টুকরো খবর
তৃণমূলের আন্দোলন
পাঁচকেলগুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নিত করার দাবিতে আন্দোলনে নামল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। সংগঠনের অভিযোগ, বেহাল পরিকাঠামোর জন্য আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের বাসিন্দারা ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ঠিক মতো পরিষেবা পাচ্ছে না। তাঁরা মনে করেন, গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নিত করা হলে পরিকাঠামোগত সমস্যা অনেকটাই মিটবে। উন্নত পরিষেবা মিলবে। জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার অবশ্য ওই দাবি নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “পাঁচকেলগুড়ি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্তমানে ৩ জন চিকিৎসক আছেন। সেখানে অতিরিক্ত চিকিৎসকের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে। শয্যা সংখ্যাও ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করার পরিকল্পনা আছে। এটা হলে আশা করছি সমস্যা অনেকটাই মিটবে।” যুব তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, আলিপুরদুয়ার-১ ব্লক ছাড়াও কোচবিহারের প্রচুর মানুষ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভর করেন। কিন্তু পরিকাঠামোর সমস্যার জন্য তাঁদের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, শুধুমাত্র শয্যা বাড়িয়ে কী হবে! পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মালপত্র রাখার স্টোর রুম নেই। পুরুষ বিভাগের পাশে মাটিতে ডাই করে রাখা হয় শয্যার চাদর। ধুলো ও ঝুলের মধ্যে পড়ে থাকে স্যালাইনের বোতল। ঘুরে বেড়ায় ইঁদুর। রোগীদের মশারি রাখার আলমারির একটি পাল্লা নেই। সেখানেও ইঁদুরের অবাধ যাতায়াত। দুটি ‘স্টেরিলাইজেশন মেশিনের’ একটি খারাপ। নেই স্টেচার। পৃথক ড্রেসিং রুম। অন্তর্বিভাগের পাশে চলছে রোগীর ড্রেসিংয়ের কাজ। স্বাস্থ্য কর্মীদের আবাসনের বেহাল দশা। যুব তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার-১ ব্লক সভাপতি দুলাল বর্মন বলেন, “উন্নত পরিষেবার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নিত করার দাবি জানানো হয়েছে। শয্যা সংখ্যা বাড়ানো, এক্সরে মেশিন, আল্ট্রা সোনোগ্রাফি মেশিনের ব্যবস্থা করার জন্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে স্মারকলিপিও পাঠানো হয়েছে।” পাঁচকেলগুড়ি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা মনে করেন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, একটি অ্যাম্বুলেন্স, এক্সরে মেশিন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের ব্যবস্থা হলে এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার সমস্যা মেটানো সম্ভব হবে। ভারপ্রাপ্ত আলিপুরদুয়ার-১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পরিতোষচন্দ্র সরকার বলেন, “স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামোগত সমস্যা আছে। সেটা ঠিক করার চেষ্টা চলছে।”

গ্রামে ডায়েরিয়া
দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের কালমান্দ্রা গ্রামে ডায়েরিয়া দেখা দিয়েছে। গত দু’দিনে এলাকার অন্তত ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এদের মধ্যে ৬ জনকে বৃহস্পতিবার তপন ও গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জল দূষণ থেকেই রোগ ছড়িয়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার জেলা সভাধিপতি মাগদালিনা মুর্মু বলেন, “ব্লক মেডিক্যাল অফিসারের নেতৃত্বে চিকিৎসক দল গিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসা করেন। এলাকায় গভীর নলকূপ বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” তৃণমূল ব্লক সভাপতি ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, গরম পড়তেই জলস্তর নেমে নলকূপের জল শুকিয়ে গিয়েছে। পুকুরের জল ব্যবহার করে ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বাসিন্দারা।

বিনামূল্যে চশমা বিতরণ গোঘাটে
কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগে দুঃস্থদের চশমা বিতরণ করা হল শুক্রবার। মঠ চত্বরে রামকৃষ্ণ মিশন দাতব্য চিকিৎসালয় এবং চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ দিন মোট ১৭৫ জনকে চশমা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কামারপুকুর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিশ্বনাথানন্দ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শুভঙ্কর সরকার। দাতব্য চিকিৎসালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী স্বামী ভক্তিপ্রিয়ানন্দ জানান, ১৯৮২ সাল থেকে এ পর্যন্ত যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির হয়েছে, তাতে মোট ৮৫৫৫ জনের চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষকে চশমা বিতরণ করা হয়েছে।

চিকিৎসকদের দাবি, বিক্ষোভ
একগুচ্ছ দাবিতে হাসপাতাল সুপারের কাছে বিক্ষোভ দেখালেন প্রগ্রেসিভ সার্ভিস ডক্টরস্ অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসকেরা। সংগঠনের অভিযোগ, এসএনসিইউয়ের উদ্বোধন হলেও তা চালু করা হয়নি। অবিলম্বে তা চালু করে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে। জেলা পর্যায়ে উন্নীত করার কথা ঘোষণা হলেও চিকিৎসক অপ্রতুল। কমপক্ষে ২৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ করতে হবে হাসপাতালে। সংগঠনের অভিযোগ, ট্রমা সেন্টারের কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি। জুন মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও দুঃস্থদের রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বিনা খরচে সব ওষুধ দেওয়া এবং হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার রাখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতাল সুপার নিখিলচন্দ্র দাসের আশ্বাস, “এসএনসিইউ আগামী সপ্তাহেই শুরু হয়ে যাবে। বাকি বিষয়গুলি দ্রুত মেটানো হবে।”

হাসপাতাল প্রাঙ্গণে শুকনো কাঠে আগুন
নেভানো হচ্ছে আগুন।— নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে চিকিৎসক ও কর্মী আবাসন লাগোয়া অঞ্চলে স্তূপীকৃত শালগাছের গুঁড়িতে আগুন লাগলে আতঙ্ক ছড়ায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছেন। স্থানীয় সূত্রের বক্তব্য, সময়মতো দমকল এসে না পৌঁছলে বড় অঘটনের আশঙ্কা ছিল। কারণ, যেখানে আগুন লেগেছিল, তার ৫০ মিটার দূরেই রয়েছে অপারেশন থিয়েটর। সেখানে সবসময় ১০-১৫টি অক্সিজেন-সিলিন্ডার মজুত থাকে। ঝাড়গ্রাম দমকল কেন্দ্রের ওসি শক্তিপদ খাঁড়া বলেন, “প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ, ঝরাপাতায় কোনও ভাবে লেগে যাওয়া আগুন থেকেই গুঁড়িগুলিতে আগুন লেগেছিল। ছড়িয়ে পড়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।” হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে মরা শালগাছগুলি প্রশাসনিক নিয়ম মেনে কেটে ফেলা হয়। হাসপাতাল প্রাঙ্গণের একাংশে রাখা হয় গুঁড়িগুলি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উপযুক্ত দর না মেলায় গুঁড়িগুলি বিক্রি করা যায়নি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “ওই গাছের গুঁড়িগুলি নিলামে বিক্রির জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”

অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ
ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে প্রসূতির পরিজনেরা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন জলি মণ্ডল (২৪)। এর পর তাঁর শরীরিক অবস্থার উন্নতিই হচ্ছিল। গভীর রাতে আচমকাই তাঁর মৃত্যু হয়। জলিদেবীর স্বামী তনয় মণ্ডলের অভিযোগ, “চিকিৎসার গাফিলতিতে এই মৃত্যু।” শুক্রবার সকালে উত্তেজনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে পুলিশ। পরে দশটা নাগাদ মৃতার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল সুপারের দফতরে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন, কী ভাবে এই মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হবে। ক্রমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই নিয়ে চলতি মাসে ৪ জন প্রসূতির মৃত্যু হল মেদিনীপুর মেডিক্যালে। কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন, প্রসূতি-মৃত্যুর হার কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

ডাক্তারি স্নাতকোত্তরে অনলাইন কাউন্সেলিং
ডাক্তারির স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য প্রতিবন্ধী, তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি-সহ সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা অনলাইনেই কাউন্সেলিংয়ের সুবিধা পাবেন এ বার। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের প্রস্তাবে আজ সম্মতি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। চলতি বছরের ১ মে থেকেই এই ব্যবস্থা চালু করার পক্ষেও সম্মতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আপাতত জম্মু-কাশ্মীর এবং অন্ধ্র ছাড়া অন্য সব রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এই পরিষেবা চালু হবে। তবে স্নাতক স্তরে এই একই ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব এ দিন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

মেয়ে বাঁচাতে পদযাত্রা
কন্যাসন্তান রক্ষায় কেশপুরে মিছিল
কন্যা সন্তানকে রক্ষা করুন। এই আর্জি সামনে রেখে শুক্রবার সকালে কেশপুরে এক পদযাত্রা হল স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে। মিছিলে হাঁটেন কেশপুরের বিডিও ইন্দ্রজিৎ সরকার, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দেব মণ্ডল প্রমুখ। এ দিন যাঁরা মিছিলে হাঁটেন তাঁদের গলায় ঝোলানো পোস্টারে লেখা ছিল, ‘ছেলে মেয়ে সমান’, ‘গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত দণ্ডনীয়’ ইত্যাদি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.