হাসপাতাল রোড যানজট মুক্ত করতে অভিযান আরামবাগে
রামবাগ শহরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হাসপাতাল রোড যানজট মুক্ত করল পুলিশ। পরিস্থিতি সাময়িক হলেও আপাতত স্বস্তিতে শহরবাসী।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ আরামবাগ থানার পুলিশ অভিযানে নামে। স্থানীয় হকার ও বেআইনি ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা মোটর বাইক, গাড়ি নিয়ে চালকেরা পালানোর চেষ্টা করে। তাতে উল্টে যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে আরও পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যানজট সৃষ্টির অভিযোগে ৮ হকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বেশ কিছু বাইক, গাড়ি আটক করে ক্রেনের সাহায্যে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাস্তায় চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টির অভিযোগে কয়েক জনকে পুলিশের চড়-থাপ্পড়, লাঠির ঘা খেতে হয়েছে। হাসপাতাল রোড-সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি যানজট মুক্ত রাখতে অভিযান লাগাতার চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ছবি: মোহন দাস।
আরামবাগে হাসপাতাল রোডে যানজট দীর্ঘ দিনের সমস্যা। সাধারণ মানুষ তো সমস্যায় পড়েনই, উপরন্তু মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা আসেন, তাঁদেরও ভোগান্তির একশেষ হয়। শহরের মূল রাস্তা লিঙ্ক রোড থেকে রাস্তাটি বেরিয়ে এসে মহকুমা হাসপাতালের ফটক ছুঁয়ে বিডিও অফিসের সামনে দিয়ে তিরোল গ্রামের দিকে গিয়েছে। বর্ধমানের মাধবডিহি থেকে আরামবাগ আসার ‘শর্টকাট’ রাস্তাও এটি। স্বভাবতই বাস-লরি সহ বিভিন্ন গাড়ি যাতায়াত করে এই রাস্তা ধরে। এ দিকে, লিঙ্ক রোডের যেখান থেকে রাস্তাটি বেরিয়েছে, সেই হাসপাতাল মোড় থেকে হাসপাতাল চত্বরের মূল ফটক পর্যন্ত প্রায় আধ কিলোমিটার জুড়ে রাস্তার দু’দিকে প্রচুর দোকানপাট আছে। ফুটপাথ বলে কিছু নেই। তার উপরে, রাস্তার দু’দিকে সারি সারি ফল বা অন্য সামগ্রীর দোকান বসে। হাসপাতালের সামনে বহু গাড়ি দাঁড়ায়। ছোটখাট মারপিট, দুর্ঘটনা নিত্য দিনের ব্যাপার।
পুরপ্রধান গোপাল কচ বলেন, “হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ করতে পারিনি।” গাড়ি রাখার সমস্যার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “স্থায়ী সমাধানের জন্য পুরসভার সঙ্গে কথা হয়েছে। পুরসভা বললে আমরা নিজেরা ব্যবস্থা নিতে পারি।” হকারদের পক্ষে শেখ বাবলু জানান, “বংশ পরম্পরায় আমরা ২৫-৩০ জন এখানে ব্যবসা করছি। এই রোজগারেই সংসার চলে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে সরিয়ে দিলে খাব কী?” হাসপাতালে রোগীদের যাতায়াতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে প্রায় ৭০টি গাড়ি। গাড়ির মালিকদের পক্ষে রতন ঘোষ বলেন, “বিকল্প ব্যবস্থা না করে আমাদের তাড়ালে বেকার হয়ে যাব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.