বেশি বরাদ্দ নিয়ে তদন্ত
এনবিএসটিসিতে পেনশন অর্ধেক করে দিল রাজ্য
ন্য দুই সরকারি পরিবহণ নিগমের থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম বা এনবিএসটিসি-র কর্মী-সংখ্যা কম। তবু কেন ওই সংস্থায় পেনশন দিতে বেশি টাকা লাগছে, সেই ব্যাপারে তদন্ত করবে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। আর তদন্ত চলাকালীন ওই নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা অর্ধেক পেনশন পাবেন। এনবিএসটিসি-র অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় চার মাস ধরে পেনশন বন্ধ রয়েছে। আপাতত অর্ধেক হারে ওই পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এর আগে অন্যান্য পরিবহণ নিগমের সঙ্গে এনবিএসটিসি-তেও বেতন আটকে দেওয়া হয়েছিল। এ বার ওই সংস্থার প্রাক্তন কর্মীরা পেনশনও পাবেন অর্ধেক। কেন?
পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র মঙ্গলবার মহাকরণে বলেন, “ওই নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশনের জন্য এত টাকা কেন লাগছে, বুঝতে পারছি না। এই খাতে ওই নিগমে এত টাকা লাগছে কেন, তা যাচাই করে চেয়ারম্যানকে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই অবস্থায় পেনশনের অর্ধেক টাকা মঞ্জুর করা হল।”
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সরকার কি এ ভাবে কোনও নিগমে পেনশন খাতে বরাদ্দ অর্ধেক করে দিতে পারে?
পরিবহণমন্ত্রীর জবাব, “ওই নিগমের চেয়ে অন্য দু’টি পরিবহণ সংস্থায় কর্মী বেশি। অথচ পেনশন খাতে তাদের বরাদ্দ কম। এই হিসেবটা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। তাই ধন্দ না-কাটা পর্যন্ত আমাকে কিছু ব্যবস্থা তো নিতেই হবে। টাকা তো আর জলে ফেলে দিতে পারি না!”
এনবিএসটিসি-র কর্মী-সংখ্যা ৩৫৮২। আর ওই নিগমের জন্য পেনশন খাতে সরকারকে বরাদ্দ করতে হয় মাসে দু’কোটি টাকা। এই হিসেব দিয়ে পরিবহণমন্ত্রী এ দিন জানান, রাজ্যের অন্য দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ নিগম সিএসটিসি এবং সিটিসি, প্রতিটির কর্মী-সংখ্যা ৫৯৪৭। অথচ ওই দুই সংস্থায় পেনশন বাবদ মাসে বরাদ্দ করতে হয় ৮৫ লক্ষ টাকা করে।
তা হলে এনবিএসটিসি-তে কর্মী অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও পেনশন খাতে বরাদ্দ ওই দুই সংস্থার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি কেন?
“হিসেবের এই ধাঁধাটা কাটছে না” বলে এ দিন মন্তব্য করেন পরিবহণমন্ত্রী।
এনবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “পরিবহণমন্ত্রী এ ব্যাপারে তাঁর দফতরের বক্তব্য আমাদের জানিয়েছেন। পেনশন বাবদ কেন এত টাকা লাগছে, তা ওঁকে জানিয়েছি। পরিস্থিতি যাচাই করে রিপোর্ট দেব।”
পেনশন অর্ধেক আটকালেও এনবিএসটিসি-র বেতন অবশ্য বন্ধ করছে না রাজ্য সরকার।
মদনবাবু বলেন, “জানুয়ারি পর্যন্ত পেনশন এবং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতন আমরা বরাদ্দ করেছি। অর্থ দফতরের সম্মতি পেলে কর্মীরা শীঘ্রই তা পেয়ে যাবেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.