’ভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন চোপড়ার নির্দল বিধায়ক হামিদুল রহমান। এ দিন বিধানসভা ভবনে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন হামিদুল। সেখানেই তিনি দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত জানান বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। হামিদুলের যোগদানের ফলে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা আবার ১৮৫ হয়ে গেল। কয়েকদিন আগে দাসপুরের তৃণমূল বিধায়ক অজিত ভুঁইয়া মারা যাওয়ায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা হয়েছিল ১৮৪। দাসপুরের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হলে মমতার বিধায়ক সংখ্যা আরও একজন বাড়বে। অনেক দিন ধরে তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়েই ছিলেন প্রিয়রঞ্জন-জায়া দীপা দাশমুন্সির ‘ঘনিষ্ঠ’ হামিদুল। নিজের বিধানসভা এলাকার উন্নয়নে কংগ্রেসের সাহায্য ঠিকমতো না পাওয়ায় ‘বিক্ষুব্ধ’ হামিদুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে রাজ্য-রাজনীতিতে জল্পনা চলছিল। এই পরিস্থিতিতে দলের প্রতি তাঁর ‘সমর্থন’ ধরে রাখতে নিজের সাংসদ তহবিল থেকে অহামিদুলের এলাকায় অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। হামিদুল সেই প্রস্তাব মেনে নিজের এলাকার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অনুদানের আর্জিও জানান প্রদীপবাবুর কাছে। তবে রাজ্যসভায় তৃণমূলের এক প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক হিসেবে হামিদুল সই করার পরেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা বাড়ে। তিনি যে তৃণমূলের দিকে অনেকটাই ঝুঁকে পড়েছেন, তার আঁচও মিলেছিল। এ দিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে অবশ্য হামিদুলের বক্তব্য জানা যায়নি। প্রদীপবাবুর প্রতিক্রিয়া, “জানতামই না, ও তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। আমি তো ওর জন্য ১০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করে রেখেছিলাম!” আজ, শনিবার তৃণমূল সাংবাদিক বৈঠক ডেকে হামিদুলের যোগদানের বিষয়টি জানাতে পারে।

নিগমকে বাঁচাতে পরিকল্পনা
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা’র (এনবিএসটিসি)র বেহাল আর্থিক দশা ঘোচাতে সঠিক পরিকল্পনা, বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে যুব কংগ্রেস। আজ, শনিবার ওই দাবিতে কোচবিহার শহরে যুব কংগ্রেস মহামিছিলের ডাক দিয়েছে। কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর, সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের দীপিকা পাণ্ডে, ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি রাহুল রায়। কর্মসূচিকে সফল করতে জেলাজুড়ে প্রচার অভিযানে চালিয়েছে যুব কংগ্রেস। যুব কংগ্রেসের অভিযোগ, এনবিএসটিসি’র কর্মীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। ঠিকাদার নিযুক্ত কর্মীদের ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। মাথাভাঙায় একজন ঠিকাদার নিযুক্ত ছাঁটাই কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। পেনশন বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই আন্দোলন। জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি (লোকসভা কমিটি) অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এনবিএসটিসি ধুঁকছে। সঠিকভাবে সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে না। প্রশাসকেরা ব্যর্থ। আমরা ওই সংস্থাকে বাঁচাতে লাগাতার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শনিবার মহামিছিল করে বিক্ষোভের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।” শনিবার বেলা ১১ টায় শহরের স্টেশন মোড় থেকে ওই মিছিল শুরু হবে। ভবানীগঞ্জ বাজার, সুনীতি রোড ঘুরে কেশব রোডের ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হবে বলে যুব কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে।

গরমে শুকোচ্ছে কুয়ো
ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
গরম পড়তেই ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে কুয়ো শুকিয়ে যাওয়ায় তীব্র জলকষ্ট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে স্নান করার জলটুকুও পাচ্ছেন না শহরের বাসিন্দারা। ১১, ১, ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জলকষ্ট সব থেকে বেশি। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মহাকালপাড়া লাগোয়া এলাকার নৃপেন দাস, আল্পনা চাকীরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে স্নান করা শিকেয় উঠেছে। পাশেই মাল নদী। নদীতেও জল না থাকায় সঙ্কট আরও বেড়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুজাতা সরকার জানালেন, তাঁদের কুয়োর জল তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। মোকাবিলায় নেমেছে পুরসভা। মালবাজার পুরসভার থেকে প্রতিটি পাড়ায় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হলেও তা পর্যাপ্ত হচ্ছে না বলে মহাকালপাড়ার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। পুরসভার জলের গাড়ি আসার আগেই এত লম্বা লাইন পড়ছে যে অনেকেই খালি বালতি নিয়ে ফিরছেন। মালবাজারের পুরপ্রধান সুপ্রতিম সরকার জানান, পুর নাগরিকদের মতো তাঁরাও ঘাটতি মেটাবার জন্য পর্যাপ্ত জল পাচ্ছেন না। মালবাজারের মহকুমাশাসক দেবযানী ভট্টাচার্য বলেন, “চা বাগানগুলি নদী বা ঝোরা আটকে সেচের কাজ করছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে জেলাশাসক স্তরে আলোচনা চলছে।”

ডিপো তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলন
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চাঁচল ডিপো তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে নাগরিক মঞ্চের আন্দোলন চলছে। শুক্রবার চাঁচলে এসে মঞ্চের দাবিতে সমর্থন জানান উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ডিপো রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে নামেন মঞ্চের সদস্যরা। সাংসদ বলেন, “চাঁচল ডিপো না তোলার জন্য পরিবহণ মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম। সংস্থার চেয়ারম্যানকেও বলেছিলাম। কাজ হয়নি। এতে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প পথ নেই।” এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ চাঁচল ডিপো তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরেই চাঁচলে আন্দোলন শুরু করে অরাজনৈতিক ওই মঞ্চ। আন্দোলনে জেরে গত ২৪ দিন ধরে ডিপো থেকে কোনও বাস বার হতে পারেনি। সংস্থার নির্দেশে ইতিমধ্যে অবশ্য ডিপোর সমস্ত কর্মী মালদহে কাজে যোগ দেন।

ট্রেনের চাকা থেকে ধোঁয়া
গুয়াহাটিগামী ব্যাঙ্গালোর এক্সপ্রেসের কামরার নীচ থেকে ধোঁয়া বের
হওয়ায় আতঙ্ক। মালদহে মনোজ মুখোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।
ট্রেনের গার্ডের তৎপরতায় অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেল গুয়াহাটিগামী বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস। শুক্রবার মালদহ স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনের যাত্রী, গার্ড ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত কামরার চাকার ব্রেক শুতে আগুন ধরে যায়। গোটা কামরা ধোঁয়ায় ভরে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ট্রেনের গার্ড পি কে সরকার জানান, ট্রেনের চাকার পাশ থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখে এমার্জেন্সি ব্রেক চেপে ট্রেন থামিয়ে দেন তিনি। পরে মালদহ স্টেশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মীরা ব্রেক শু বদলে দেন। ৪০ মিনিট পরে ট্রেনটি মালদহ স্টেশন ছেড়ে রওনা হয়। মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম রবীন্দর গুপ্তা বলেন, “খবর পাওয়ার পরেই রেলের ইঞ্জিনিয়াররা মালদহ টাউন স্টেশনে ছুটে গিয়েছিলেন। ব্রেক বাইন্ডিং খুলে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।” ওই কামরায় নিউ কোচবিহারের বাসিন্দা সঞ্জয় বর্মন বেঙ্গালুরু থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বলেন, “গৌড়বঙ্গ স্টেশনের পর থেকে আমাদের কামরা নিচে বিকট শব্দ হচ্ছিল। মালদহে ঢোকার মুখে কামরা ধোঁয়ায় ভরে যায়। আগুন লেগেছে ভেবে চিৎকার করতে থাকি। স্টেশনে ঢোকার আগেই ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হলে লাফ দিয়ে নীচে নেমে যাই।”

যাবজ্জীবন
খেতে ঢুকে গরু ধান খাওয়ায় প্রতিবেশীকে মারধর করে খুন করার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাব্বজীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার মাথাভাঙা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সমীরণ দত্ত ওই রায় দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্তের নাম মফিজুল মিয়া। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে শীতলখুচি থানার চ্যাঙেরকুঠি এলাকার বাসিন্দা বয়জার মিয়াঁর ধান খেতে তারই এক প্রতিবেশী লুফর মিয়াঁর গরু ঢুকে পড়ে। তা নিয়ে দুই প্রতিবেশীর গোলমাল হয়। ওই ঘটনার জেরে পরেরদিন ফের ওই দুপক্ষের মধ্যে গোলমাল হয়। সরকারি আইনজীবী অশোক পাটোয়ারি বলেন, মফিজুলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।

ছাত্রী-খুনে তদন্ত
চাকুলিয়ার হাসান এলাকার ভুট্টা খেত থেকে উদ্ধার ছাত্রীটিকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পুলিশ ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। বুধবার থেকে নিখোঁজ দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী প্রিয়া বিশ্বাসের দেহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামের ভুট্টা খেত থেকে উদ্ধার হয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে। এই ব্যাপারে ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে চাকুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইসলামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নীলকান্ত সূধীর কুমার বলেন, “একটি অভিযোগ চাকুলিয়া থানায় জমা পড়েছে। ওই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

পরীক্ষায় সদ্য-মা
সদ্যোজাতের জন্মের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসলেন এক পরীক্ষার্থিনী। ওই পরীক্ষার্থিনীর নাম সাজিদা খাতুন। কোচবিহার-১ ব্লকের ধলুয়াবাড়ি হাই স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে শুক্রবার সংস্কৃত পরীক্ষায় বসেন তিনি। স্কুল ও জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার সদরের মোয়ামারি তত্ত্বনাথ হাই স্কুলের ছাত্রী সাজিদা নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে এবার উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছেন। সন্তান সম্ভবা হয়েও আগের পরীক্ষাগুলি নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে থেকেই দিয়েছেন। এদিন পশ্চিম ঘুঘুমারি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে সাজিদার স্বাভাবিক প্রসব হয়। একটি ফুটফুটে ছেলের জন্ম দেন তিনি। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সরাসরি ধলুয়াবাড়ির পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হন। স্কুল কর্তৃপক্ষ পৃথক ঘরে তাঁর পরীক্ষার বন্দোবস্ত করে। এক বছর আগে রাজমিস্ত্রি মজিদুল হকের সঙ্গে সাজিদার বিয়ে হয়।

মদ আটক
জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ দেশি মদ আটক করল আবগারি দফতর। বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামপুর থানার ছৌচিয়া এলাকায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.