জমিতে ঢুকে গরু ফসল খেয়ে নেওয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে উত্তাল হয়েছে মালদহের মহদিপুর এলাকা। ইংরেজবাজার থানার মহদিপুরের খাসিমারি গ্রামে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই ঘটনায় রূপচাঁদ ঘোষ (৩৫) নামে এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও চার জন। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
ওই সংঘর্ষের ঘটনার পিছনে রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছেন জেলার পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল। তিনি বলেন, “কোনও রাজনৈতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়নি। হোলির দিন মদ খেয়ে গালিগালাজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্টীর মধ্যে গোলমাল থেকে সংঘর্ষ হয়। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে। পুলিশের ভয়ে অভিযুক্তরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে।”
তবে ইংরেজবাজারের কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি অভিযোগ করেছেন, “সিপিএমের স্থানীয় এক নেতার জমির ফসল গরু খেয়ে নেয়। তারই জেরে ওই সিপিএম নেতার দলবল পুলিশের সামনেই তাঁদের দলের সমর্থক রুপচাঁদ ঘোষের বাড়িতে বন্দুক, হাঁসুয়া নিয়ে হামলা করে। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় আমাদের ওই সমর্থক মারা গিয়েছেন।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রেরও দাবি, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক গোলমালকে রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে। গ্রামের মানুষ যে কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক হতেই পারে। তাদের মধ্যে কোনও ব্যক্তিগত গোলমাল হলেই সেটাকে রাজনীতির রঙ দেওয়ার চেষ্টা অন্যায়। তিনি বলেন, “যারা হামলা করেছে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে স্থানীয় এক প্রভাবশালী সিপিএম নেতার জমিতে কংগ্রেস সমর্থক রুপচাঁদ ঘোষের কয়েকটি গরু ঢুকে ফসল খেয়ে নেয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে রুপচাঁদবাবুর সঙ্গে ওই সিপিএম নেতার অনুগামীদের বচসা হয়। শুক্রবার বিকেলে মদ্যপ অবস্থায় রুপচাঁদবাবু ওই সিপিএম নেতার বাড়ির সামনে গিয়ে গালাগাল দেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই রাতে ওই সিপিএম নেতার দলবল বন্দুক, হাঁসুয়া নিয়ে রুপচাঁদ ঘোষের বাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। রুপচাঁদবাবুকে বাঁচাতে জয়চাঁদ ও শ্যামচাঁদ নামে দু’জন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাদের উপরও চড়াও হয়। রুপচাঁদবাবুর সঙ্গীসাথীরাও পাল্টা হামলা করেন। হাসপাতালে আনার পর রুপচাঁদবাবুর মৃত্যু হয়। |