টুকরো খবর
বিহারিরা কাজ বন্ধ করলে অচল হবে দিল্লি: নীতীশ
বিহারের মানুষ কাজ না করলে দিল্লি স্তব্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিহার গঠনের শতবর্ষ উপলক্ষে রবিবার দিল্লিতে এক জনসভায় এ কথা বলেন নীতীশ। পরিশ্রমের জোরে বিহারের মানুষ দেশে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করে নীতীশ বলেন, “বিহারের মানুষ কোথাও ভিক্ষা করতে যান না। নিজেদের যোগ্যতায় জায়গা করে নেন। চাঁদে গিয়েও কাজ করতে পারেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও কখনও কখনও দিল্লিতে কাজ করতে এসে তাঁদের গঞ্জনা সহ্য করতে হয়।”এত দিন পর্যন্ত নীতীশ বরাবরই নিজেকে রাজ্য-রাজনীতিতেই আটকে রেখেছেন। রাজ্যের বাইরে কোনও জনসভায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির খারাপ ফলাফলের জেরে গুরুত্ব বাড়ছে আঞ্চলিক দলগুলির। এর পরিপ্রেক্ষিতে নীতীশের আজকের সভাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।

দ্বিতীয় বার শপথ আজম খানের
অখিলেশ যাদবের নতুন মন্ত্রিসভায় আজ দ্বিতীয় বার শপথ নিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা মহম্মদ আজম খান। প্রথম বার শপথ নিয়েছিলেন গত ১৫ মার্চ। অখিলেশ ছাড়াও মোট ১৯ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ২৮ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন সে দিন। পরে দেখা যায় পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও, মন্ত্রগুপ্তির শপথ নিতে ভুলে গিয়েছেন আজম। ওঠে সংবিধান অবমাননার অভিযোগ। দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলাও। শেষ বিতর্কের জট থেকে বেরিয়ে আসতেই আজ রাজভবনে গিয়ে ফের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে ‘ঠিকঠাক’ শপথ নিলেন আজম। আরও চার জন প্রতিমন্ত্রী আজ দ্বিতীয় বার শপথ নিয়েছেন রাজ্যপাল বি এল জোশীর কাছে। এ বার পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে। মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ ছাড়াও হাজির ছিলেন দলের সামনের সারির নেতারা।

সঙ্কট কাটল না উত্তরাখণ্ডে
উত্তরাখণ্ডে রাজনৈতিক সঙ্কট এখনও কাটাতে পারেনি কংগ্রেস। তবে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত আজ জানিয়েছেন, তিনি রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলতে চান না। বিধানসভা ভোটের পরে বিজয় বহুগুণাকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার পরেই কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন রাওয়াত। আজ উত্তরাখণ্ড নিয়ে চৌধুরি বীরেন্দ্র সিংহ, গুলাম নবি আজাদ ও আহমেদ পটেল-সহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সনিয়া গাঁধী। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাওয়াতের সঙ্গে সমঝোতার পথেই হাঁটতে চান শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রয়োজনে উত্তরাখণ্ড থেকে তাঁর স্ত্রীকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চান তাঁরা। তবে রাজ্যসভা আসনের জন্য তিনি দরকষাকষি করছেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রাওয়াত।

মাওবাদী শিবিরে যৌন হেনস্থা
আত্মসমর্পণকারী বেশ কিছু মহিলা মাওবাদী শিবিরগুলিতে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন বলে রাজ্যসভায় জানালেন স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। মহারাষ্ট্র, বিহার ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা জানিয়েছেন, দলের পুরুষ সদস্যদের হাতে প্রায়ই ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনার মুখোমুখি হতে হত তাঁদের। এমনকী, দলের কোনও মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাঁদের জোর করে গর্ভপাত করতেও বাধ্য করা হত বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র। তাঁর কথায়, “আত্মসমর্পণকারী মহিলারা জানিয়েছেন, বিয়ে করার অনুমতি পেলেও সন্তানের জন্ম দিতে দেওয়া হত না তাঁদের। কারণ, মাও নেতৃত্ব মনে করেন, এর ফলে মহিলাদের যুদ্ধ করার ক্ষমতা কমে যাবে।”

জাল নোট চক্রে নাগা জঙ্গিরাও
স্টেশন থেকে ধরা পড়া জাল নোট সরবরাহকারীর সূত্র ধরে সিবিআই জানতে পেরেছে, জাল নোট চক্র সক্রিয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত। আর তা ছড়ানোর মাধ্যম হিসাবে কাজ করছে নাগা জঙ্গিরাও। ১২ মার্চ, দিল্লি থেকে আসা সিবিআই অফিসারেরা গুয়াহাটি স্টেশনে হানা দিয়ে বক্তার আলি নামে মালদহের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে। সে ডিমাপুরের ট্রেনে উঠছিল। বক্তারের ব্যাগ থেকে ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার হয়। টানা জেরার পরে বক্তার স্বীকার করে, ডিমাপুরে এক নাগা জঙ্গির হাতে টাকাগুলি তুলে দিতে যাচ্ছিল সে। সিবিআই সূত্রে খবর, জাল হলেও নোটগুলির মান এত উন্নত যে, পরীক্ষার জন্য আসা ব্যাঙ্ক আধিকারিকরাও নোটগুলি দেখে অবাক হয়ে যান।

মির্চির বাংলো নিলাম
প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকায় নিলাম হল মাদক ব্যবসায়ী ইকবাল মির্চির ‘আংরেজাঁ কা বাংলা’। নাদিরা কলোনির ওই প্রাসাদোপম বাংলোটি কিনেছে মুম্বইয়ের শিওরউইন কোম্পানি। ফেরার দাউদ-ঘনিষ্ট ইকবাল বাংলাটি কিনেছিল স্ত্রীর নামে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০০৪-’০৫ নাগাদ শুল্ক দফতর তা বাজেয়াপ্ত করে। মুম্বই থেকে কর্তারা আজ ভোপালে এসে নিলাম সারলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে মোদীর কটাক্ষ
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদী। পুণেতে বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অস্কার পেয়েছেন বলে একটি এসএমএসে জানতে পেরেছিলেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় ‘অভিনয়ের’ জন্যই পুরস্কার পেয়েছেন মনমোহন সিংহ।

মেমোগেটে মালিক
মেমোগেট মামলায় সাক্ষ্য দিতে চেয়ে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানালেন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক। তাঁর সঙ্গে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন শীর্ষ অফিসারের যোগাযোগ ছিল, মেমো-কাণ্ডের প্রধান সাক্ষী মনসুর ইজাজের এই দাবি খণ্ডন করতে চান তিনি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.