এ বছর সেরা বাংলা ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেল অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না।’
শুধু সেরা বাংলা ছবি নয়, এই ছবির জন্য সেরা সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার জিতে নিলেন অঞ্জন-পুত্র নীল দত্ত। একই সঙ্গে অঞ্জন পেয়েছেন বিশেষ জুরি পুরস্কারও।
কেমন লাগছে এই সম্মান পেয়ে? অঞ্জন দত্ত বললেন, “এক সময় জাতীয় পুরস্কার পাব, এমন একটা স্বপ্ন প্রত্যেক বছর দেখতাম। সে সময় ‘খারিজ’, ‘গৃহযুদ্ধ’, ‘যুগান্ত’ কোনওটার জন্যই পাইনি। ভীষণ মন খারাপ হত। তার পর এল ‘বো ব্যারাকস’, ‘বং কানেকশন’। তাতেও যখন পেলাম না, আমি আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। তার পরে আজ ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’-র জন্য পুরস্কার পেয়ে ভীষণ ভাল লাগছে। নিজের চেয়েও বেশি ভাল লাগছে নীলের জন্য। ও ঠিক সময়ে স্বীকৃতি পেল। এর জন্য নীলকে আমি ঈর্ষাও করছি।” |
এই ছবির আর এক অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তীর মতে, “মৌলিক বাংলা ছবি আর সঙ্গীতের জয় হল।” সেরা মহিলা কণ্ঠের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ‘অবশেষে’ ছবির জন্য রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
সেরা হিন্দি ছবি ‘আই অ্যাম’-এর গান ‘অগর জিন্দেগি’ রচনার জন্য সেরার সম্মান পেয়েছেন অমিতাভ ভট্টাচার্য। চারটি গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবির পরিচালকও বাঙালি, ওনির। সেরার তকমা পেয়ে কী বলছেন তিনি? “আমি অভিভূত। অসম্ভব মূল্যবান সম্মান। ‘আই অ্যাম’ যথাযোগ্য সমাদর পায়নি বলে খুব খারাপ লেগেছিল। সারা জীবন মনে থাকবে মুহূর্তটা।” সেরা আবহসঙ্গীতের পুরস্কারও এক বাঙালির ঝুলিতে। ‘ল্যাপটপ’ ছবির জন্য ময়ূখ ভৌমিক পেয়েছেন এই সম্মান। চলচ্চিত্রের বিষয়ে সেরা বইয়ের সম্মানেও অংশীদার এ বার এক বাঙালি। বালাজি ভিট্টলের সঙ্গে যৌথ ভাবে লেখা ‘আর ডি বর্মন দ্য ম্যান, দ্য মিউজিক’ বইয়ের জন্য তা পেয়েছেন অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য।
বাংলা ছবির পাশাপাশি জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘দ্য ডার্টি পিকচার’-এর জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বিদ্যা বালনকে। ছোটদের সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে ‘চিল্লার পার্টি’। |