টুকরো খবর |
বয়কটের ফতোয়া, অভিযুক্ত তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
চোদ্দ বছরের পুরনো মামলার জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন-২ ব্লকের খণ্ডরুইয়ে সংখ্যালঘু, আদিবাসী-সহ ১৩টি পরিবারকে শাসক তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব বয়কট করার ফতোয়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিপিএমের ধনেশ্বরপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক শেখ আব্দুল রহিমের অভিযোগ, “১৯৯৮ সালের নভেম্বরে খণ্ডরুইয়ে আমাদের দলের লোকাল কমিটির অফিসে হামলা চালিয়েছিল তৃণমূলের লোকজন। আমাদের ২২ জন আহত হয়েছিলেন। সেই মামলায় ৪২ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী অভিযুক্ত। মেদিনীপুর আদালতে সাক্ষ্যপর্ব চলছে। যাঁদের সাক্ষ্যে তৃণমূলের অস্বস্তি বেড়েছে, তাঁদের পরিবারগুলিকে বয়কট করার ফতোয়া দিয়েছে শাসকদলের নেতারা।” জল নিতে, হাটবাজার করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, হুমকির জেরে ওই পরিবারগুলির অনেক পুরুষ সদস্যকে গ্রাম ছাড়া হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ। দাঁতনের তৃণমূল নেতা শৈবাল গিরির পাল্টা দাবি, “বয়কটের ব্যাপারটা পুরোপুরি অসত্য। অপপ্রচার হচ্ছে। ১৪ বছর আগের ঘটনাতেও আমাদের লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা হয়েছিল। যারা মিথ্যা মামলা সাজিয়েছিল তারা নিজেরাই এখন গ্রাম ছাড়া হয়েছে।” ‘বয়কটের শিকার’ দাবি করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অস্থায়ী কর্মী স্বদেশ সিংহের অবশ্য বক্তব্য, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার শেখ জলিলের পুত্রবধূ, স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীর কাছ থেকে কাগজ নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। দাঁতন ২-এর বিডিও ইন্দ্রনীল চক্রবর্তীর বক্তব্য, “অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গ্রামে গিয়েছিল। ব্লক থেকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
|
ছাত্রের অপমৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাঁশকুড়া |
হুগলির খানাকুলের মাইনান গ্রামের শেখ রেজাউল মল্লিক (১৯) নামে এক উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুক্রবার দুপুরে পড়তে যাবার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। শনিবার সকালে রেল-পুলিশের ফোন পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় এসে নিকটাত্মীয়েরা শনাক্ত করলেন ট্রেনে কাটা পড়া দেহটি। ওই ছাত্রের ব্যাগের ভিতরে থাকা ডায়েরিতে লেখা ফোন নম্বরের সূত্রেই খানাকুলে যোগাযোগ করেছিল রেল-পুলিশ। ওই ডায়েরিতে একটি সুইসাইড নোটও মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে শনিবার তমলুক জেলা হালপাতালে অটোপ্সি সার্জেন না থাকায় ময়না-তদন্ত হয়নি। শুক্রবার গভীর রাতে পাঁশকুড়া-হলদিয়া রেলপথে দেহটি উদ্ধার হয়েছিল।
|
আদিবাসীকে ধর্ষণের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা রোড |
এক আদিবাসী তরুণী বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডের কিয়াবনি এলাকায়। অভিযুক্তের নাম শান্তনু ঘোষ। অভিযোগ, পেশায় সার ব্যবসায়ী শান্তনু ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সাহায্যের নাম করে শনিবার সকালে ওই তরুণীকে দোকানে ডাকে। যোজনায় বাড়ি মঞ্জুর করানোর জন্য টাকাপয়সাও দাবি করে ওই ব্যবসায়ী। ওই তরুণী তাঁর অপারগতা জানান। তখন শান্তনু তাঁকে দোকানের মধ্যেই ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে বাড়ি ফিরে আত্মীয় ও পড়শিদের পুরো ঘটনা জানান ওই তরুণী বধূ। রাতেই লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের দাবিতে ফাঁড়িতে বিক্ষোভও দেখান। পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধানে রাতেই তল্লাশি শুরু করেছে। |
|