টুকরো খবর
অঘটনের হারে লিগ থেকে ছুটি মোহনবাগানের
স্থানীয় ক্রিকেটে একই দিনে জোড়া ধাক্কা খেল মোহনবাগান। এক দিকে, লিগ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জর্জ টেলিগ্রাফের কাছে অপ্রত্যাশিত হারে লিগ থেকে ছুটি হয়ে গেল। একই সঙ্গে আবার আগামী বছরের এএনঘোষ ট্রফি খেলার যোগ্যতাও হারাল মোহনবাগান। লিগের প্রথম আট দল এএনঘোষ ট্রফি খেলার সুযোগ পেয়ে থাকে। জর্জের কাছে অঘটনের হারে সেই সুযোগও হাতছাড়া হল মোহনবাগানের। লক্ষ্মীরতন শুক্ল, সামি আহমেদ এবং অনুষ্টুপ মজুমদারকে এই ম্যাচে নামায়নি মোহনবাগান। দেওধর ফেরত ঋদ্ধিমান সাহা থাকলেও তাঁর পক্ষে দলের হার আটকানো সম্ভব হয়নি। জর্জের তোলা ৩৬৭ রান তাড়া করতে গিয়ে এ দিন মোহনবাগান শেষ হল ৩১৭ রানে। শুভময় দাস (৯৪), অরিন্দম ঘোষ (৫২), শিবসাগর সিংহ (৪৮) এবং ঋদ্ধিমান (৪২) রান পেলেও তাতে লাভ হয়নি। উল্টে পরপর দু’বার লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে হল মোহনবাগানকে। ৭৩ রানে ৪ উইকেট জর্জের অঙ্কিত কুশওয়ার। তবে লক্ষ্মী-সামিদের অনুপস্থিতিকে লিগ থেকে বিদায়ের কারণ হিসাবে তুলে আনছে না মোহন-শিবির। বরং বলা হচ্ছে নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা। মোহনবাগানের কোচ পলাশ নন্দী বলছিলেন, “লক্ষ্মীদের না থাকাকে শুধু শুধু টানব কেন? যারা খেলেছে, তাদের বেশির ভাগই বাংলার ক্রিকেটার।” সঙ্গে যোগ করছেন, “ফুটবলেও এ রকম ঘটে মাঝে মাঝে। কেউ ভেবেছিল এরিয়ান চার গোল দেবে ইস্টবেঙ্গলকে?” এ দিকে, সিএবি নকআউট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠল কালীঘাট (২৯৫-৭)। তারা ৩১ রানে হারাল টাউনকে (২৬৪-৯)। সেঞ্চুরি করেন কালীঘাটের শ্রীবৎস গোস্বামী (১০৭)।

আটকে গেল গেইল বনাম বোর্ড রফা
ক্রিস গেইল বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড দ্বন্দ্ব মিটমাটের দিকে এগিয়েও শেষ পর্যন্ত আটকে গেল। মঙ্গলবার সকালে গেইল এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের একটি বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, গেইল হয় বোর্ডের কাছে ক্ষমা চাইবেন, নইলে গত বছর এক রেডিও ইন্টারভিউতে বোর্ড কর্তাদের তুলোধোনা করে যা যা বলেছিলেন, সব ফিরিয়ে নেবেন। সেই মতো একটি চুক্তিপত্রও তৈরি হয় যেখানে দু’পক্ষই আগেকার বচসা ভুলে সমঝোতা করে নিতে রাজি হবে। কিন্তু একটি সূত্রের খবর, গেইল সেই চুক্তি সই করেননি। চুক্তি সই করলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে জাতীয় দলে খেলতে পারতেন গেইল। কিন্তু সিরিজ শেষ হবে ২৭ এপ্রিল। তার পরে ৫ মে থেকে ২৪ জুন ইংল্যান্ড সফর। তার মধ্যেই শুরু হয়ে যাচ্ছে আইপিএল ফাইভ। তার পরে ইংল্যান্ডের কাউন্টি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও সমারসেটের হয়ে খেলবেন গেইল। সূত্রটির খবর, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং সমারসেটের হয়ে খেলতেই বেশি আগ্রহী গেইল। তাই তিনি বোর্ডের সঙ্গে মিটমাট করে চুক্তি সই করেননি।

ইতিহাস থেকে এক গোল দূরে মেসি
আর মাত্র একটা গোল। তার পরেই ইতিহাস ছুঁয়ে ফেলবেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোল করার ইতিহাস। এখন পর্যন্ত অনন্য এই রেকর্ডের মালিক সেজার রদরিগেজ। যিনি ১৯৪০ এবং ১৯৫০-এর দশকে কাতালান ক্লাবে খেলতেন। মনে করা হত, বার্সেলোনার জার্সি পরে ২৩৫টা গোল করেছেন রডরিগেজ। কিন্তু নতুন করে পরিসংখ্যান ঘেঁটে এ দিন জানা গিয়েছে, তাঁর গোল সংখ্যা ২৩৫ নয়, ২৩২। মেসির নামের পাশে রয়েছে ২৩১ গোল। মঙ্গলবার কাম্প ন্যু-তে গ্রানাডার বিরুদ্ধে ম্যাচেই রদরিগেজের রেকর্ড ছোঁয়ার এবং নতুন কীর্তি স্থাপন করার সুযোগ থাকছে মেসির সামনে। তবে সেই কীর্তি ছোঁয়ার আগেই গত বছরের আয়ের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবলার হয়ে গেলেন মেসি। তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন দীর্ঘদিন এক নম্বরে থাকা ডেভিড বেকহ্যামকে। তিন নম্বরে আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। টাকার অঙ্কে মেসির গত বছরের আয় ২২০ কোটিরও বেশি।

সচিনের শততম আরও তাতিয়েছিল, বললেন সাইনা
সচিন তেন্ডুলকরের শততম সেঞ্চুরি তাঁকে এতটাই তাতিয়েছিল যে, সুইস ওপেনটাই জিতে ফেললেন। সাইনা নেহওয়াল জানাচ্ছেন, সচিনের মহাকীর্তি তাঁর স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে ছিল বাড়তি মোটিভেশন। বলছেন, “যে দিন সচিন সেঞ্চুরিটা করল, সে দিন আমার সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল। সে দিন প্রেরণা পেয়েছিলাম সচিনের কীর্তি থেকে। নিজেকে বলছিলাম, আমাকেও ভাল করতে হবে। খেতাব জিততে আমিও পারি। আর সেটা হয়েও গেল। সচিনকে এর জন্য ধন্যবাদ।” সঙ্গে আরও যোগ করেছেন, “একটা ঐতিহাসিক কীর্তি গড়ে ফেলল সচিন। আমার মনে হয় না ওর পাওয়ার আর কিছু আছে। সচিনকে আমি ততটাই সম্মান দিই যতটা আমি ঈশ্বরকে দিই। শুধু আমি নই, ভারতের সমস্ত ক্রীড়াবিদই ওর থেকে অনুপ্রেরণা পায়।”

রাজ্য সাঁতার সংস্থায় তালা
বেলেঘাটা সুভাষ সরোবরে রাজ্য সাঁতার সংস্থার অফিস ঘরে তালা পড়ে গেল। বাসা-র এত বছরের ইতিহাসে প্রথম। রাজ্য ক্রীড়া দফতরের তরফেই তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় অফিসে। সামনে বসিয়ে দেওয়া হয় পুলিশ। যাতে কেউ তালা ভেঙে ঢুকতে না পারে। বাসা-র বড় কর্তারা ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে দেখার চেষ্টা করেন। লাভ হয়নি। সম্প্রতি ক্রীড়া পর্ষদের সভায় বাসা-র কাজকর্ম নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান কমিটির সদস্যরা। সেই প্রেক্ষাপটেই এই সিদ্ধান্ত। অনেক দিনই সাঁতার সংস্থায় ডামাডোল চলছে।

বিশ্ব টিটি-তে বাংলার ৬
জার্মানিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ টেবল টেনিসে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বাংলার ছয় তারকা। মেয়েদের দলে রয়েছেন পৌলমী ঘটক, মৌমা দাস, অঙ্কিতা দাস, মৌসুমী পাল। ছেলেদের দলে সৌম্যদীপ রায়, সৌম্যজিৎ ঘোষ। র্যাঙ্কিংয়ে ভাল জায়গায় থাকা সত্ত্বেও বাদ পড়লেন শুভজিৎ সাহা।

শুরু হল রাজ্য দাবা
পশ্চিমবঙ্গ দাবা অ্যাড-হক কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার শুরু হল রাজ্য বয়সভিত্তিক দাবা প্রতিযোগিতা। চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। চারটে বিভাগে ৫০০ জন দাবাড়ু অংশ নিচ্ছে। মেয়েদের সংখ্যা ১০৬। প্রতিটি বিভাগ থেকে দু’জন করে দাবাড়ু জাতীয় স্তরে খেলবে। কাঁকুড়গাছিতে এ দিন খুদে দাবাড়ুদের উৎসাহ দিতে এসেছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া।

সিউড়িতে ব্যাডমিন্টন
জেলা ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায় ১৪ মার্চ থেকে তিন দিন ব্যাপী সিউড়িতে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হল পুরুষ ও মহিলাদের ‘অল বেঙ্গল সিনিয়র র্যাঙ্কিং ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ানশিপ’। যোগদান করেছিলেন ৫৫ জন প্রতিযোগী। মহিলাদের সিঙ্গল বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন কলকাতার রূপসা ঘোষ। রানার্স হন কলকাতারই অমৃতা মুখোপাধ্যায়। পুরুষদের সিঙ্গল বিভাগে চ্যাম্পিয়ান ও রানার্স হন যথাক্রমে কলকাতার অরূপ বৈদ্য এবং সৌরভ চট্টোপাধ্যায়। পুরুষদের ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হন অরূপ বৈদ্য ও সৌরভ চট্টোপাধ্যায় জুটি। কলকাতার আশুতোষ তিওয়ারি ও পল্লব বসু জুটি রানার্স হন। খেলায় হাজির ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা প্রমুখ।

আন্তঃজেলা ক্রিকেট
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল আয়োজিত এস বি হাজরা আন্তঃজেলা ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় জেলার প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে রামপুরহাটের এ টু জেড ক্লাব। ২৩ মার্চ থেকে তিন দিন ব্যাপী বহরমপুর স্টেডিয়ামে ওই প্রতিযোগিতা হবে। ইস্ট জোনের বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ-সহ বীরভূমের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব হিসেবে এ টু জেড ওই প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে।

বুধবার
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ- মোহনবাগান : এরিয়ান (যুবভারতী, ৩-০০)




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.