|
|
|
|
|
নিশানা জেএনইউ |
স্নাতকোত্তরে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে
চাইলে আবেদন করুন এখনই। লিখছেন কৌলিক ঘোষ। |
সামনের এপ্রিল নাগাদ শেষ হয়ে যাবে স্নাতকের চূড়ান্ত বছরের পরীক্ষা। এর পর নিজের নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোর পথ বেছে নেওয়ার পালা। আর সে সব পথের মধ্যেই একটি, উচ্চশিক্ষার জন্য জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি দেওয়া।
এর অন্যতম কারণ অবশ্যই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএনইউ-র পরিকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষিকা, পড়াশোনার পরিবেশ ও মান। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, সেখানে স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে বাড়তি কয়েকটি সুবিধা আছে। আর সেটা হল, বেশ কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে জেএনইউ-তে স্নাতকোত্তর পড়তে চাইলে, সংশ্লিষ্ট বিষয়টি স্নাতকে পড়ে না-আসলেও চলে। এমনকী সাম্মানিক স্নাতক হওয়ারও আবশ্যিকতা নেই। ১০+২+৩ পাশ হলেই চলে। অথচ কলকাতা ও যাদবপুর-সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্নাতকোত্তর পড়তে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুধু স্নাতক হলেই চলে না, সাম্মানিক স্নাতক হতে হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশন বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দু’একটি বিষয়ে মাস্টার্স পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্য কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। তবে জেএনইউ-তে ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট নম্বর পাওয়া জরুরি এবং পেরোতে হয় প্রবেশিকা পরীক্ষার বেড়া। |
|
কলা হোক বা বিজ্ঞান, স্নাতক হওয়ার পর জেএনইউ-তে সুযোগ রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করার। এ বার দেখে নেওয়া যাক, পড়ুয়াদের মধ্যে চাহিদা খুব বেশি এমন কয়েকটি স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম এবং সেগুলিতে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা।
এম এ ইন পলিটিক্স (আন্তর্জাতিক সম্পর্কে স্পেশাইলাইজেশন-সহ): যে কোনও বিষয়ে স্নাতক অর্থাৎ ১০+২+৩ উত্তীর্ণ হলেই চলবে। তবে থাকতে হবে ৫০ শতাংশ নম্বর। মনে রাখতে হবে যে, এই বছর যাঁরা ১০+২+৩ স্তরের ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁরাও জেএনইউ-এ এম এ বা এম এসসি পাঠ্যক্রমে ভর্তির আবেদন অবশ্যই করতে পারেন।
শুধু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছ কি না তা দর্শাতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
এম এ ইন ইকনমিক্স (বিশ্ব অর্থনীতিতে স্পেশালাইজেশন-সহ): ১০+২+৩ স্তরে সাকুল্যে ৫০ শতাংশ নম্বর প্রয়োজন। অর্থনীতিতে সাম্মানিক স্নাতক হওয়া অবশ্য এ ক্ষেত্রে জরুরি। সঙ্গে চায় অঙ্ক একটি বিষয় হিসেবে থাকা। অন্য দিকে, অঙ্কে যাঁরা সাম্মানিক স্তরের ছাত্র, অথচ অর্থনীতি সঙ্গে ‘পাস’ বিষয় হিসেবে রয়েছে, তাঁরাও এই বিষয়টি পড়তে পারেন। রাশিবিজ্ঞানে অনার্স পড়ুয়ারাও এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন যদি অঙ্ক এবং অর্থনীতি পাস হিসেবে থাকে। এম এ ইন ইংরেজি অ্যান্ড লিঙ্গুস্টিকস করতে হলেও ৫০ শতাংশ নম্বর-সহ ১০+২+৩ স্নাতক হওয়া প্রয়োজন।
ইতিহাস, ভূগোল এবং সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি: ১০+২+৩ স্তরে যে কোনও বিষয়ের প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারেন। তবে সব মিলিয়ে ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। আর রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম এ করতে হলে যে কোনও বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর-সহ ১০+২+৩ উত্তীর্ণ হতে হবে।
অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি: যে কোনও বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর-সহ স্নাতক হলেই চলে। অবশ্য সঙ্গে দ্বাদশ স্তরে অঙ্ক বিষয়টি পড়ে আসা জরুরি। স্নাতক বা সাম্মানিক স্তরে অঙ্ক থাকলেও এই বিষয়টি পড়তে কোনও অসুবিধা নেই।
জীববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি: জীববিজ্ঞান বা ভৌতবিজ্ঞান অথবা কৃষিবিজ্ঞানে ৫৫ শতাংশ নম্বর-সহ স্নাতক হলে জেএনইউ-এর এই কোর্সে ভর্তির আবেদন করা যায়। পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি: ৫৫ শতাংশ নম্বর-সহ বেসিক সায়েন্স বা অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সে ডিগ্রিধারীরা ভর্তি হওয়ার যোগ্য।
এম এসসি ফিজিক্স: ১০+২+৩ স্তরে পদার্থবিজ্ঞান একটি বিষয় হিসেবে নিয়ে সব মিলিয়ে ৫৫ শতাংশ নম্বর-সহ উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন। রসায়ন ও অঙ্কে অনার্স থাকলেও অসুবিধা নেই, পদার্থবিজ্ঞান বিষয়টি থাকলেই হল।
এ ছাড়াও মাস্টার অফ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন্স বা এমসিএ, সংস্কৃত-সহ একাধিক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করার সুযোগ আছে এখানে।
ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষাটি হবে কলকাতা, শিলিগুড়ি-সহ দেশের ৫১টি কেন্দ্রে ২২, ২৩, ২৪, ২৫ মে।
সাধারণ ভাবে ও অনলাইনে, দু’ভাবেই আবেদন করতে পারেন। আবেদনপত্র জমার শেষ দিন ২১ মার্চ। অনলাইনেও আবেদন করতে পারবেন ২১ মার্চ পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য পুস্তিকাতে দেওয়া আছে কোনও বিষয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন করা হবে। জেএনইউ প্রবেশিকার গত ৫ বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিনে নেওয়া যায়। বিশদে তথ্য মিলবে www.jnu.ac.in ওয়েবসাইটে। |
|
|
খেয়াল রাখুন তথ্য সংকলন: কৌলিক ঘোষ |
|
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকতার উপর একটি স্বল্পমেয়াদের সার্টিফিকেট পাঠ্যক্রম করাবে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেল্থ। প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য-পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীন। সল্টলেক সেক্টর থ্রি-র জেসি ব্লকে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির বিধান নগর ক্যাম্পাসে ২২-২৩ মার্চ ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে খবরের কাগজ, রেডিও বা টেলিভিশন, যে কোনও ধরনের মাধ্যমে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা বিষয়কে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দু’দিনই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫.৩০ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। যাঁরা স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা সাংবাদিকতা করেন, তাঁরাই যোগ দিতে পারবেন। আবেদনপত্র জমা ও মনোনয়নের শেষ দিন ১৫ মার্চ। সুযোগ পেলে, ২০ মার্চের মধ্যে প্রার্থীকে জানিয়ে দেওয়া হবে মেল মারফত। ফোন নম্বর: ৯৪৩৩৫ ৭২৪২৮ /৯৮৩০১ ৩৪৪১৯।
|
দেশের বিভিন্ন ল কলেজে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘ল স্কুল অ্যাডমিশন টেস্ট (এলস্যাট)-ইন্ডিয়া’র দিন ঘোষিত হল। ৫ মে ১৫টি শহরে পরীক্ষাটি নেবে আমেরিকার ল স্কুল অ্যাডমিশন কাউন্সিল। এই কাউন্সিল বহু দেশেই আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজে সহায়তা করে। এলস্যাটের মাধ্যমে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া অনুমোদিত ৪৩টি ল কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পরীক্ষাটির আয়োজক পিয়েরসন ভিইউই। এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ১৬৫টি দেশে শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, সরকারি-বেসরকারি চাকরি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য নানা ধরনের পরীক্ষা নেয়। এলস্যাট মারফত ভর্তি হওয়া যায় রাজীব গাঁধী স্কুল অফ ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ল- ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি খড়্গপুর, বালুরঘাট ল কলেজ- দক্ষিণ দিনাজপুর, দুর্গাপুর ইনস্টিটিউট অফ লিগ্যাল স্টাডিজ- দুর্গাপুর, সোয়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ল-ভুবনেশ্বর, জিন্দল গ্লোবাল ল স্কুল- সোনিপাত (হরিয়ানা), কলেজ অফ লিগ্যাল স্টাডিজ- দেরাদুন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে। নাম নথিভুক্তি করুন www.pearsonvueindia.com/lsatindia ওয়েবসাইটে। এখানে পরীক্ষার ধরনও জানা যাবে। |
|
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর |
|
|
|
প্রশ্ন: এ বছর উচ্চমাধ্যমিক দেব। ‘পলি-৪০’ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। মাধ্যমিকে কত শতাংশ নম্বর থাকলে আবেদন করা যায়, জানাবেন।
মধুসূদন কর্মকার, বড়জোড়া
উত্তর: পলিটেকনিক কলেজে ভর্তির জন্য আপনি যে ‘পলি-৪০’ পদ্ধতির কথা বলেছেন, সেটি এ বছর থেকেই ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল ফর টেকনোলজি তুলে দিয়েছে। তাই পলিটেকনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমা পড়তে হলে জেক্সপো অর্থাৎ জয়েন্ট এন্ট্রান্স ফর পলিটেকনিক পরীক্ষায় বসতে হবে।
প্রশ্ন: উচ্চমাধ্যমিকের পর নিউট্রিশন পড়তে চাই। কোথায় পড়ানো হয়?
ঐশী রায়, মেদিনীপুর
উত্তর: নিউট্রিশনে স্নাতক পড়া যায়, এমন কিছু কলেজ হল বিহারিলাল কলেজ ফর হোম অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস, গোখেল মেমোরিয়াল কলেজ, জে ডি বিড়লা ইন্সটিটিউট, কাশীশ্বরী কলেজ, জয়পুরিয়া কলেজ, ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাডভান্সড রিসার্চ, সারদা মা গার্লস কলেজ, বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উইমেন।
|
|
|
|
|
|