স্কুলের মধ্যে খেলতে খেলতে বল চলে গিয়েছিল একটি দোকানের সামনে। সেখানে রাখা দোকানের টিনের সাইনবোর্ড বল লেগে পড়ে যায়। সেই ‘অপরাধে’ নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ওঠে দোকানদারের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটে শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে। ওয়াসিম আলি নামে আহত ওই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই দোকানদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সুখেন্দু মুখোপাধ্যায় নামে অভিযুক্ত দোকানদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শ্রীরামপুরের নেতাজি সুভাষ অ্যাভেনিউতে স্কুলটি অবস্থিত। পুলিশ ও বিদ্যালয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ ক্লাস শুরুর আগে একটি ভলিবল নিয়ে খেলছিল কয়েক জন ছাত্র। সেই সময়ে বলটি পাশের একটি ফটোকপির দোকানের সামনে চলে যায়। ওয়াসিম বলটি কুড়িয়ে আনতে যায়। তখনই সুখেন্দুবাবু তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ওয়াসিমকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে শুয়ে ওয়াসিম বলে, “আমাকে এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুসি মারেন ওই দোকানদার।”
ওয়াসিমের স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীরণ লাহা বলেন, “স্কুলের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় অকারণে ছেলেটিকে মারধর করেছেন ওই দোকানদার। তা ছাড়া ছেলেটি যদি কোনও অন্যায় করত, সেটা আমাদের জানানো যেত। কিন্তু তিনি যেটা করলেন, তা অনৈতিক। তাই আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।” শনিবার রাতেই শ্রীরামপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। সুখেন্দুবাবুর অবশ্য দাবি, “ছেলেটা বল কুড়োতে গেলে বলি, বল এখানে আসছে কেন। তখন ও আমাকে গালাগাল দেয়। তাতে রেগে গিয়ে একটা চড় মেরেছি। এর বেশি কিছু করিনি।” |
