প্যাকপ্যাডে মেতেছে পাক সেনা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সস্তার চিনা বাজারকেও এ বার প্রতিযোগিতার মুখে ফেলতে ‘তৈরি’ পাকিস্তান।
বৈদ্যুতিন জিনিস সস্তায় চাই বললেই প্রথম মনে পড়ে চিনে বাজারের কথা। কিন্তু সে তথ্য ভুল প্রমাণ করে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে পাক সেনাবাহিনী। আর তাঁদের প্রথম অবদান ‘আই-প্যাড’। থুড়ি আই-প্যাডের আদলে ‘প্যাকপ্যাড’। মূল্য মাত্র ২০০ ডলার। অর্থাৎ কি না দশ হাজার টাকা ফেললেই হাতের মুঠোয় পাকিস্তানি আই-প্যাড। |
|
রাওয়ালপিন্ডিতে প্যাকপ্যাড হাতে এক পাকিস্তানি। ছবি: এপি। |
রাওয়ালপিন্ডির কাছে কামরায় পাক বায়ুসেনা ছাউনিতে তৈরি হয়েছে প্যাকপ্যাডের কারখানা। ‘প্যাক’ নামটাও এসেছে পাকিস্তান এরোনটিক্যাল কমপ্লেক্সের আদ্যক্ষর থেকে। কর্মীরা প্রত্যেকেই বায়ুসেনার ইঞ্জিনিয়ার। অনেকেই যুদ্ধবিমান চালান। কাজের ফাঁকে তাঁরা হাত লাগিয়েছেন প্যাকপ্যাড তৈরিতে। চিনা বাজারকে চাপে রাখতে সে দেশের হার্ডওয়্যারই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। তবে অ্যানড্রয়েড ২.৩-র মতো আধুনিক অপারেটিং সিস্টেম থাকছে এতে। অ্যাপলের অর্ধেকও না এর মূল্য। অ্যাপল কিংবা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কথা দূরে থাক দামের রেষারেষিতে চিনকেও হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।
পাক-বাজারে তাই রমরমিয়ে চলছে প্যাকপ্যাড। কোনও রাখাঢাকা নেই এই কাজে। রাওয়ালপিন্ডির এক শপিং মলে মহম্মদ ইমরানের কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের দোকান। পরিষ্কার জানালেন, “আসল অবশ্যই আই-প্যাড। তারই নকল প্যাকপ্যাড।” তবে আসল-নকলের গণ্ডি পেরিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে সেনাবাহিনীর কাজ নিয়ে। পাকিস্তানের সফটওয়্যার হাউস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জেহান আরার কথায়, “আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না ওরা এটা কী করছে। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করলেও এর মধ্যে আমি কোনও লক্ষ্য খুঁজে পাচ্ছি না। শত্রুদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই ওদের একমাত্র কাজ।” জেহানের সমর্থকও নেহাত কম নয়। অনেকেই মনে করছেন, দুর্নীতি ছাড়া এটা আর কিছুই না। তবে নিন্দুকদের কথায় বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই সেনা-সমর্থকদের। দেশের আর্থিক অবস্থা চাঙ্গা করতে সেনার এই পদক্ষেপে তাঁরা গর্বিত। |
|