প্রতি পক্ষ
...পা পিচলে আলুর দম
গুপুস করে তোপ পড়ে গ্যালো। অনেকে চমকে উটল, ভাবল, এও আবার হয় নাকি! চাট্টি কাগ কা কা কর্ত্তে কর্ত্তে উড়ে পালালো। এক্সপার্টেরা কেউ খুশি, কেউ আবার চোকের কোলে সামান্য জল টেনে বল্লেন, কহই টুনোয়া, সহর সিখাওয়ে কোতোয়ালি!
অনেকে বেদম কৌতূহলী হয়ে রুমালটি চিবিয়ে ফেল্লে, জিজ্ঞেস কর্ল্লেন, মানে কী মোশায়? মোশায় ততক্ষণে কাঁদ কাঁদ, কোনওক্রমে সামলে নিয়ে বল্লেন, টুনোয়ার টপ্পা! শুনলেন না, কহই টুনোয়া...
আহা, সে তো বুজলাম, অ্যাকন সেই কতার মানেটা কী হয়?
ওই যা বল্লুম, সহর সিখাওয়ে কোতোয়ালি!
সে তো বল্লেন, তার মানেটা জানার জন্যে প্রাণ তো সড় সড় কর্চ্চে! দয়া করে বল্লে, মৎলবটি জান্তে পারি।
মৎলব আর কী? কোতোয়ালির মানে জানেন? পা পিচলে আলুর দম!
তৎক্ষণাৎ একপাল আন্ডাবাচ্চা চেঁচিয়ে উটল, রেল কাম ঝমাঝম...
এক্সপার্ট মোশায় ততক্ষণে একটু সামলেচেন, চীৎকার শুনে অল্প হেসে বল্লেন, শিশু নারায়ণ, ঠিক বুজে ফেলেচে!
পায়ে পড়ি মোশায়, আর হেঁয়ালি কর্ব্বেন না!
হেঁয়ালি নয়, আসলে রেলগাড়ি জিনিসটি বড় আমুদে। এই লাইন সেই লাইন খ্যালা করে বেড়াচ্চে, এর গায়ে ও, ওর গায়ে এ ঢলে পড়চে। কিন্তু রেলের লাইনে যদি পা পিচলায়, সর্ব্বনাশের মাতায় বাড়ি। ঠিক কি না?
তখনই আশপাশ থেকে চার-পাঁচজন ধুয়ো তুল্লে, ঠিক ঠিক!
রেল যকন ঝমাঝম করে আসে, তকন খেয়াল রাকতে হবে, পা-টি যেন পিচলে না যায়! ঠিক কি না?
এ বারেও কিচু লোক ‘ঠিক ঠিক’ বল্লেন। তারই মদ্যে অ্যাকজন শুধোল, কিন্তু, পা কী করে পিচলায়, তা জানা দরকার!
অলঙ্করণ: দেবাশীষ দেব
এক্সপার্ট মোশায় তাকালেন! এই অ্যাক নতুন! মৌলিক প্রশ্ন করেচে, জবাব দেওয়া প্রয়োজন। তিনি বল্লেন, অনেকেরি অ্যাক প্রশ্ন, পা কী করে পিচলায়? দু’ভাবে। অ্যাক, আপনি বুজতে পার্ল্লেন না, পিচলে গেল। দুই, আপনি বুজতে পার্ল্লেন, পিচলে গেল! মানে, পিচলাচ্চে দেকেও আপনি কিচুই কর্ল্লেন না!
মানে?
এপিটাপ মানে বোজেন? নিজের কবরস্তানে পাতরের গায়ে কী লেকা হবে, তা যদি কেউ নিজেই লিকে দিয়ে যায়, তাকে বলে এপিটাপ! তেমন লোকও কিচু কিচু আচে। নিজের এপিটাপ নিজেই লেকাপড়া করে দিয়ে যায়। বিলক্ষণ জানে যে, এটা কর্ল্লে পা পিচলাবে, ঝমাঝম তেড়ে আসবে রেল, তবুও সেই কাজটাই মন দিয়ে করে।
কেন করে? ব্যোম ভোলা নাকি?
‘ব্যোম ভোলা’ শুনবামাত্র ‘বলো ভদ্দেশ্বরে শিবো মহাদেব’ বলে একটা ধ্বনি উটলো। মোশায় মাতায় আঙুল ছুঁইয়ে বল্লেন, সাহস দেকানোর ঠ্যালা কম? দেকলেন না, তার্প্পর কী ঘটলো?
কী ঘটলো?
ক্রমে দিন ঘুনিয়ে এলো। চতুর্দ্দিকে সাঙ্গপাঙ্গরা দশলকি কাঁটা ও বঁটি প্রস্তুত কচ্চে, এ দিক ও দিক যদি কিচু করে বসেন বা বলে বসেন, সোজা ফুঁড়ে দেবেন! তার্প্পর হাসি মুকে বলবেন, আহা, এ তো বলিদান! সেটা সত্য, তবে শেষ সত্য নয়। কারণ, ‘বলি’ বল্লে একটা নোন্তা নোন্তা ব্যাপার ঠেকে। আত্মবলি বল্লে বেশ মিঠে শোনায়, ক্রিয়েকর্ম্মটা অতটা তিতকুটে ঠেকে না। যাক গে, এ দিকে যাকে ফুঁড়বেন, তিনি সব জানেন। সকলেই জানে, সবার উপরে এক-ই সত্য, তাহার উপরে নাই! তবুও তিনি ঠিক কর্ল্লেন, উল্টো সুর গাইবেন!
সর্বনাশ! তারপর?
ওই যে, গুপুস করে তোপ পড়ে গ্যালো। তোপের ধাক্কায় সব চৌপাট! কাজ বন্দ! এ দিক ও দিক খালি কানাকানি, এই পারে ওই পারে, খালি মোবাইলে গুজুর গুজুর চলচে... চাদ্দিকে কী হয় কী হয় ভাব!
শেষে পা পিচলাল?
না পিচলে যাবে কোতায়? তবে তিনি বেস খোস মেজাজে অপেক্ষা কর্ল্লেন! কে বলতে পারে, হয়তো মোবাইলে গানও শুনলেন, কে জানে ক’ঘণ্টা, আচে রে জীবনটা? তার্প্পর, বহুৎ কতাবার্ত্তা হল। কেউ হাসির হররা তুল্লে! বল্লে, পিপীলিকার পাখা উটে...হেঁ হেঁ...কেউ মিডিয়াতে ইংরেজি বুকনির ফররা তুল্ল। যে যে ভাবে পারে, কোনও না কোনও বড় মাতার পেচোনে রপ্টে রপ্টে ব্যাড়াচ্চে! কে জানে, বড় কালব্যালা পড়েচে! যদি কোপ আসে! যদি কারো মনে হয়, ওই রে, একলা হাঁটচে!
বড় সাহস দ্যাকাচ্চে! হরিদাস পাল, তাই না! দাঁড়াও!
জল খাবার জন্য এক্সপার্ট মোশায় থামলেন। মেকাবি ক্লকে টাং টাং করে ঘণ্টা বাজল! মোশায় চোক বুজলেন, বল্লেন, কালের যাত্রার ধ্বনি, সুনলেন?
অ্যাকজন বল্ল, বড্ড শক্ত শক্ত কতা বলচেন আজকাল, মাতার ওপর দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্চে!
মোশায় হাস্য কর্ল্লেন, বল্লেন, বুজ মন যে জান সন্ধান!
সে তো হল, কিন্তু যে জানে না?
তার আর কী? বেশি না জানলেই ভাল! না হয় তোমার যা হয়েচে তা-ই হল, আরো কিচু না-ই হল না-ই হল না-ই হল...
এটা য্যানো একটা কোটেসনের মতো শোনাল আজ্ঞে!
রবি ঠাকুর! ছোটব্যালার অব্যেস, বাবাকেও দেকেচি, কতার মাজখানে মাজখানে কোটেসন দিচ্চেন! শেষটায় দুঃখ করে বলতেন, আত্মঘাতী জনতা, আজকাল আর কোটেসন দেয় না! তবে, কোটেসন যাক, কোমোরে অ্যাকনও আত্মঘাতের জোরটুকু আচে, এটাই আশার কতা!
কেন মোশায়? আত্মঘাতে জোর কোতায়?
শুদু আত্মঘাতই দেকলেন, তার পেচোনে সাহসটা দেকলেন না? কাম হোয়াট মে, আমি নিজের কতা ছেড়ে নড়ব না! যে ফিচ্চে ফিরুক, আমি না।
যদি রেল কাম ঝমাঝম হয়?
বাচ্চারা আবার চেঁচিয়ে উটল, পা পিচলে আলুর দম!
এক্সপার্ট মোশায় বল্লেন, যাই, হাপ আখড়ায়ের সময় হয়ে গ্যালো...চাট্টি বাইট দিতে হবে যে!
অ্যাকজন বল্ল, একনই যাবেন? রাত কত হল?
উত্তর মিল্ল না।
এক্সপার্ট তড়িঘড়ি বিলিতি গাড়ি চোড়ে পিটটান দিলেন!




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.